রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


মুসলমান মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স করা হোক ১৮। জাতীয় মহিলা কমিশন এমনই আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এই মামলাটি গ্রহণও করেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষে জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন আইনজীবী গীতা লুথেরা, আইনজীবী শিবানী লুথেরা লোহিয়া এবং অস্মিতা নারুলা। হলফনামায় বলা হয়েছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। যাতে অন্য ধর্মের জন্য শাস্তিমূলক আইনের সঙ্গে ‘ইসলামিক পার্সোনাল ল’র সামঞ্জস্য রাখা যায়।
আরও পড়ুন:

বিতর্কের ছায়াতেই রবিবার প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা! আপনি যদি পরীক্ষার্থী হন তাহলে এই বিষয়গুলি জেনে রাখা জরুরি

এক দেশ, এক আইন! শুক্রবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ রাজ্যসভায়, পাস ধ্বনিভোটে

ভারতে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর। এখন আবার মহিলা-পুরুষের বিয়ের বয়স এক করার ভাবনা শুরু হয়েছে। এর জন্য সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদিও মুসলমান মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আলাদা। সাধারণত ঋতুমতী হলে বা বয়স ১৫ বছর পেরোলেই মুসলিম মেয়েকে বিবাহযোগ্য বলে মনে করা হয়।
আবেদনে এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘মেয়ে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে তিনি হয়তো জৈবিক ভাবে প্রজনন করতে সক্ষম। কিন্তু তার মানে এই নয়, তিনি মানসিক ভাবে শক্তিশালী এবং বিয়ের জন্য শারীরিক ভাবে প্রস্তুত।’’
আরও পড়ুন:

বাঘের ঝুলন্ত দেহ মিলল মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে, গ্রেফতার ২, বন দফতরের দুই আধিকারিক সাসপেন্ড

বাইরে দূরে: দ্রোণস্থলীর দেবতা টপকেশ্বর মহাদেব

কমিশনের বক্তব্য, অপরিণত বয়সের মেয়েদের এ ভাবে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রেই বিয়ে দেওয়া হয়। তার পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক বা মানসিক ভাবে অত্যাচারিত হলে যুক্তি দেওয়া হয় বৈধতার। এখানেই শেষ নয়, এই সব ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণী বা তার পরিবারকে পকসো আইনে মামলা করতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

Skip to content