মঙ্গলকান্তি রায়, দিলীপ মহলানবিশ এবং ধনীরাম টোটো। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৩ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা পদ্ম বিভূষণের জন্য মনোনীত হলেন বাঙালি চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ। তাঁর হাত ধরেই ডায়েরিয়া বা কলেরা রোগে ওআরএসের বহুল প্রয়োগের সূচনা হয়েছিল।
দিলীপ মহলানবিশ ছাড়াও এ বার পদ্মসম্মান পেয়েছেন আরও চার বাঙালি। তাঁরা হলেন— প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী মঙ্গলকান্তি রায়, সূচিশিল্পী প্রীতিকণা গোস্বামী, চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর এবং ভাষা গবেষক ধনীরাম টোটো। রতনচন্দ্র আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা। চার জনেই পদ্মশ্রী পেয়েছেন।
দিলীপ মহলানবিশ ছাড়াও এ বার পদ্মসম্মান পেয়েছেন আরও চার বাঙালি। তাঁরা হলেন— প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী মঙ্গলকান্তি রায়, সূচিশিল্পী প্রীতিকণা গোস্বামী, চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর এবং ভাষা গবেষক ধনীরাম টোটো। রতনচন্দ্র আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা। চার জনেই পদ্মশ্রী পেয়েছেন।
মানব শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল কমে গেলে মৃত্য প্রায় অনিবার্য। এই সমস্যার সমাধানে তিনি নুন-চিনি মেশানো জল খাওয়ানোর উপায় বার করেন। তাঁর এই ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আফ্রিকার বহু মানুষের প্রাণ বাঁচান এই প্রচার বিমুখ চিকিৎসক-বিজ্ঞানী। তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। বনগাঁ সীমান্তে তাঁর পরামর্শে ওআরএস এর সাহায্যে কলেরা আক্রান্তদের সুস্থ করা হয়। প্রথম দিকে ওআরএসের ব্যবহারের স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব নিয়ামক সংস্থা। যদিও থেমে থাকেননি দিলীপ। ঝুঁকি নিয়েই তিনি কাজ করেছিলেন। অনেক পরে এই কৃতী চিকিৎসকের হাত ধরেই স্বীকৃতি পায় ওআরএস। তিনি যে ঘরে ওআরএস নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন সেটি সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেও তিনি কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপনাও করেছেন। অবিভক্ত বাংলার কিশোরগঞ্জে দিলীপ মহলানবিশের জন্ম ১৯৩৪ সালে। পরে দেশভাগের সময় প্রথমে বরাহনগরে, তার পরে শ্রীরামপুরে চলে আসেন। প্র্যাকটিস শুরু করেন গত শতাব্দীর ছয়ের দশক থেকে। তিনি ওআরএস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ১৯৬৪ সালে। এই নিয়ে তাঁর গবেষণাপত্র জন হপকিনস মেডিক্যাল জার্নাল এবং ল্যানসেট পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই বাঙালি চিকিৎসক এক সময় বিশ্ব সংস্থার ডায়রিয়া সংক্রান্ত কর্মসূচির মেডিক্যাল অফিসার হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়ারিয়াল ডিজিজি রিসার্চ-এর ক্লিনিক্যাল সায়েন্সের ডিরেক্টর হন। দিলীপ ১৯৯৪ সালে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের বিদেশি সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন এই কৃতী এই চিকিৎসক।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেও তিনি কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপনাও করেছেন। অবিভক্ত বাংলার কিশোরগঞ্জে দিলীপ মহলানবিশের জন্ম ১৯৩৪ সালে। পরে দেশভাগের সময় প্রথমে বরাহনগরে, তার পরে শ্রীরামপুরে চলে আসেন। প্র্যাকটিস শুরু করেন গত শতাব্দীর ছয়ের দশক থেকে। তিনি ওআরএস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ১৯৬৪ সালে। এই নিয়ে তাঁর গবেষণাপত্র জন হপকিনস মেডিক্যাল জার্নাল এবং ল্যানসেট পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই বাঙালি চিকিৎসক এক সময় বিশ্ব সংস্থার ডায়রিয়া সংক্রান্ত কর্মসূচির মেডিক্যাল অফিসার হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়ারিয়াল ডিজিজি রিসার্চ-এর ক্লিনিক্যাল সায়েন্সের ডিরেক্টর হন। দিলীপ ১৯৯৪ সালে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের বিদেশি সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন এই কৃতী এই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:
মাধ্যমিক ২০২৩: পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়লে বাংলায় বেশি নম্বর পাওয়া কঠিন নয়
আপনার শিশুর নতুন দাঁত উঠছে? এ সময়ে কী ভাবে ওর যত্ন নেবেন
দিলীপ ১৯৫৮ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পাশ করেন। সেখানেই শিশু বিভাগে ইনটার্নশিপ শুরু করে দেন। পরে তিনি লন্ডনে ডিসিএইচ করেন। এমআরসিপি করেন এডিনবরা থেকে। মাত্র ২৮ বছর বয়সে ‘কুইন এলিজ়াবেথ হসপিটাল ফর চিল্ড্রেন’-এ তিনি রেজিস্ট্রার হয়েছিলেন। এই পদে দিলীপই প্রথম ভারতীয়।
তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে ১৯৯১ সালে ‘সোসাইটি ফর অ্যাপ্লায়েড স্টাডিজ’ গড়ে ছিলেন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের হাতেনাতে গবেষণা এবং ফিল্ডওয়ার্ক শেখানোর জন্য সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন। যদিও শিক্ষার্থী পাননি তিনি।
তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে ১৯৯১ সালে ‘সোসাইটি ফর অ্যাপ্লায়েড স্টাডিজ’ গড়ে ছিলেন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের হাতেনাতে গবেষণা এবং ফিল্ডওয়ার্ক শেখানোর জন্য সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন। যদিও শিক্ষার্থী পাননি তিনি।
আরও পড়ুন:
বাড়িতে রয়েছে চার মাসের সন্তান, নোটিস ছাড়াই একসঙ্গে দম্পতিকে ছাঁটল গুগল
সরস্বতী পুজোয় তাপমাত্রার পারদপতন? কী বলল আলিপুর হাওয়া দফতর
জলপাইগুড়ি জেলার দু’জন রয়েছেন পদ্মশ্রীর তালিকায়। এঁদের মধ্যে মঙ্গলকান্তির বয়স ১০২ বছর, তিনি প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র সারিন্দা বাদক। মঙ্গলকান্তি সারিন্দায় পাখির ডাকও বাজাতে পারেন। উত্তরবঙ্গের বিপন্ন জনজাতি টোটোদের ভাষার লিপির উদ্ভাবক হলেন ধনীরাম। তাঁর হাত ধরেই টোটো ভাষার পুনর্জন্ম হয়েছে। ধনীরাম ওই লিপিতে ‘ধানুয়া টোটোর কথামালা’ এবং ‘ডুমরা থিরতে’ নামে দু’টি উপন্যাস লিখেছেন ।
সূচিশিল্পী প্রীতিকণা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। কাঁথা স্টিচের কাজের জন্য তাঁর দুনিয়া জোড়া খ্যাতি। একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। এদিকে, চিকিৎসক রতনচন্দ্রের বয়স ৬৬ বছর। তিনি ওঙ্গি, জারোয়া, গ্রেট আন্দামানিজদের মতো জনজাতির মানুষের চিকিৎসায় তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় করেছেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পরেও তিনি সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরই চেষ্টায় জারোয়া জনগোষ্ঠী ভয়ঙ্কর গুটি বসন্ত রোগে বিলুপ্তি থেকে রেহাই পেয়েছিল।
সূচিশিল্পী প্রীতিকণা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। কাঁথা স্টিচের কাজের জন্য তাঁর দুনিয়া জোড়া খ্যাতি। একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। এদিকে, চিকিৎসক রতনচন্দ্রের বয়স ৬৬ বছর। তিনি ওঙ্গি, জারোয়া, গ্রেট আন্দামানিজদের মতো জনজাতির মানুষের চিকিৎসায় তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় করেছেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পরেও তিনি সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরই চেষ্টায় জারোয়া জনগোষ্ঠী ভয়ঙ্কর গুটি বসন্ত রোগে বিলুপ্তি থেকে রেহাই পেয়েছিল।