সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ইসরো-র সেই ছবি।

ডুবন্ত জোশীমঠ ধীরে ধীরে আরও ডুবছে! ১২ দিনে জোশীমঠের মাটি আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ সেন্টিমিটার ধসে গিয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার ঝুঁকির মধ্যে থাকে দু’টি বিলাসবহুল হোটেল ভাঙার কাজ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি) একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভূমিধসের পরিষ্কার চাপ রয়েছে।
এনআরএসসি এও জানায়, ২০২২ এর এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সাত মাসে জোশীমঠের মাটি প্রায় ৯ সেন্টিমিটার তলিয়ে গিয়েছে। চিন্তার কারণ হল রিপোর্ট এও ধরা পড়েছে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ১২ দিনে ভূমিধসের হার আচমকা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ৫.৪ সেমি! তাই-ই গাড়োয়াল হিমালয়ের ভূমিতে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:

সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার, বাড়ল শহরের তাপমাত্রার পারদও! সংক্রান্তিতেও শীত হাওয়া!

থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন না তো? শরীরে এই ৮টি লক্ষণ দেখা দিলে তা থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে

এনআরএসসি-এর এই তথ্য হাতে আসার পর উত্তরাখণ্ড সরকার জোশীমঠ খালি করতে আরও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে হোটেল ‘মাউন্ট ভিউ’ এবং ‘মালারি ইন’ ভাঙার কাজ। সরকার জানিয়ে দিয়েছে হোটেল দু’টি একেবারেই নিরাপদ নয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, খুব দ্রুত লাল সতর্কতা জারি করা বাড়িগুলিও ভাঙা হবে। উত্তরাখণ্ড সরকার জোশীমঠকে ‘বসবাসের অযোগ্য’ ঘোষণা করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে শরীরে? কী কী লক্ষণ দেখলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে? জেনে নিন খুঁটিনাটি

ইংলিশ টিংলিশ, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সহজে শিখে নাও Transformation of Sentences by changing the DEGREES of Adjectives

এদিকে সরকার হোটেল এবং বাড়িঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে জোশীমঠের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। তাঁদের দাবি, ক্ষতিপূরণ না পেলে ভিটে ছাড়বেন না। যদিও সরকার প্রাথমিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে তাঁরা শান্ত হয়েছেন।
২ জানুয়ারি এখনও পর্যন্ত জোশীমঠের ৭৬০টিও বেশি বাড়িতে ভয়ংকর ফাটল দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা শহরের রাস্তা-মন্দির-জমিতেও। ভয়ে বহু মানুষ রাতারাতি বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছেন। তাঁরা এখন আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরে প্রায় ১৬৯টি পরিবারকে রাখা হয়েছে।

Skip to content