হেলে পড়েছে জোশীমঠের দুই হোটেল ‘মাউন্ট ভিউ’ এবং ‘মালারি ইন’।
মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ‘ডুবন্ত’ জোশীমঠে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভাঙার কাজ। সেখানে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলও পৌঁছে গিয়েছে। আসার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি দলও। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সেই দলের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে বাড়ি ভাঙার কাজ।
বিশেষজ্ঞরা গত ৫ এবং ৬ জানুয়ারি জোশীমঠের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁদের পরামর্শ ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি দ্রুত ভেঙে ফেলা উচিত। সেই অনুযায়ী আজ থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জোশীমঠ শহরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। ‘ডেঞ্জার জোন’ বা বিপজ্জনক, ‘বাফার জোন’ বা অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক এবং ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ —এই তিন ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। বিপজ্জনক অংশে থাকা বাড়ির গায়ে লাল কালি দিয়ে দাগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই বাড়িগুলি প্রথম ভাঙা হবে। রুরকির কেন্দ্রীয় আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-এর তত্ত্বাবধানে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভাঙা হবে। এঁদের সাহায্য করবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বিশেষজ্ঞরা গত ৫ এবং ৬ জানুয়ারি জোশীমঠের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁদের পরামর্শ ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি দ্রুত ভেঙে ফেলা উচিত। সেই অনুযায়ী আজ থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জোশীমঠ শহরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। ‘ডেঞ্জার জোন’ বা বিপজ্জনক, ‘বাফার জোন’ বা অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক এবং ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ —এই তিন ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। বিপজ্জনক অংশে থাকা বাড়ির গায়ে লাল কালি দিয়ে দাগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই বাড়িগুলি প্রথম ভাঙা হবে। রুরকির কেন্দ্রীয় আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-এর তত্ত্বাবধানে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভাঙা হবে। এঁদের সাহায্য করবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
এখনও পর্যন্ত মোট ৬৭৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কাল সোমবারই ৬৮টি নতুন বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই সেগুলিই আগে ভেঙে ফেলা হবে।
সেখানে প্রশাসনের ৯টি দল কাজ করছে। প্রতিটি দলে ৩ থেকে ৪ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করছেন। সোমবার তাঁরা নতুন ১০০টি বাড়িকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই সব বাড়ির বাসিন্দাদের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙার সময় যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সে দিকে সতর্ক থাকছে প্রশাসন।
সেখানে প্রশাসনের ৯টি দল কাজ করছে। প্রতিটি দলে ৩ থেকে ৪ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করছেন। সোমবার তাঁরা নতুন ১০০টি বাড়িকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই সব বাড়ির বাসিন্দাদের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ভাঙার সময় যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সে দিকে সতর্ক থাকছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন:
একটানা পাঁচ দিন ধরে চলছে শৈত্যপ্রবাহ! দিল্লি ভাঙল ১০ বছরের পুরনো রেকর্ড, কবে থেকে কমবে ঠান্ডা?
এদিকে, জোশীমঠের এই ঘটনাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলা যাবে কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে জোশীমঠকে ‘বিপর্যয়প্রবণ এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের নির্মাণকার্য। একে অপরের গায়ে হেলে পড়েছে জোশীমঠের জনপ্রিয় দুটি হোটেল ‘মাউন্ট ভিউ’ এবং ‘মালারি ইন’। ক্ষতিগ্রস্ত হোটলগুলিও ভেঙে ফেলা হবে। প্রায় ৪ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ দূরত্বে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা ভূমি অবনমনের কবলে পড়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী বিপর্যয় মোকাবিলায় সবাইকে একজোট হতে অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন:
আপনার কেনা সব্জিতে কি রং করা হয়েছে? এই রং ক্ষতিকর? বুঝবেন কী ভাবে? রইল সহজ উপায়
জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের তৈরির জন্য খোঁড়া একটি সুড়ঙ্গকে এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। সেটি খোঁড়া শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার যন্ত্র না কি প্রকৃতির তৈরি একটি জলাধারে ছিদ্র করে দিয়। এর সেই জলাধার থেকে হাজার হাজার গ্যালন জল বেড়িয়ে যাওয়ায় ছোটছোট ঝর্না এবং জলের অন্য উৎসগুলি শুকিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওই জলধার ফুরিয়ে যাওয়ায় এলাকার মাটি শুকিয়ে ঝুরঝুরে হয়ে যায়। এর জেরে মাটি ফাঁপা হয়ে যায়। ফলস্বরূপ ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে থাকা জোশীমঠের ধ্বংসও নিশ্চিত। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওই জলধার ফুরিয়ে যাওয়ায় এলাকার মাটি শুকিয়ে ঝুরঝুরে হয়ে যায়। এর জেরে মাটি ফাঁপা হয়ে যায়। ফলস্বরূপ ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে থাকা জোশীমঠের ধ্বংসও নিশ্চিত। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।