শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যামশরণ নেগি।

শ্যামশরণ নেগি প্রয়াত। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার। হিমাচল প্রদেশের কিন্নাউরে শনিবার ভোররাতে শ্যামশরণ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৬ বছর। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বুধবার তিনি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছিলেন। আর শনিবার তাঁর মৃত্যু হল।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শ্যামশরণ নেগির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে। তাঁর ভোট দেওয়ার উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। শ্যামশরণ ভোটদানে দেশের তরুণ প্রজন্মকে বরাবরই উৎসাহ দিয়েছেন। কিছু দিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এবার তিনি যখন ভোট দিচ্ছিলেন তখন তাঁর শরীর বেশ খারাপই ছিল। নেগি প্রায় শয্যাশায়ীই ছিলেন।
আরও পড়ুন:

ছোটদের যত্নে: শিশুকে টনসিলের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে চান? মেনে চলুন শিশু বিশেষজ্ঞের এই সব টিপস

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৭: হারিয়ে যাওয়ার আগে এ এক বিফল মৃত—‘সঞ্জিবনী’ [০৮/০২/১৯৫২]

বুধবার কিন্নরের ডেপুটি কমিশনার আমির সাদিক ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা কমিশনের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ শ্যামশরণ নেগির কল্পার যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা নেগির ভোট সংগ্রহ করেন। নেগির জন্ম ১৯১৭ সালের ১ জুলাই, হিমাচল প্রদেশে কল্পা গ্রামে। তিনি ছিলেন স্কুল শিক্ষক।
আরও পড়ুন:

দশভুজা: দেবীপক্ষের প্রাককালে তিনিই তো দুর্গা…

শুধু জঙ্গল সাফারি নয়, এবার ডুয়ার্সে ছ্যাকা-সিদল-ঘুঙ্গির স্বাদও নিতে পারবেন

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৫১ সালে প্রথম নির্বাচন হয়। ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর দেশের সেই নির্বাচনে প্রথম নাগরিক হিসাবে নেগি ভোট দেন। সেবার হিমাচল প্রদেশে ছাড়া দেশের অন্যান্য অংশে ভোট হয়েছিল ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। হিমাচল প্রদেশে তখন আবহাওয়া খারাপ থাকায় ৫ মাস আগে ২৫ অক্টোবর নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল।
শ্যামশরণ নেগি ভোট দেওয়াকে নাগরিকের কর্তব্য বলে মনে করতেন। তাঁকে ‘সনম রে’ ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসাবে দেখা গিয়েছিল। হিমাচল প্রদেশের ১৪টি বিধানসভা ভোটে তিনি অংশগ্রহণ করে রেকর্ড গড়েছেন কল্পার নেগি। হিমাচল প্রদেশে ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোটের আগে ১০১ বছরের নেগি জানিয়েছিলেন, ‘‘মৃত্যুর সময় এগিয়ে এসেছে। তাই মৃত্যুর আগে ভোটটা দিয়ে যেতে চাই।’’

Skip to content