সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


গুজরাতে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার মাচ্চু নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় সোমবার এখনও পর্যন্ত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যাও অনেক।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সারাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর ফের সেতুটি চালু করার আগে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেই। ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার পিছনে কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতিকেই দায়ী করছেন।y
রবিবার দুর্ঘটনার পর প্রথমে স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজ হাত লাগান। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ একযোগে উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখনও নিখোঁজদের খোঁজে উদ্ধারকাজ চলছে। ঘটনাস্থলে অনেকগুলি অ্যাম্বুলান্সকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে। কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে আসার চেষ্টা করেন। আবার অনেকে ভাঙা সেতুর রেলিং ধরে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের কথায়, দুর্ঘটনার সময় সেতুর উপরে শিরভাগই পর্যটকরা ছিলেন। এদিকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মর্মাহত। আহতদের চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি নিখোঁজদের উদ্ধারকাজে গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে ছটপুজো উপলক্ষে ব্রিটিশ আমলের তৈরি ওই সেতুতে দুর্ঘটনার সময় প্রায় ৫০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ করে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন:

জীবনযুদ্ধে হার মেনে চলে গেলেন অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তী

সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-৪: পাঠক, লেখক ও শুভাকাক্ষীদের অনুপ্রেরণায় দেশের সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছে বইয়ের জাহাজ বাতিঘর সম্রাজ্যের দীপ্তি

প্রশাসন সূত্রে খবর, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সেই কাজ শেষ হওয়ার পর পাঁচ দিন হল সেতুটি ফের চালু করা হয়। আর চালু হওয়ার ঠিক ছ’দিনের মাথায় ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা। সেতুটি সংস্কারের
দায়িত্বে ছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য তা খোলা দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোরবি পুরসভার জনিয়েছে, ‘ওরেভা’ পুরসভার কাছ থেকে শংসাপত্র নেয়নি। এমনকি ঝুলন্ত সেতুটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যও প্রশাসনকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। সরকারের কাছে সেতুটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ছিল না বলে দাবি করেছে মোরবি পুরসভা।
গুজরাত সরকার মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি সেতু বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Skip to content