সোমবার ৭ অক্টোবর, ২০২৪


দুমকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসন আগেই ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। তরুণী খুনের বিচার চেয়ে ঝাড়খণ্ডে মোমবাতি মিছিলও বেরোয়। সোমবার বিকেলে থমথমে অবস্থার মধ্যেই ১৯ বছর বয়সী তরুণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দুমকায়। ঝাড়খণ্ড সরকার জানিয়েছে, তরুণীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যুবক এবং তাঁর সঙ্গীর তাড়াতাড়ি বিচার হবে।
এদিকে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রবিবার মৃত্যুর পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। তরুণীর বাবার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যদি আগেই এই আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করতেন তাহলে হয়তো মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব হতো। আরও উন্নতমানের চিকিৎসা করা সম্ভব হতো।
যুবকের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া নেয়া দেওয়ায় ২৩ অগস্ট মঙ্গলবার ভোররাতে ওই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তরুণীর শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশই পুড়ে যায়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য দুমকার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার রাতে সেখানেই দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ঘটনা ঘটার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতার বাবা। রবিবার রাত থেকেই ঝাড়খণ্ডের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং বিভিন্ন সংগঠন দুমকা-সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করে। সোমবার বিরোধী নেতা বাবুবাল দাবি করেন, তরুণীকে গ্রেফতার হওয়া যুবক আগেও হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি এও জানান, ‘‘ তরুণী ও তাঁর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু দুমকার ডিএসপি নূর মুস্তাফা এফআইআর দায়ের করেননি। উল্টে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’’
সম্প্রতি, নূপূর শর্মার মন্তব্যের পর রাঁচীতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলি চালালে বিক্ষোভকারীরা আহত হন। বিজেপির অভিযোগ, তখন সেই বিক্ষোভকারীদের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি পাঠানো হলেও হেমন্ত সোরেনের সরকার দুমকার তরুণীর ক্ষেত্রে একইরকম ‘তৎপরতা’ দেখায়নি।
বিজেপি-র এও অভিযোগ, দুমকা মেডিক্যাল কলেজে এবং রাঁচীতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাননি ওই তরুণী। পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গত ২৩ অগস্টে গ্রেফতার করেছিল। আজ সোমবার তার এক সঙ্গীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দুমকার পুলিশ সুপার অম্বর লাকড়া জানিয়েছেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শেষ করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই তদন্তের কাজ তত্ত্বাবধান করবেন উচ্চস্তরের পুলিশ আধিকারিকেরা।’’
ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

Skip to content