এ ভাবে ফাটল ধরেছে বাড়িঘরে।
ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। এ বার জোশীমঠে সেনা ক্যাম্পেও ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ৫ এবং ৬ জানুয়ারি একটি বিশেষজ্ঞ দল জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়েছিল। ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে পর কী ভাবে বিপদ এড়ানো যায়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ দল কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে সব বাড়িতে ফাটল ধরেছে, সেগুলি দ্রুত ভেঙে ফেলা উচিত।
গাড়োয়াল হিমালয়ে পাহাড় কেটে তৈরি জোশীমঠ শহরে বহু ফাটল দেখা দিয়েছে। গোটা জোশীমঠই ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাসিন্দাদের সরানো কাজ চলছে। বহু ঘরবাড়ি, রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা গিয়েছে। যে কোনও সময় জোশীমঠ তলিয়ে যেতে পারে, এই দুশ্চিন্তায় গ্রাস করেছে স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন:
কাপলিং খুলে গেল ইস্পাত এক্সপ্রেসের! ইঞ্জিন-সহ ২টি কামরা বেরিয়ে গেল, বাকিটা এখন সাঁতরাগাছিতে
রবিবারও কনকনে ঠান্ডায় কাবু কলকাতা, জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস, কোথায় কত পারদ? শীত আরও বাড়বে?
জোশীমঠ থেকে কাছেই ভারত-চিন সীমান্ত। এখানে সেনাবাহিনীর বেস ক্যাম্প রয়েছে। ভারতীয় সেনার জন্য জোশীমঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই শহর থেকে ভারত-চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরেই। শুধু সেনা নয়, জোশীমঠে আইটিবিপি পুলিশেরও যাতায়াত রয়েছে।
প্রয়াত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর
পর্ব-৫১: বসুন্ধরা এবং…
জানা গিয়েছে জোশীমঠে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যাম্পের জমিতে ফাটল দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য পীযূষ রাউতেলা জানিয়েছেন, ‘‘সেনাবাহিনীর অধীন বিস্তীর্ণ এলাকা বসে যাচ্ছে।’’
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ দল কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছে, যে সব বাড়িতে একাধিক ফাটল দেখা গিয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দরকার। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি দ্রুত চিহ্নিত করে ফাঁকা করে দিতে হবে। তাঁরা এও জানিয়েছেন, জোশীমঠের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকার জমি ধসে যাচ্ছে। এই ২৫ শতাংশ এলাকায় কমবেশি ২৫ হাজার মানুষের বাসবাস করেন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ দল কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছে, যে সব বাড়িতে একাধিক ফাটল দেখা গিয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দরকার। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি দ্রুত চিহ্নিত করে ফাঁকা করে দিতে হবে। তাঁরা এও জানিয়েছেন, জোশীমঠের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকার জমি ধসে যাচ্ছে। এই ২৫ শতাংশ এলাকায় কমবেশি ২৫ হাজার মানুষের বাসবাস করেন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে হবে।