শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

পশ্চিমবঙ্গ না কি ওড়িশা—আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’? সর্বক্ষণ জল্পনা জারি ‘মোকা’র সম্ভাব্য গতিপথ নিয়ে। যদিও মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঠিক কোথায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আছড়ে পড়বে, গতিতেই বা কত হবে তা এখনই স্পষ্ট নয়।

যদিও হাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই কম। তাহলে বাকি থাকল তামিলনাড়ু, ওড়িশা এবং বাংলা। এর মধ্যে কোন রাজ্যে ‘মোকা’ তাণ্ডব চালাবে তা নিয়ে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মনে।
মৌসম ভবনের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ অথাবা ওড়িশাতেই ‘মোকা’ আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটি আগামী সপ্তাহেই আছড়ে পড়তে পারে। তবে যেখানে আছড়ে পড়ুক বা কেন ‘মোকা’র প্রভাব পড়তে পারে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। ‘মোকা’-র প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হবে কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে।

মৌসম ভবন এও জানিয়ে দিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড়, লাদাখ, কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, মেঘালয় অসমে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবন এই সব রাজ্যকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১০: কিশোর কণ্ঠের উপর যেন এক অলিখিত দাবি ছিল পঞ্চমের

অজানার সন্ধানে, মিথ্যার সঙ্গে আপোষ না করে ছাড়েন চাকরি, দিন কাটে অনাহারে, কে এই ভারতের ফেভিকল ম্যান?

‘মোকা’র বিশাল অঞ্চল জুড়ে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস। এর গতিপথ একেবারে ওড়িশা থেকে মায়ানমার পর্যন্ত। মাঝে অবস্থান করছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ। তাই ‘মোকা’ কোথায় কখন তাণ্ডব চালাবে, আবহবিদদের নজর সে দিকেই। ঘূর্ণাবর্তটি এখন বঙ্গোপসাগরে কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবে ঘূর্ণাবর্তটি যদি দক্ষিণ মায়ানমারের দিকে অগ্রসর হয়, তবে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় ঢুকতে বেশি সময় লাগবে না। আরও শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগও পাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। এদিকে এখন বঙ্গোপসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রার পারদ ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আরও শক্তিশালী করার পক্ষে একেবারে অনুকূল পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন:

মুখের ভিতরে আলসার! রইল মুখের ঘা কমানোর ঘরোয়া টোটকা

স্বাদে-আহ্লাদে: আম দিয়ে তৈরি এই লোভনীয় স্বাদের আচার খেয়েছেন?

বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তের জেরে ৮ মে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে। ৯মে সেটি গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে। তার পরে ৯ থেকে ১০ মের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এদিকে, যে নিম্নচাপের প্রভাবে ৮-১১ মের মধ্যে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই ৭মে-র মধ্যে সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগেও ঝোড় হাওয়াও বইতে পারে।

Skip to content