শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

এবার আরও কড়াকড়ির পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার বার্থ সার্টিফিকেট অর্থাৎ জন্ম শংসাপত্র নিয়ে। সূত্রের খবর, সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ১৯৬৯ সালের জন্ম রেজিস্ট্রেশন আইনে সংশোধনী আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক হতে চলেছে জন্ম সার্টিফিকেট। যদি আপনার কাছে বার্থ সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে চাকরি থেকে শুরু করে সরকারি পরিষেবার সুবিধা, কোনও কিছুই মিলবে না!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কেন্দ্র যে সংশোধনীর প্রস্তাব দিচ্ছে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ভোটার তালিকায় নাম তোলা, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি চাকরি, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট পেতে হলে জন্ম সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে। শুধু জন্ম সার্টিফিকেট নয়, এর পরপরই ডেথ সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ির পথে হাঁটবে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হচ্ছে, হাসপাতালগুলি আগে যেমন মৃতের পরিজনদের ডেথ সার্টিফিকেট দিত, তেমন দেবে। তার পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ সহকারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও একটি ডেথ সার্টিফিকেটও জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:

বিবিসি-র সাংবাদিককে মারধর শি জিনপিং সরকারের পুলিশের! চিনে বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৩: আশা-যাওয়ার পথের ধারে ‘নবীন যাত্রা’ [১১/০৯/১৯৫৩]

১৯৬৯ সালের জন্ম রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী এমনিতেই জন্ম ও মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ছিল। যদি কেউ সেটা না করে তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ধরা হতো। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, জন্ম শংসাপত্র বা মৃত্যু শংসাপত্র তৈরির ক্ষেত্রে গাফিলতি করেন পরিজনেরা। সেই গাফিলতি এড়াতেই এবার সবক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবা হচ্ছে। এর ফলে জনগণনা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মসূচির সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, সবক্ষেত্রেই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সব রাজ্য সরকার এবং সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই বিল আনা হচ্ছে।

Skip to content