বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


এত দিন ভারতীয় সংবিধানের যে আইনের মাধ্যমে বেনামি লেনদেনের ‘অপরাধে’ শাস্তি দেওয়া হতো, সেটিকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওই আইনের আওতায় বেনামি সম্পত্তির লেনদেনের অভিযোগে আর সাজা হবে না। এমনকি, অপরাধীর জেল ও জরিমানাও হবে না।
এই আইনটি ১৯৮৮ সালে তৈরি হয়েছিল। বেনামি লেনদেনে ক্ষেত্রে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হতো ১৯৮৮ সালে তৈরি এই বেনামি লেনদেন (প্রতিরোধ) আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত ওই ধারাটিকেই অসাংবিধানিক বলেছে।
এই আইনে অনুযায়ী এত দিন পর্যন্ত অপকারীকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয়ই শাস্তি দেওয়া হতো। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়ে দেয়, সংবিধানে উল্লেখ্য এই আইনটি ২০(১) অনুচ্ছেদের বিরোধী ও অযৌক্তিক।
উল্লেখ্য, আদালতের দেওয়া একটি রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টে ‘কেন্দ্র বনাম মেজার্স গণপতি ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি মামলা চলছিল। এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট ২০১৬ সালের ‘বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ সংশোধনী আইন’কে ‘ভবিষ্যনির্ভর’ বলে মন্তব্য করে। কেন্দ্র এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি রমনা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টের পক্ষেই রায় দেয়। সেই সঙ্গে এই বেঞ্চের পরিষ্কার বক্তব্য, শুধু ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ আইনের ৩(২) ধারা নয়, এই বিষয়ে ২০১৬ সালের সংশোধনী আইনও অসাংবিধানিক।

Skip to content