শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি সংগৃহীত

ওড়িশার কেওনঝাড়ের শিলিপদ জঙ্গলে ঢুকেছিল ২৪টি হাতির একটি দল। মহুয়া সংগ্রহ করতে জঙ্গলে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখলেন সেখানে আগে থেকেই মহুয়ার গন্ধে জঙ্গলে এসে উপস্থিত হাতির পাল। সমস্ত মহুয়া ইতিমধ্যেই খেয়ে ফেলেছে। শুধু তা-ই নয়, মহুয়া খেয়ে নেশাগ্রস্ত হাতিরা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েও পড়েছে। তাদের সেই ঘুম ভাঙাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হল গ্রামবাসী এবং বনকর্মীদের।
স্থানীয়দের কথায়, ‘‘ভোর ৬টা নাগাদ আমরা জঙ্গলে গিয়ে দেখি, মহুয়া রাখা সমস্ত পাত্র ভেঙেচুরে গিয়েছে। এক ফোঁটা জলও নেই। হাতিগুলি সেখানেই মহুয়া ভেজানো জল খেয়ে মত্ত হয়ে ঘুমোচ্ছিল।’’
আরও পড়ুন:

গুজরাতে বিজেপির প্রার্থী হলেন রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা, তালিকায় রয়েছেন পাটীদার নেতা হার্দিক পটেলও

ক্যানসারকে হারিয়ে, কেবল মনের জোরেই আজ ‘জেট সেট গো’-এর মালকিন ৩২-র কণিকা

হাতির ওই পালে ৯টি দাঁতাল পুরুষ হাতি ছিল। তা ছাড়াও ৬টি স্ত্রী হাতি এবং ৯টি বাচ্চা হাতি ছিল। সকলেই পেট ভরে মহুয়া খেয়ে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। প্রথমে হাতিদের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরাই। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা এসেও মত্ত হাতিদের ঘুম সহজে ভাঙাতে পারেননি। রীতিমতো ড্রাম বাজিয়ে তাদের জাগাতে হয়েছে। ঘুম ভাঙার পর হাতির পাল হেলতে-দুলতে আবার জঙ্গলের গভীরে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন:

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ১৯: রাজ্যাভিষেকের অপেক্ষায় অধীর অযোধ্যাবাসী

ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৬: গাড়ির সান রুফ খুলে চালিয়ে দিলাম ‘সুহানা সফর হ্যায় ইয়ে মৌসম হাসি, হামে ডর হ্যায় কে…’

ভোরবেলা থেকে ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল হাতিদের। অবশেষে বেলা ১০টা নাগার তাদের ঘুম ভাঙে। তবে বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহুয়া খেয়েই যে হাতিগুলি ঘুমিয়ে পড়েছিল, এমনটা নাও হতে পারে। হয়তো এমনিই ওই হাতির পাল জঙ্গলে বিশ্রাম নিতে এসেছিল। তবে গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, মহুয়া খেয়েই মত্ত হয়ে পড়েছিল দাঁতালরা। মহুয়ার পাত্রগুলিও তারাই ভাঙচুর করেছে।

Skip to content