ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
ট্রাইগ্লিসারাইড কি?
ট্রাইগ্লিসারাইড হল এক ধরনের চর্বি (লিপিড) যা আমদের রক্তে থাকে। যখন আমরা খাবার খাই, তখন ওই খাবার হজমের পর শরীরে শক্তি বা ক্যালোরি তৈরি করে আর অতিরিক্ত ক্যালোরি যা দেহের প্রয়োজনে লাগে না তা ট্রাইগ্লিসারাইডে পরিবর্তিত হয়ে দেহের বিভিন্ন স্থানে জমা হয়। ট্রাইগ্লিসারাইড আমাদের চর্বির কোষকে সংরক্ষণ করে। পরে শরীরের প্রয়োজনের সময় বিশেষ কিছু হরমোন শক্তির জন্য ট্রাইগ্লিসারাইডকে ভেঙে ক্যালোরি তৈরি করে। আমরা যদি নিয়মিতভাবে দেহের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করি, বিশেষ করে উচ্চ-কার্বোহাইড্রেট খাবার থেকে, তাহলে উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড (হাইপারট্রিগ্লিসারাইডেমিয়া) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ট্রাইগ্লিসারাইডের স্বাভাবিক মাত্রা কত?
সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা জানা যায়।
সাধারণত ট্রাইগ্লিসারাইড পরীক্ষা কোলেস্টেরল পরীক্ষার একটি অংশ, যাকে লিপিড প্রোফাইল বলা হয়। সঠিক ট্রাইগ্লিসারাইড পরিমাপের জন্য রক্ত নেওয়ার আগে আপনাকে খালিপেটে থাকতে হবে।
হোমিওপ্যাথি: পায়ের শিরা নীল হয়ে ফুলে যাচ্ছে? হোমিওপ্যাথিতে ভেরিকোজ ভেনের চিকিৎসা সম্ভব
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৬: মজল আঁখি মজেছে মন, ইমোজি তোদের ডাকল যখন
কেন উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড গুরুত্বপূর্ণ?
উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড ধমনীকে শক্ত করতে বা ধমনীর দেওয়ালকে চর্বির আস্তরণ সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় (আরটেরিওস্ক্লেরোসিস), যা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অত্যন্ত উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডগুলি অগ্ন্যাশয়ের তীব্র প্রদাহ (অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ) সৃষ্টি করতে পারে।
শরীরের রক্তবহনকারী নালীর দেওয়ালে ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে থাকে। এর ফলে ওই নালিগুলি সরু হতে হতে রক্ত চলাচলও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হৃদ্রোগ বা ব্রেন স্ট্রোকের মূলে থাকতে পারে রক্তবাহিকায় জমে থাকা অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড। কিডনির সমস্যাও হতে পারে এর ফলে। এ ছাড়া, পাকস্থলীর পাশে এই ট্রাইগ্লিসারাইড জমে ক্ষতি করতে পারে।
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫: সুন্দরবন নামরহস্য
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩: আত্মারামে কুটো বাঁধা আছে
ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর সেরা উপায় কী?
শরীরচর্চা
চিনি ও কার্বোহাইড্রেট
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার
মদ্যপান বর্জন করা ভালো
রিভিউ: ‘সির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’—মনোজ বাজপেয়ী একাই একশো
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২০: পঞ্চমের সুর আর কিশোর-আশার অনবদ্য উপস্থাপনা, ‘এক ম্যায় অউর এক তু’ গানটি আজও সুপারহিট
হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি ঔষধ হাইপারট্রাইগলাইসেমিয়া নিরাময়ে খুবই কার্যকর। হোমিওপ্যাথি ঔষধ লক্ষণ সাদৃশ্যের উপর নির্ভর করে রোগীর উপর প্রয়োগ করা হয়। তাই এক একটি ঔষধ এক এক জন রোগীর উপর ভাল কাজ করে। তবে কিছু ঔষধ এই রোগে খুব কার্যকর যা রোগের লক্ষণ কমাতে ও দ্রুত রোগ মুক্ত হতে সাহায্য করে। যেমন:
তবে হোমিওপ্যাথি ওষুধের কত পটেন্সি, কী পরিমাণে খেতে হবে তার জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করলে এই হাইপারট্রাইগলাইসেমিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
যোগাযোগ: ৭০০৫৬৪৩২৩১