ছবি প্রতীকী
মহিলারা ডিম্বাণু নিয়ে জন্মান, যা তাঁদের ডিম্বাশয়ে জমা থাকে। এই ডিম্বাশয় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন তৈরি করে, যা তাদের পিরিয়ড (ঋতুস্রাব) এবং ডিম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। মেনোপজ হচ্ছে যখন ডিম্বাশয় আর প্রতি মাসে ডিম তৈরি করে না এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। মেনোপজ মহিলাদের বার্ধক্যের একটি নিয়মিত অংশ, যা ৪৫-৫০ বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায়।
প্রি-মেনোপজাল লক্ষণগুলি কি?
মেনোপজের প্রাথমিক উপসর্গগুলো মেনোপজের কাছাকাছি থাকা বেশিরভাগ মহিলারা ভাসোমোটর লক্ষণ নামে পরিচিত। সবচেয়ে সাধারণ হল গরম ঝলকানি, হঠাৎ উষ্ণতার অনুভূতি যা শরীরের উপরের অংশে ছড়িয়ে পড়ে, প্রায়শই মুখ বা ত্বক লাল হয়ে যায় এবং ঘাম হয়। এই ফ্ল্যাশগুলি বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে অল্প মাত্রায় থাকে। তবে অনেকের মধ্যে গুরুতর হতে পারে।
এছাড়াও কারও কারও এই সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে
মেনোপজের সময় ঠিক কী ঘটে?
এর তিনটি পর্যায় রয়েছে।
প্রি-মেনোপজ
এই পর্যায়টি সাধারণত মেনোপজের কয়েক বছর আগে শুরু হয়, যখন ডিম্বাশয় ধীরে ধীরে কম ইস্ট্রোজেন তৈরি করে। ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। প্রি-মেনোপজ মেনোপজ পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যেখানে অনেক মহিলার মেনোপজের লক্ষণ থাকে।
মেনোপজ
এই পর্যায়ের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা দ্রুত হ্রাস পায়। ডিম্বাশয় ডিম ত্যাগ করা বন্ধ করে দেয়। এই ভাবে যখন ঋতুস্রাব এক বছর বন্ধ থাকে, তখন একে মেনোপজ বলে। ডিম্বাশয় ডিম তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বেশিরভাগ ইস্ট্রোজেন তৈরি করা বন্ধ হয়ে যায় এবং এফএসএইচ এর মাত্রা বেড়ে যায়।
পোস্ট মেনোপজ
মেনোপজের পরের পর্যায় হল পোস্ট মেনোপজ। মেনোপজ ভিএমএস যেমন হট ফ্ল্যাশগুলি কয়েক বছর চলতে চলতে ধীরে ধীরে ঠিক হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলি দীর্ঘদিন থাকতে পারে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ে।
হোমিওপ্যাথিতে এর চিকিৎসা আছে?
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি মেনোপজের লক্ষণ কমাতে এবং প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নির্বাহ করতে খুবই কার্যকরী। হোমিওপ্যাথি ওষুধ লক্ষণ সাদৃশ্যের উপর নির্ভর করে রোগীর উপর প্রয়োগ করা হয়। তাই এক একটি ওষুধ এক এক জন রোগীর উপর ভালো কাজ করে। তবে কিছু ওষুধ মেনোপজের লক্ষণ কমাতে খুব কার্যকর।
কী কী মেনে চলা উচিত?
যোগাযোগ: ৭০০৫৩৫৮৯১৬