রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

কনজাংটিভাইটিস ‘গোলাপি চোখ’ নামেও পরিচিত। কনজাংটিভা হল একটি স্বচ্ছ ঝিল্লি যা চোখের পাতা ও সাদা অংশকে ঢেকে রাখে। আর সংক্রমণের কারণে স্বচ্ছ ঝিল্লি লালচে হয়ে যায়। তাই কনজাংটিভাইটিসের আরেক নাম গোলাপি চোখ। মূলত এটি একটি প্রদাহ, যেখানে কনজাংটিভা সংক্রমিত হয়। চোখ গোলাপি হলে কনজাংটিভাতে রক্তনালীগুলি স্ফীত হয়ে চোখকে লাল বা গোলাপি করে দেয়। এই কনজাংটিভাইটিস একাধিক ধরনের হতে পারে। তার লক্ষণও আলাদা আলাদা।

কনজাংটিভাইটিস সাধারণত শিশুদেই বেশি হয়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়। দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ও যত্ন নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিছুদিনের মধ্যে সেরে যায়।
 

বিভিন্ন ধরনের কনজাংটিভাইটিস

ব্যাকটেরিয়াজনিত কনজাংটিভাইটিস
ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস
অ্যালার্জি কনজাংটিভাইটিস
 

ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস

এই ধরনের কনজাংটিভাইটিস স্ট্যাফাইলোকক্কাল বা স্ট্রেপ্টোকক্কাল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি হয়। এটি ধরনের কনজাংটিভাইটিস সাধারণত অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখে স্পর্শ, মেকআপ শেয়ার বা কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ছড়াতে পারে।
 

ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস

সাধারণত ঠান্ডা লাগা ভাইরাস থেকেও এই ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত কেউ কাছাকাছি কাশলে বা হাঁচলেও তা থেকে ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
 

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস সাধারণত মরসুমি অ্যালার্জি থেকে হয়। আবার অ্যালার্জি হতে পারে এমন কিছুর সংস্পর্শে এলে তা থেকেও অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
এছাড়াও কন্ট্যাক্ট লেন্স নিয়মিত পরিবর্তন ও পরিষ্কার না করলেও এক ধরনের কনজাংটিভাইটিস হয় থাকে, যাকে জয়েন্ট প্যাপিলারি কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। আবার কিছু রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে সেগুলির সংস্পর্শে এলেও কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।

 

প্রাথমিক উপসর্গ কী কী?

চোখের সাদা অংশে লালভাব।
চোখের পাতা ফুলে যাওয়া।
চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকে।
ঘুম থেকে উঠলে চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যায়।
চোখ লাল হযে যাওয়া, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, চোখ চুলকানো, চোখ দিয়ে জল পড়া।
চোখ ঝাপসা দৃষ্টি।
আলোর দিকে তাকাতে না পারা।
চোখে অতিরিক্ত পিচুটি তৈরি হওয়া। চোখের পাতা পিচুটির জন্য আটকে যেতে পারে।
চোখে আলো পড়লে অসহ্য অনুভূতি হওয়া, ঝাপসা দেখার সম্ভাবনা। জ্বরও হতে পারে।

আরও পড়ুন:

হোমিওপ্যাথি: আঁচিল নিয়ে অস্বস্তি? চিন্তা নেই, হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে সহজ সমাধান

ছোটদের যত্নে: শিশুকে টনসিলের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে চান? মেনে চলুন শিশু বিশেষজ্ঞের এই সব টিপস

ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৬: গাড়ির সান রুফ খুলে চালিয়ে দিলাম ‘সুহানা সফর হ্যায় ইয়ে মৌসম হাসি, হামে ডর হ্যায় কে…’

ইংলিশ টিংলিশ: Types of Sentences কাকে বলে জান কি?

 

প্রতিরোধের উপায়

কনজাংটিভাইটিস এড়াতে ভালো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলতে হবে।
চোখ পরিষ্কার করতে পরিষ্কার টিস্যু এবং তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে।
প্রসাধনী, বিশেষ করে আইলাইনার বা মাস্কারা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার না করা যাবে না।
কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়? কোন কোন ফল নিয়মিত খেলে সমস্যা মিটবে?

‘ব্রহ্মাস্ত্র ২’-এ বিজয় দেবেরাকোন্ডাকে দেখা যাবে? কোন চরিত্রের জন্য ভাবা হচ্ছে এই দক্ষিণী সুপারস্টারকে

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৫: মাটির পথ — জীবন রথ

নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব -২০: গিরিশচন্দ্রের অন্যতম সেরা সামাজিক নাটক ‘হারানিধি’

 

হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথি ওষধ কনজাংটিভাইটিস নিরাময়ে খুবই কার্যকর। হোমিওপ্যাথি ওষধ লক্ষণ সাদৃশ্যের উপর নির্ভর করে রোগীর উপর প্রয়োগ করা হয়। তাই এক একটি ওষধ এক এক জন রোগীর উপর ভালো কাজ করে। তবে কিছু ওষধ এই রোগে খুব কার্যকর, যা রোগের লক্ষণ কমাতে ও দ্রুত রোগমুক্ত হতে সাহায্য করে। যেমন ইউফ্রেসিয়া ওষধ পটেন্সি এবং চোখের ড্রপ কনজেক্টিভাইটিস নিরাময়ে বেশ কার্যকর। এছাড়াও এলিয়াম সেপা, নাইট্রিক অ্যাসিড, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম, নেট্রাম মিউরিটিকাম, থুজা ওষুধ ক্ষেত্রে বিশেষে ব্যবহার করা হয়।
তবে হোমিওপ্যাথি ওষধের কত পটেন্সি, কী পরিমাণে খেতে হবে এর জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যোগাযোগ: ৭০০৫৩৫৮৯১৬

* হোমিওপ্যাথি (Homeopathy–Health Tips): ডাঃ দেবজ্যোতি সাহা (Debajyoti Saha), বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, মেডিকেল আফিসার, রিজিওন্যাল ইন্সিটিউট অফ ফারমাসিতুকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আগরতলা।

Skip to content