শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

সাধারণ সর্দিকাশি মূলত ভাইরাস বা অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। এর প্রভাবে নাক এবং গলায় অস্বস্তি হয়। সাধারণত সর্দিকাশি ৩ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হতে পারে। আমাদের বায়ুমণ্ডলে ২০০টিরও বেশি ধরণের ভাইরাস রয়েছে। এগুলি সাধারণ সর্দিকাশির কারণ হতে পারে। তার মধ্যে রাইনো ভাইরাসটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এই ভাইরাসটি সাধারণ সর্দিকাশির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ দায়ী।
 

সর্দি-কাশির কারণ

তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন থেকেও সর্দি হতে পারে।
ঠান্ডা হাওয়ার সংস্পর্শের আসা।
ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া।
পরাগ রেণু, ধুলো, সুগন্ধি স্প্রে, প্রাণীর ডেন্ডার ইত্যাদি এবং সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার জন্য হতে পারে।

 

কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়

ভাইরাস সংক্রামিত ব্যক্তির সর্দি বা থুতুতে এই ভাইরাসটি থাকে। অন্যের হাঁচি-কাশির মাধ্যমেও এটি ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এই ভাইরাসে সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। যেমন রুমাল, পেনসিল, টেলিফোন, হ্যান্ডশেক ইত্যাদি। ভাইরাস সরাসরি নাক বা চোখের মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন:

নাকের পলিপের চিকিৎসায় সার্জারিই একমাত্র পথ নয়, বরং আগেভাগে সচেতন হলে সার্জারির প্রয়োজনই পড়ে না

ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে: সামনে পরীক্ষা? চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য রইল ১০টি জরুরি পরামর্শ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫১: বিয়েশাদির ঠাকুরবাড়ি

 

প্রাথমিক উপসর্গ

নাক বয়ে যাওয়া
হাঁচি
নাক ও গলায় অস্বস্তি।
নাক বন্ধ থাকা।
গলায় ঠান্ডা লাগা।
শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা।
হালকা জ্বর থাকতে পারে। তবে জ্বর সাধারণত ২ থেকে ৩ দিনের বেশি থাকে না।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৭: যত কাশি, তত কাফ সিরাপ?

শীতকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ে? হার্ট ও কিডনির যত্ন নেবেন কীভাবে? চনমনে থাকতে জেনে নিন ডাক্তারবাবুর জরুরি পরামর্শ

স্বাদ-বাহারে: রাঁধুনি আর বিলাতি ধনেপাতা দিয়ে ট্যাংরা

 

কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে

সর্বদা হাতের পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

দরকার মতো স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

চোখ এবং নাক স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।

শীতের সময় ঘন ঘন ঠান্ডা হাওয়ার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

বাচ্চাদের ঠান্ডা হাওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখুন।

যদি কেউ ইতিমধ্যেই সাধারণ সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে।

তরল এবং ভালো পুষ্টিকর খাবার দিন।

প্রয়োজন মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুন:

জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-৪: কাশীর পথে-ঘাটে

যোগা-প্রাণায়াম: গ্যাস-অ্যাসিডিটির সমস্যায় জেরবার? যোগাসনে মিলবে মুক্তি

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৩৪: শুধু কি পিতৃবিয়োগব্যথা লাভ ভরতের, না কি আরও দুঃখ অপেক্ষমাণ…

 

চিকিৎসা

ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণ সর্দি-কাশিতে হোমিওপ্যাথি খুবই কার্যকরী। অনেক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আছে। কিন্তু কোন ওষুধ কোন ব্যক্তির উপর কতটা কাজ করবে তা নির্ভর করে রোগীর উপসর্গ এবং তার শরীরের গঠনের উপর। অ্যাকোনাইট, বেলাডোনা আর্সেনিক অ্যালবাম, জাস্টিসিয়া আধাটোডা, ক্যাসিয়া সোফেরা ইত্যাদি হোমিওপ্যাথি শিশুদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কাশি এবং সর্দির প্রবণতা সম্পূর্ণরূপে নিরাময়ে কার্যকর। তাই সেরা ফলাফল পেতে যোগ্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

যোগাযোগ: ৭০০৫৩৫৮৯১৬

* হোমিওপ্যাথি (Homeopathy – Health Tips): ডাঃ দেবজ্যোতি সাহা (Debajyoti Saha), বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক।

Skip to content