ছবি প্রতীকী
বাড়িতে হোক বা বাইরে চারদিকেই প্লাস্টিকের জিনিস ছড়িয়েছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। কিছু কিনতে গেলে যেমন প্লাস্টিকের ব্যাগে করে আনবেন তেমনি জল কিনে খেতে গেলেও প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার হয়। বাড়িতে এমন অনেক জিনিস আমরা ব্যবহার করি যা প্লাস্টিকের হয় কিন্তু ব্যবহারের পর আমরা ফেলে না দিয়ে কোথাও একটা রেখে দিই পরে ফেলব ভেবে। যদিও এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো আমাদের জন্য খুব দরকারি কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা প্লাস্টিকহীন করে তোলা খুবই কঠিন। এই পৃথিবীতে প্লাস্টিকের জঞ্জাল বানানোর চেয়ে পুরোনো প্লাস্টিকের জিনিসগুলিকে পুনরায় কীভাবে ব্যবহার করা সম্ভব, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন৷ একটু চিন্তাভাবনা করলেই আমরা তা দিয়ে বানাতে পারব বাড়ি সাজানোর নানারকম সরঞ্জাম। এই জিনিসগুলো দেখতে যতটা সুন্দর হবে ততটাই সহজে আর কম পরিশ্রমে হাতের কাছে থাকা জিনিস দিয়ে বানানো যাবে। এরকমই কয়েকটি সামগ্রীর হদিশ দিলাম এখানে৷
প্লাস্টিকের বোতল থেকে বানান পেনস্ট্যান্ড
যে কোনও প্লাস্টিকের বোতল বা সফট ড্রিঙ্কের ৫০০ মিলির বোতলের মুখের সরু দিকটা গোল করে কেটে নিন পাতলা ছুরি দিয়ে৷ তারপর গায়ে পোস্টার কালার দিয়ে নানা রঙিন নকশা এঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পেনস্ট্যান্ড। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে বাচ্চা আছে তাদের কাছে দিয়ে দিন তারাই রং করে বানিয়ে নেবে তাদের মতো করে। তারপর রেখে দিন তাদের পড়ার টেবিলে। শুধু পেন বা পেনসিল নয়, ক্রেয়ন রাখার জন্য পেনসিল বক্সের বদলে এই রকম ক্রেয়ন হোল্ডার বানাতে পারে৷
গাছ লাগান
সফট ড্রিঙ্কের এক বা দু’ লিটারের বড় বোতলের পেটের দিক থেকে আয়তাকার একটা বক্স কেটে নিয়ে তার মধ্যে সার দেওয়া মাটি ভরে বাহারি গাছ লাগান৷ এই গাছগুলি বারান্দায় বা জানালায় ঝুলিয়ে রাখলে দেখতে দারুণ লাগবে৷ বিশেষ করে মরশুমি রঙিন ফুলের গাছ লাগালে ভোল বদলে যাবে আপনার বারান্দার বা জানালার। পথচলতি মানুষও চেয়ে দেখবে।
বাথরুমে রাখার হোল্ডার
অর্ধেক করে কেটে নিন ৫০০ মিলির সফট ড্রিঙ্কের বোতল৷ ইচ্ছেমতো নকশা করে বাথরুমে রাখুন৷ টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, টাং ক্লিনার, রেজ়ার ইত্যাদি এর মধ্যে ভরে রেখে দিন৷ বাথরুমেও থাকবে আপনার হাতের কাজের জাদু।
বাটি তৈরি করুন
দু’ লিটারের সফট ড্রিঙ্কের বোতলের তলার দিকটা কেটে নিন গোল করে৷ কাটতে গেলে একটু অসমান হবে তাতে গরম ইস্তিরি চালিয়ে নিয়ে মসৃণ করবেন৷ এবার ইচ্ছেমতো বাটিগুলোকে সাজিয়ে নিন নানারঙের কাগজ বা পেইন্ট ব্যবহার করে৷ ছোট ছোট এই বাটিগুলিকে স্ন্যাক্স বোল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
গয়নার স্ট্যান্ড বানান
বেশ কয়েকটি দু’ লিটারের বোতলের তলার দিকটা কেটে নিন। প্রথমটা উলটো করে রাখুন, মাঝখান দিয়ে গলিয়ে দিন একটি মেটালের রড। তৈরি হয়ে গেল আপনার স্ট্যান্ড৷ তারপর প্রতিটি চাকতির মাঝে ফুটো করে এই রডের মধ্যে দিয়ে গলিয়ে নিন। প্রতিটি ফুটোর আকার এমন হবে যাতে তা রডের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির হয়ে থাকে। দুল, আংটি, হারের মতো ছোটখাট জিনিস রাখতে পারেন।
প্লাস্টিকের পাখা
বড় একটি প্লাস্টিকের বোতল প্রথমে মাঝবরাবর কেটে নিন। এরপর বোতলের ওপরের অংশটিকে কাঁচি দিয়ে সমান তিনটি ভাগে কেটে নিন বোতলের মুখ পর্যন্ত। কাটা তিনটি অংশকে বাকিয়ে পাখা বানান। মোমবাতি জ্বালিয়ে পাখাগুলো নির্দিষ্ট শেপে আনুন। এবার ছিপির মাঝবরাবর ফুটো করুন এবং সেখানে মোটর বসান। এবার ককশিট দিয়ে স্ট্যান্ড তৈরি করে তাতে মোটর এবং সুইচ বসান। এবার মোটরযুক্ত ছিপিতে বোতলের পাশার অংশটি যুক্ত করে তিন থেকে ছয় ভোল্টের ব্যাটারি সংযোগ দিয়ে শরীরে লাগান ঠান্ডা বাতাস।
ঝাড়বাতি
প্লাস্টিকের বোতলের নীচের অংশ কেটে রং করে নিন। শুকিয়ে গেলে আঠা দিয়ে বা ফুটো করে জোড়া দিন, ভেতরে রেখে দিন পছন্দের রঙের লাইট। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আনকমন ঝাড়বাতি।
মাছের পিঠের মতো ঝাড়বাতি
বড় একটি বোতল নিয়ে নীচের অংশ কেটে ফেলে দিন। এবার ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিকের চামচের ডাঁটা কেটে ফেলুন। চামচের ওপরের অংশ আঠা দিয়ে সেট করুন বোতলের গায়ে। মাছের আঁশের মতো করে বসান। বোতলের মুখের জায়গায় পরপর সেট করুন আরও কিছু চামচের মাথা, এতে মুখটা ঢাকা পড়ে যাবে। এরপর একটা বাল্ব তারের সঙ্গে সংযুক্ত করে বোতলের ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দিলে তৈরি হয়ে যাবে চমৎকার ঝোলানো ল্যাম্প।
ফুলেল ল্যাম্প
রঙিন বোতলের নীচের অংশ কেটে নিন। এরপর আঠা দিয়ে জোড়া দিয়ে একটি গোলক বানান। একদম নীচে মাঝখানে ফাঁকা রাখুন। এরপর একটা ল্যাম্পস্ট্যান্ডের ওপর বসিয়ে দিন। দুর্দান্ত ল্যাম্পশেড তৈরি হয় যাবে।
কার্টুন টব
বোতলের নীচের অংশ কার্টুনের শেপে কাটুন। কানের জন্য বাড়তি অংশ রাখবেন। বাচ্চাদের প্রিয় যেকোনও কার্টুন ক্যারেক্টার এঁকে নিন রং দিয়ে। শুকিয়ে গেলে সুতা বেঁধে ঝুলিয়ে দিন ঘরের কোনায়। ভেতরে গাছ লাগিয়ে দিন। দেখতে তো দারুণ লাগবেই, বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে গাছের যত্নও শিখবে।
পাতার ঝোলানো ল্যাম্প
সবুজ পাতা দিয়ে বানানো ঝুলন্ত ল্যাম্প বানাতে পারেন একটু কষ্ট করলেই। সবুজ, সাদা, হলুদ, বাদামি এমন নানা রঙের বোতল থেকে পাতা কেটে নিন। পাতার ধার মসৃণ করা ও শিরা বানানোর জন্য সাবধানে ইস্তিরি ব্যবহার করুন। এরপর তার দিয়ে ডাল বানিয়ে পাতাগুলো লাগিয়ে নিন। ডালের এক মাথা খালি রাখুন। পাতাগুলো নীচের দিকে দিয়ে গোল করে শেপ দিন। শেষে পছন্দমতো বাল্ব লাগান। রাতে তো দারুণ লাগবেই, দিনেও অসাধারণ দেখতে লাগবে।
ফুলদানি
কোমল পানীয়ের বোতল নিন যেগুলো নীচে একটু বাঁকানো থাকে। মাঝবরাবর কেটে। এরপর খাঁজ কাটুন। কাটা হলে হাতের চাপে ছড়িয়ে সেট করুন। এরপর প্রত্যেকটা খাঁজ বাঁকিয়ে দিন। তৈরি হবে অন্যরকম ফুলদানি। অতিথি এলে চটপট বানিয়ে ফুল রেখে চমকে দিতে পারবেন সহজেই।
স্বচ্ছ পর্দা
স্বচ্ছ বোতলের নীচের ফুল এক মাপে কেটে নিন। একটা পর্দা তৈরির জন্য যতগুলো প্রয়োজন, এটা নির্ভর করবে আপনি কোন মাপে বানাবেন তার উপর। এরপর ফাইবারের স্বচ্ছ সুতা দিয়ে গেঁথে ফেলুন। এভাবে তৈরি হয়ে যাবে আপনার বসার ঘরের, বারান্দার কাচের স্লাইডিং ডোরের জন্য ফুলেল পর্দা। এর ভেতর দিয়ে বাইরের প্রকৃতি, বৃষ্টি দেখুন আর উপভোগ করুন। সঙ্গে প্রিয়জনের প্রশংসা তো আছেই।
টেবিলের উপরে সাজান গাছ বসিয়ে
বেশ কয়েকটি ২ লিটারের বোতলের নীচের অংশটি কেটে নেবেন বাটির মতো। কাটার সময় লম্বায় একটু লম্বা করে কাটবেন। তারপর নানারকম রং দিয়ে রং করুন বাটিগুলো। এরপর একটা পিচবোর্ড গোল করে কেটে রং করে নিন। তার উপর আঠা দিয়ে পাশাপাশি বসান বাটিগুলো। বাটিগুলোর মধ্যে রাখতে পারেন ছোট ছোট আর্টিফিশিয়াল প্লাস্টিকের গাছ, রঙিন পাথর। এমনকী ছোট ছোট ফল রাখার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন। এটা রাখতে পারেন ডাইনিং টেবিল বা টি-টেবিলে। অন্যরকম ভাবে প্রশংসা পাবেন আপনি।
প্লাস্টিকের বোতল থেকে বানান পেনস্ট্যান্ড
যে কোনও প্লাস্টিকের বোতল বা সফট ড্রিঙ্কের ৫০০ মিলির বোতলের মুখের সরু দিকটা গোল করে কেটে নিন পাতলা ছুরি দিয়ে৷ তারপর গায়ে পোস্টার কালার দিয়ে নানা রঙিন নকশা এঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পেনস্ট্যান্ড। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে বাচ্চা আছে তাদের কাছে দিয়ে দিন তারাই রং করে বানিয়ে নেবে তাদের মতো করে। তারপর রেখে দিন তাদের পড়ার টেবিলে। শুধু পেন বা পেনসিল নয়, ক্রেয়ন রাখার জন্য পেনসিল বক্সের বদলে এই রকম ক্রেয়ন হোল্ডার বানাতে পারে৷
গাছ লাগান
সফট ড্রিঙ্কের এক বা দু’ লিটারের বড় বোতলের পেটের দিক থেকে আয়তাকার একটা বক্স কেটে নিয়ে তার মধ্যে সার দেওয়া মাটি ভরে বাহারি গাছ লাগান৷ এই গাছগুলি বারান্দায় বা জানালায় ঝুলিয়ে রাখলে দেখতে দারুণ লাগবে৷ বিশেষ করে মরশুমি রঙিন ফুলের গাছ লাগালে ভোল বদলে যাবে আপনার বারান্দার বা জানালার। পথচলতি মানুষও চেয়ে দেখবে।
বাথরুমে রাখার হোল্ডার
অর্ধেক করে কেটে নিন ৫০০ মিলির সফট ড্রিঙ্কের বোতল৷ ইচ্ছেমতো নকশা করে বাথরুমে রাখুন৷ টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, টাং ক্লিনার, রেজ়ার ইত্যাদি এর মধ্যে ভরে রেখে দিন৷ বাথরুমেও থাকবে আপনার হাতের কাজের জাদু।
বাটি তৈরি করুন
দু’ লিটারের সফট ড্রিঙ্কের বোতলের তলার দিকটা কেটে নিন গোল করে৷ কাটতে গেলে একটু অসমান হবে তাতে গরম ইস্তিরি চালিয়ে নিয়ে মসৃণ করবেন৷ এবার ইচ্ছেমতো বাটিগুলোকে সাজিয়ে নিন নানারঙের কাগজ বা পেইন্ট ব্যবহার করে৷ ছোট ছোট এই বাটিগুলিকে স্ন্যাক্স বোল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
গয়নার স্ট্যান্ড বানান
বেশ কয়েকটি দু’ লিটারের বোতলের তলার দিকটা কেটে নিন। প্রথমটা উলটো করে রাখুন, মাঝখান দিয়ে গলিয়ে দিন একটি মেটালের রড। তৈরি হয়ে গেল আপনার স্ট্যান্ড৷ তারপর প্রতিটি চাকতির মাঝে ফুটো করে এই রডের মধ্যে দিয়ে গলিয়ে নিন। প্রতিটি ফুটোর আকার এমন হবে যাতে তা রডের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির হয়ে থাকে। দুল, আংটি, হারের মতো ছোটখাট জিনিস রাখতে পারেন।
প্লাস্টিকের পাখা
বড় একটি প্লাস্টিকের বোতল প্রথমে মাঝবরাবর কেটে নিন। এরপর বোতলের ওপরের অংশটিকে কাঁচি দিয়ে সমান তিনটি ভাগে কেটে নিন বোতলের মুখ পর্যন্ত। কাটা তিনটি অংশকে বাকিয়ে পাখা বানান। মোমবাতি জ্বালিয়ে পাখাগুলো নির্দিষ্ট শেপে আনুন। এবার ছিপির মাঝবরাবর ফুটো করুন এবং সেখানে মোটর বসান। এবার ককশিট দিয়ে স্ট্যান্ড তৈরি করে তাতে মোটর এবং সুইচ বসান। এবার মোটরযুক্ত ছিপিতে বোতলের পাশার অংশটি যুক্ত করে তিন থেকে ছয় ভোল্টের ব্যাটারি সংযোগ দিয়ে শরীরে লাগান ঠান্ডা বাতাস।
ঝাড়বাতি
প্লাস্টিকের বোতলের নীচের অংশ কেটে রং করে নিন। শুকিয়ে গেলে আঠা দিয়ে বা ফুটো করে জোড়া দিন, ভেতরে রেখে দিন পছন্দের রঙের লাইট। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আনকমন ঝাড়বাতি।
মাছের পিঠের মতো ঝাড়বাতি
বড় একটি বোতল নিয়ে নীচের অংশ কেটে ফেলে দিন। এবার ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিকের চামচের ডাঁটা কেটে ফেলুন। চামচের ওপরের অংশ আঠা দিয়ে সেট করুন বোতলের গায়ে। মাছের আঁশের মতো করে বসান। বোতলের মুখের জায়গায় পরপর সেট করুন আরও কিছু চামচের মাথা, এতে মুখটা ঢাকা পড়ে যাবে। এরপর একটা বাল্ব তারের সঙ্গে সংযুক্ত করে বোতলের ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দিলে তৈরি হয়ে যাবে চমৎকার ঝোলানো ল্যাম্প।
ফুলেল ল্যাম্প
রঙিন বোতলের নীচের অংশ কেটে নিন। এরপর আঠা দিয়ে জোড়া দিয়ে একটি গোলক বানান। একদম নীচে মাঝখানে ফাঁকা রাখুন। এরপর একটা ল্যাম্পস্ট্যান্ডের ওপর বসিয়ে দিন। দুর্দান্ত ল্যাম্পশেড তৈরি হয় যাবে।
কার্টুন টব
বোতলের নীচের অংশ কার্টুনের শেপে কাটুন। কানের জন্য বাড়তি অংশ রাখবেন। বাচ্চাদের প্রিয় যেকোনও কার্টুন ক্যারেক্টার এঁকে নিন রং দিয়ে। শুকিয়ে গেলে সুতা বেঁধে ঝুলিয়ে দিন ঘরের কোনায়। ভেতরে গাছ লাগিয়ে দিন। দেখতে তো দারুণ লাগবেই, বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে গাছের যত্নও শিখবে।
পাতার ঝোলানো ল্যাম্প
সবুজ পাতা দিয়ে বানানো ঝুলন্ত ল্যাম্প বানাতে পারেন একটু কষ্ট করলেই। সবুজ, সাদা, হলুদ, বাদামি এমন নানা রঙের বোতল থেকে পাতা কেটে নিন। পাতার ধার মসৃণ করা ও শিরা বানানোর জন্য সাবধানে ইস্তিরি ব্যবহার করুন। এরপর তার দিয়ে ডাল বানিয়ে পাতাগুলো লাগিয়ে নিন। ডালের এক মাথা খালি রাখুন। পাতাগুলো নীচের দিকে দিয়ে গোল করে শেপ দিন। শেষে পছন্দমতো বাল্ব লাগান। রাতে তো দারুণ লাগবেই, দিনেও অসাধারণ দেখতে লাগবে।
ফুলদানি
কোমল পানীয়ের বোতল নিন যেগুলো নীচে একটু বাঁকানো থাকে। মাঝবরাবর কেটে। এরপর খাঁজ কাটুন। কাটা হলে হাতের চাপে ছড়িয়ে সেট করুন। এরপর প্রত্যেকটা খাঁজ বাঁকিয়ে দিন। তৈরি হবে অন্যরকম ফুলদানি। অতিথি এলে চটপট বানিয়ে ফুল রেখে চমকে দিতে পারবেন সহজেই।
স্বচ্ছ পর্দা
স্বচ্ছ বোতলের নীচের ফুল এক মাপে কেটে নিন। একটা পর্দা তৈরির জন্য যতগুলো প্রয়োজন, এটা নির্ভর করবে আপনি কোন মাপে বানাবেন তার উপর। এরপর ফাইবারের স্বচ্ছ সুতা দিয়ে গেঁথে ফেলুন। এভাবে তৈরি হয়ে যাবে আপনার বসার ঘরের, বারান্দার কাচের স্লাইডিং ডোরের জন্য ফুলেল পর্দা। এর ভেতর দিয়ে বাইরের প্রকৃতি, বৃষ্টি দেখুন আর উপভোগ করুন। সঙ্গে প্রিয়জনের প্রশংসা তো আছেই।
টেবিলের উপরে সাজান গাছ বসিয়ে
বেশ কয়েকটি ২ লিটারের বোতলের নীচের অংশটি কেটে নেবেন বাটির মতো। কাটার সময় লম্বায় একটু লম্বা করে কাটবেন। তারপর নানারকম রং দিয়ে রং করুন বাটিগুলো। এরপর একটা পিচবোর্ড গোল করে কেটে রং করে নিন। তার উপর আঠা দিয়ে পাশাপাশি বসান বাটিগুলো। বাটিগুলোর মধ্যে রাখতে পারেন ছোট ছোট আর্টিফিশিয়াল প্লাস্টিকের গাছ, রঙিন পাথর। এমনকী ছোট ছোট ফল রাখার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন। এটা রাখতে পারেন ডাইনিং টেবিল বা টি-টেবিলে। অন্যরকম ভাবে প্রশংসা পাবেন আপনি।