বুধবার ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

খুব সহজে এবং কম খরচে সুন্দর গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। ঘরের কোণের সবুজ অ্যালোভেরা অথবা বারান্দার লম্বা মানি প্লান্টের শোভায় তাক লাগিয়ে দিতে পারেন অতিথিদের। ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে ঘর সাজানোর তুলনা হয় না। এসব গাছের অনেক গুণ। এরা ঘরের পরিবেশকে কেবল সুন্দরই করে না, দূষণও কমায়। পাশাপাশি ঘরের ভেতর অক্সিজেন সরবরাহ করে, ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘরে গাছ থাকলে স্ট্রেস কমে। পরিবেশ ও মন- দু’টিই ভালো থাকে। ইনডোর প্লান্টের বৃদ্ধি কম হবে। এরা সাধারণ ভাবে গাড় সবুজ হয়ে থাকে, এদের ফুল হয় কম, অক্সিজেন দেয় বেশি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে বেশি মাত্রায়। তাই ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং ঠিক মতো অক্সিজেন পেতে ঘরে বা বারান্দায় রাখতে পারেন গাছ। তবে গাছ কেনার আগে ভালো করে জেনে নিন পছন্দের গাছটি ঘরের ভেতর রাখার উপযোগী কি না। যেমন মানিপ্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, ফিলোডেনড্রন, এরিকা পাম, পাতাবাহার—এসব গাছ ঘরে রাখার উপযোগী।
 

মানি প্লান্ট

এই গাছটির সঙ্গে প্রায় সকলেই পরিচিত। ছোট টবে ভীষণ সুন্দর লাগে এই গাছ। বসার ঘরে বা কাজের টেবিলে চাইলেই রাখতে পারেন। এই গাছের কাটিং সংগ্রহ করলেও খুব সহজেই তা বেঁচে যায়। মাটি ভরতি টবে কয়েকটি কাটিং পুঁতে দিন। নিয়মিত জল দিন। ছায়ায় রাখুন। দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যেই কাটিং-গুলি বাড়তে শুরু করবে। প্রয়োজন মতো ছেঁটে দেবেন।
 

অ্যালোভেরা

লম্বা পাতার কাঁটা কাঁটা এই গাছ বারান্দার দারুন শোভা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরার প্রচুর গুনাগুণও রয়েছে। রুপ চর্চায় অ্যালোভেরার গুরুত্ব অপরিসীম। খুব বেশি দাম হয় না এই গাছের। তবে একবার ধরে গেলে প্রচুর চারা হয়। তাই কম খরচে কম পরিশ্রমে বাড়িতে রাখতেই পারেন এই গাছ।

আরও পড়ুন:

বঙ্গোপসাগরে ফের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত, মহালয়ার আগেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি?

ত্বকের পরিচর্যায়: টানটান ত্বক চাই? বয়স ধরে রাখতে মেনে চলুন ত্বক বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি

 

স্নেক প্ল্যান্ট

অ্যালোভেরার মতোই গুণাগুণ রয়েছে এই গাছেরও। রাতে অক্সিজেন ছাড়ে আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। তাই ঘরের মধ্যে এই গাছ লাগলে উপকার পাওয়া যাবে রাতেও। আর তাছাড়া এই গাছ দেখতেও বেশ সুন্দর। ঘরের শোভা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
 

এরিকা পাম

এই গাছ ঘরের কোণে রাখলে বেশ সুন্দর লাগে। এই গাছের পাতা দেখতে অনেকটা সুপারি গাছের মতো হয়। অন্যান্য গাছের তুলনায় পাতার পৃষ্ঠভূমিও বেশি। ফলে, বেশি অক্সিজেন উত্পাদন হয়। সাধ্যের মধ্যে এই গাছ ঘরের কোণে রাখাই যায়।
 

কীভাবে গাছের যত্ন নেবেন?

সপ্তাহে অন্তত এক দিন এই গাছগুলিকে রোদে দিন। খেয়াল রাখবেন গাছগুলো কখনওই যেন চড়া রোদ না থাকে। গাছে জল দেওয়ার সময় গোড়ায় যেন একসঙ্গে বেশি জল না জমে সে দিকে নজর রাখতে হবে। রোদে থাকাকালীন জল দেবেন না। কয়েক মাস অন্তর ডাল-পাতা ছেঁটে দিলেই এই গাছগুলি সুন্দর-সতেজ থাকবে।


Skip to content