রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

মনের গতিবিধির উপর নির্ভর করে মানুষের পথচলা। আর মন প্রশান্তি অনুভব করে সৌন্দর্যায়নে। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে যখন ঘরে ফেরেন ঘরের পরিবেশ হৃদয়ে জাগায় মিষ্টি শীতলতা। ঘরের এই পরিবেশের সঙ্গে যদি থাকে সৌন্দর্যের রোশনাই তাহলে বলাবাহুল্য যে মন থাকবে স্বতঃস্ফূর্ত, প্রাণে থাকবে অকৃত্রিম আনন্দ। বাইরের জাগতিক সম্পদ তো অনেকই আছে গৃহসজ্জার জন্য। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের মেলবন্ধনে, প্রাকৃতিক সম্পদের উপকরণে যদি ঘরকে বিকশিত করতে চান সে সৌন্দর্যের মাত্রা একটু আলাদাই হয়ে যায়। প্রকৃতিজাত এমন একটি উপাদান হল বাঁশ। এই বাঁশকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার গৃহকে দিতে পারেন এক অন্য মাধুর্য। যেমন ধরুন আপনি আপনার বাড়িতে ঢোকার প্রবেশ পথেই রাখতে পারেন একটি ফুলদানি, ড্রয়িং রুমে রাখতে পারেন বাঁশের তৈরি সোফা। এছাড়াও ঘরেতে বাঁশের তৈরি টেবিলও রাখতে পারেন। দেওয়ালে বাঁশের তৈরি ছবির ফ্রেম, ঘরে সাজানো শোপিস, বুকশেলফ। এ সমস্ত কিছুই আপনার ঘরকে এক অন্য রঙে রঙিন করে তুলবে৷
বাঁশের তৈরি করা টেবিলল্যাম্প বা ঝোলানো ল্যাম্পশেডও রাখা যেতে পারে। এছাড়াও ক্যাবনেট, বাঁশের কারুকাজ করা আয়না আপনার ঘরকে নান্দনিকতায় ভরিয়ে দেবে। রান্নাঘরে রাখতে পারেন বাঁশের ছোঁয়া। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার র্যা কশেলফ, বাঁশ দিয়ে বানানো বিভিন্ন মশলার বক্স প্রভৃতি। ড্রয়িং রুমে বা আপনার ছাদে তৈরি করা বাগানে আপনি রাখতে পারেন বাঁশ দিয়ে বানানো চেয়ার বা বারান্দায় রাখতে পারেন বাঁশের মোড়া। বাঁশগুলিকে আপনার পছন্দের মানানসই রঙে রাঙিয়ে নিন এবং ঘরের নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন। তবে মাথায় রাখবেন সব ধরনের বাঁশ কিন্তু এ সৌন্দর্যের ধারক হতে পারে না। যেসব বাঁশ হালকা, নমনীয় ও প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী সেগুলিই ব্যবহৃত হয়। কারণ এগুলি যেকোনও আবহাওয়ায় উপযোগী।

Skip to content