মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


সাবিত্রী লজ।

গজেন্দ্র নারায়ণের স্ত্রী সাবিত্রী দেবীর নাম জানা যায় সুসাহিত্যিক হিসেবে। তিনি যে গ্রন্থ রচনা করেন, তার নাম ‘স্বর্গত কুমার গজেন্দ্র নারায়ণ’। এই নাম অনুসারে এ গ্রন্থ ঠিক আত্মজীবনী না হলেও গজেন্দ্র নারায়ণের জীবন কাহিনি রচনার সময় নিজের জীবন কথা স্বাভাবিক ভাবেই যুক্ত হয়েছে। সাবিত্রীদেবী কেশবচন্দ্র সেনের দ্বিতীয়া কন্যা। তাঁর বিবাহ হয় কুমার গজেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে। সাবিত্রীদেবী তাঁর এই গ্রন্থে একদিকে কেশবচন্দ্র সেন অন্যদিকে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ এবং কেন্দ্রবিন্দুতে গজেন্দ্র নারায়ণের কথা রেখে ত্রিমাত্রিক এক সাহিত্য রচনা করেছেন। সেই সময়ের মহিলাদের সামাজিক অবস্থান, রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে গজেন্দ্রের সম্পর্কের আলোচনার পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সাবিত্রী দেবী তাঁর লেখায় বর্ণনা করেছেন।

রাজস্থানের ‘রুদালী’ প্রথার মতো কোচবিহার রাজ্যে একদল’ State Mourner’এর কথা উল্লেখ করেছেন সাবিত্রী এখানে। তাদের বলে ‘মরুনার’। তারাই রাজাদের শোক দুঃখের ভার নিয়ে নিতেন। নিজেদের আত্মীয়ের মৃত্যু হলে রাজারা শ্মশানেও যায় না। অশৌচ পালন ও করেনা। এই মরুনার দলই সম্পত্তির অধিকারী হয়ে রাজাদের ও তাঁর আত্মীয়দের জন্য শোক প্রকাশ করেন। রাজাদের শোক প্রকাশ করতে হয় না, সেখানে এই বিধি প্রচলিত ছিল। …এই মরুনা বা রুদালী প্রথার মত অত্যন্ত অমানবিক, ঘৃণ্য, হৃদয় বিদারক প্রথা মহারানি সুনীতি দেবীর হস্তক্ষেপে রদ করা গিয়েছিল।
সাবিত্রীদেবী রচিত বইটিকে পূর্নাঙ্গ আত্মপরিচয় না বললেও খন্ডিত চরিত মালা বলা যেতে পারে। নৃপেন্দ্রনারায়ণের পুত্র ভিক্টর নিত্যেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে বিবাহ সূত্রে লেখিকা সমাজসেবক নিরূপমা দেবীর কোচবিহারে আগমন ঘটে। সাহিত্য রচনায় আত্মনিয়োগ করে তিনি ধূপ, গোধূলী এবং শেষের কবিতা নামে তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন। মাসিক সচিত্র ‘পরিচারিকা’ ১৯২৩ সালে আত্মপ্রকাশ করে। নিরূপমা দেবীই সম্পাদনা করেন। প্রায় আট বছর এ পত্রিকার সাহিত্য রস পাঠককে মুগ্ধ করেছে। মহিলা সম্পাদক হিসেবে তিনি সে সময় বহু মহিলা কবির লেখা প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে এই পত্রিকা প্রতিষ্ঠাও পায়। ৯০ এর দশকে ‘এক্ষণ’ পত্রিকায় নিরূপমা দেবীর ‘আমার জীবন’ প্রকাশিত হয়।

সাহিত্যিকদের ভাষায় নিরূপমা দেবীকে বলা হয়েছে ‘ঝড়ের পাখি’। মাত্র তেইশ চব্বিশ বছর বয়সেই তাঁর জীবন সংগ্রাম শুরু হয়। আদর্শের সংঘাতে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। তিনি লিখেছেন, ‘…আমার আদর্শের উপর আঘাত আসছিল, তার ভিতর থেকেই আমি নিজের অগোচরে শক্তি অর্জন করছিলাম। আত্মীয় বন্ধুদের উপদেশের বিরুদ্ধে আমার একা লড়তে হবে। জয়ী হতে হবে। আর যদি দরকার হয় মৃত্যুও বরণ করতে হবে। একটা দৃঢ় সংকল্প মনের মাঝে দানা বাঁধে (এক্ষণ, পৃ: ১০১)। তিনি পরে নিজেকে সমাজ কল্যাণ ব্রতে নিয়োজিত করেন।
আরও পড়ুন:

ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৮: রাজবাড়িই রাজনগরের নারীর উন্মুক্ত আকাশ

শিক্ষক দিবসে উজ্জ্বল হোক ছাত্রছাত্রীরা

রাজ কহিনির মধ্য পর্যায়ে রাজ পরিবারের নারীর উড়ানের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য নাম রাজকুমারী গায়ত্রী দেবী। জয়পুরের রাজমাতা যুগ্মভাবে ইংরাজিতে একটি আত্মজীবনী ‘A Princess remembers’ লিখে প্রকাশ করেন। ভারতীয় সংস্করণ ১৯৮২ সনে প্রকাশিত হয়। বইটিতে কোচবিহারের, জয়পুরের বহু সুখ স্মৃতি, একাধিক পারিবারিক কথা, দেশের কথা আছে। জয়পুরের রাজার প্রতি অনুরক্ত অবস্থায় সেই বালিকা বেলা কেমন ছিল তা অত্যন্ত সুখপাঠ্য ও তথ্য পূর্ণ। লেখায় দরদী মনের ছাপ স্পষ্ট। রাজনৈতিক জগতেও গায়ত্রী দেবী বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি অনন্য এক মানুষ। ঘোড়ায় চড়া, শিকার করা সবেতেই তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ। সুশিক্ষা পেয়েছিলেন বোনেরা। তাঁর বড় বোন ইলাদেবীও প্রথম শ্রেণির পাইলট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। গায়ত্রী দেবীর আত্মজীবনীর একটি অপূর্ব বঙ্গানুবাদ বহুদিন পর করেন সাহিত্যিক তৃপ্তি সান্ত্রা।

তোরণ, নহবতখানা, মন্দির।

নৃপেন্দ্রনারায়ণের সময় থেকেই ইংরেজি আদব কায়দার ব্যাপক প্রচলন ঘটেছিল রাজবাড়িতে। এর প্রতিচ্ছবি পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হয়েছিল। বরোদার গায়কোয়াড় রাজপুত্রীর বিবাহ হয়েছিল নৃপেন্দ্র পুত্র জিতেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে। তাঁর নাম ইন্দিরা দেবী। তাঁরই কন্যা পৃথিবীর অন্যতম সুন্দরীর একজন গায়ত্রী দেবী। ইন্দিরা দেবীর রাজকীয়তা ও গরিমা সেই সময় লক্ষ্য করার মতো। ইংরাজি ভাষা শিক্ষা ও স্থানীয় ভাষার একাধিপত্যে ঠিকঠাক বাংলা ভাষা চর্চা হচ্ছেনা বলে তিনি কন্যাদের শান্তিনিকেতনে বাংলা শিক্ষার জন্য পাঠান। ইংরেজি আদব কায়দার পাশাপাশি বহু পুরনো সংবাদ পত্রের পৃষ্ঠায় ‘সতী’ হওয়ার খবর ও পাওয়া যায়। পরে অবশ্য এই রীতি মহারাজাদের এবং ইংরেজদের তদারকিতে স্তব্ধও হয়।

গায়ত্রী দেবীর আত্মজীবনী ইংরেজী ভাষায় লেখা। তিনটি পর্বে বিভক্ত এই আত্মকথা। প্রথম পর্বটি কোচবিহারের জীবনকে কেন্দ্র করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বেড়ে ওঠা, গড়ে ওঠার কাহিনি। দ্বিতীয় পর্বটি তাঁর বিবাহ থেকে শুরু করে জয়পুরের মহারানি হয়ে ওঠার স্মৃতি কথায় পূর্ণ।
তৃতীয় পর্বে স্বাধীন ভারতে মহারানির ভূমিকা কী, এই নিয়ে আলোচনা আছে। মহারানি গায়ত্রী দেবীর আত্মবীক্ষা, তাঁর ব্যক্তিত্ব ভূমিকা এ জীবনীর পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে আছে সংহত রূপে। আত্মজীবনীতে তাঁর ব্যক্তিত্বের যথাযথ স্ফুরণ, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং জনপ্রিয়তার কথাও অকুণ্ঠ চিত্তে তিনি বর্ণনা করেছেন। গায়ত্রী আত্মজীবনী ভারতের অন্যান্য ভাষার আত্মজীবনীর মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন:

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৩: মালিকা পরিলে গলে/ প্রতি ফুলে কে-বা মনে রাখে?…

ফেলে আসা স্মৃতি, সুরসম্রাজ্ঞী দীপালি নাগ, পর্ব-১: প্রায় ৪২ বছর আগেকার কথা, আমি তখন ফ্রক পরা স্কুলের মেয়ে

আসলে কোচবিহার আপন ঐতিহ্যে আর সম্পদে এত ভরপুর যে জলস্রোতের মতো জপরিবারের মহিমা আলোর মত ছড়িয়ে এ শহরকে সাহিত্য সংস্কৃতি সবদিক থেকেই অনেক এগিয়ে রেখেছে। সত্যিকারের মনোগত ইচ্ছের বেগে রাজ অন্তঃপুরের নারীই শুধু নন, সাধারণ অভিজাত সব পরিবারের মহিলাই যুক্ত হয়েছিলেন শিক্ষা, সংস্কৃতি কিংবা সেবামূলক কাজে। যে সময়ে নারীরা ছিলেন পর্দানসীন সে আমলেও সুনীতি দেবীর সাহচর্যে বাড়ির মেয়ে বধূরা ঘোড়ায় টানা গাড়ি চেপে সুনীতি কলেজে (এ নামেই ডাকা হত তখন) যেতেন। এ কথা আগেও উল্লিখিত যে মেম সাহেবরা অনেক কিছু যেমন শিখিয়েছেন, তাঁরাও তেমনি অন্যান্য দিদিমনির কাছ থেকে সূচী শিল্প শিক্ষাও করেছেন। আসলে সম্পূর্ণ হয়ে ওঠার শিক্ষা নারীদের মধ্যে তখন থেকেই শুরু হয়েছিল।

এ প্রাবন্ধিক বা ধারাবাহিকের লেখকের ঠাকুমা স্বর্গীয় হেমনলিনী বিশ্বাস সেই প্রথমদিকের ছাত্রীদের মধ্যে একজন। তাঁকে আমার নতুন উপন্যাস ‘মহারানিকথা’ (আনন্দ নভেলা) উৎসর্গ করেছি। আমার ছেলেবেলা কেটেছে তাঁর ই সাহচর্যে। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য চরিতামৃত এর স্বাদ, বৈষ্ণবপদাবলীর পদগুচ্ছ, শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম আর লাল শালুতে মোড়া পুরাণ ভাগবত গ্রন্থাবলীর স্বাদ নিয়েছিলাম ভালবেসে তাঁর মুখে শুনেই।

ঐতিহ্যময় এই শহরের ঘরের বিভিন্নতা অনেকেই বহু আগেই শিক্ষিত হয়ে উঠেছিলেন পূর্ববর্তী রমণীদের পদাঙ্ক, কাজ, শিক্ষার ধারা অনুসরণ করেই। ১৯২৬ এ মহিলাদের মধ্যে প্রথম বিএ পাশ করলেন ইন্দিরা রায়। ব্যক্তিগত ভাবে যেমন অগ্রগতি তেমনি সমষ্টিগত ভাবেও বিভিন্ন বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী, শিক্ষিকা, প্রধানেরা শিক্ষার প্রদীপ এগিয়ে রেখেছেন যা আজ ও উজ্জ্বল।

গায়ত্রী দেবী।

সাবিত্রী দেবীর লেখনীর আদ্যপান্ত বিচারে গজেন্দ্র নারায়ণের সম্পর্কে অনেক কাজ, সংস্কার জানতে পেরে স্বভাবত ই কোচবিহারের মানুষ আজ ও গজেন্দ্র নারায়ণের মন্দিরের প্রতি আকৃষ্ট হন। প্রতিবছর নভেম্বর মাসে (কার্তিক-অঘ্রান) পূর্ণিমায় রাস যাত্রা আর গুরু নানকের জন্ম তিথির আলোয় কোচবিহার আলোকিত হয়। তখন মদনমোহন বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে কুমার গজেন্দ্র নারায়ণের ঠাকুরবাড়ি আলোক মালায় সেজে ওঠে। মদনমোহন ঠাকুর বাড়ির স্থান বৃহৎ পরিসরে থাকলেও মধ্য শহরে রাস মেলার মাঠের পাশে গজেন্দ্র মন্দির তোরণ আজ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মেলার ক’দিন। মদনমোহনের তোরণের নহবতখানার মত এই মন্দিরের তোরণেও নহবতখানা তৈরি হয়েছে। জনসাধারণকে তা আকৃষ্ট ও করে। বিশেষত রাস মেলার পনের থেকে কুড়ি দিন নাগরিকদের ভিড় লেগে থাকে। পুজো, অনুষ্ঠান সবই মন্দিরটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

মহারাজ হরেন্দ্র নারয়ণের দ্বিতীয় পুত্র মেঘেন্দ্র নারায়ণ। (মহারাজ শিবেন্দ্র নারায়ণের ভাই) তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র ভবেন্দ্র নারায়ণের পুত্র কুমার গজেন্দ্র নারায়ণ ১৮৫৭ সালের ২৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিনিয়র গজেন্দ্র নারায়ণ বলে পরিচিত ছিলেন। ব্যারিস্টার হয়ে এসে তিনি ১৮৮১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের সঙ্গে যুক্ত হন। তখনই তাঁর কাছে কেশবচন্দ্র কন্যার বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। এই বিয়েতে মহারাজার সম্মতি ছিল। অবশ্য রাজ্যের রাজ পরিবার, রাজ কর্মচারী এবং প্রজাদের মধ্যে অসম্মতি ও অসন্তোষ ছিল। ব্রাহ্মসমাজের মধ্যেও নানারকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। গজেন্দ্র নারায়ণের ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করার পর ১৮৮১ সালের ১৩ আগস্ট এই বিবাহ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৭: সে কোন প্রভাতে হইল মোর সাধের ‘নবজন্ম’

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৫: টনিক খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো?

সাবিত্রীদেবী কুমার গজেন্দ্র এর মৃত্যুর (১৯২০সালের ২৭ অক্টোবর) পর তাঁর গ্রন্থটি লেখেন। অবশ্য বইটিতে কোথাও রচনাকাল নেই। ১৯২৮ সালে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। কোচবিহারের প্রজাদের মধ্যে রক্ষণশীল মনোভাব তীব্র ছিল সেটা লক্ষ্য করা যায় নৃপেন্দ্রনারায়ণ ও গজেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে কেশবচন্দ্রের দুই কন্যার বিয়ের ঘটনায়। তবে গজেন্দ্র নারায়ণের ক্ষেত্রে তা সুদূরপ্রসারী হয়েছিল। সাবিত্রীদেবী লিখেছেন, “মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের কতগুলি সহচর তাকে দূরে দূরে রাখিতে চাহিতেন। প্রথম জীবনে তখনকার দেওয়ান ই বিবাহের বিরোধী ছিলেন। যখন কুচবিহারে অ্যাসিস্ট্যান্ট সিভিল জজ-এর পদ প্রাপ্ত হইয়া কুচবিহার রাজ্যে বিশেষভাবে ব্রাহ্মধর্মের বিস্তার করেন ও রাজার প্রিয় পাত্র হন, সেইজন্য তাকে দূরদেশে জলপাইগুড়ির অন্তঃপাতী দেবী গঞ্জে চাকরি দেওয়া হয়।”… কোচবিহারে মূলত তাঁর উদ্যোগেই ব্রাহ্মধর্ম খানিকটা প্রসার ঘটেছিল।

ঋণ স্বীকার:
উত্তর প্রসঙ্গ (কোচবিহার জেলা সংখ্যা), সম্পাদনা দেবব্রত চাকী
রাজনগরে নারী: সেকাল একাল-মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস
স্মরণিকা কোচবিহার জেলা বইমেলা ২০১৯-২০২০
* মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস। সাহিত্যিক ও কবি। কোচবিহার সুনীতি অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষিকা। www.samayupdates.in -এ লিখছেন ‘কোচবিহারের রাজকাহিনি’। একাধিক উপন্যাস, ছোটগল্প সংকলন, প্রবন্ধ সংগ্রহ ও কাব্যগ্রন্থ রয়েছে লেখিকার।

Skip to content