মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


রাজবাড়িতে প্রবেশের প্রধান দরজা।

নদী ঠিক একভাবে কখনও জলে ফুঁসে ওঠে বর্ষায়, কখনও শীতের রুক্ষতায় শুকিয়ে শীর্ণ জলধারায় চরা ফেলে। ইতিহাস সময়কে সঙ্গে নিয়ে এক একটি চরিত্রের জীবন প্রতিফলন ঘটায় এক এক জায়গায়, যেখানে সে জন্মাবে গড়ে উঠবে বাস করবে আর নানা কাজ কীর্তি ছড়িয়ে রেখে যাবে। তোর্সা পাড়ের এই কোচবিহার শহরেও তেমনই ইতিহাসই মানুষ তৈরি করেছে, দিয়ে গিয়েছে কত না অন্তর্দাগ।

আমার ঠাকুরমা হেমনলিনী বিশ্বাস সেই কোন রাজ আমলে মহারানির চালু করা স্কুলে খালি পায়ে মেমদের কাছে লেখাপড়া, সেলাই শেখা, আদব কায়দার শিক্ষা করতে যেতেন। লেখা শিখতেন। এই গল্পগুলো চোখের সামনে আমার ছবির মতো ফুটে থাকে। দেখতে পাই সিনডেরেলার মতো কুমড়োর গাড়িতে চেপে রাজপুরীতে যাচ্ছেন অল্পবয়সী ঠাকুরমা। এখানে অবশ্যই ঘোড়ার গাড়িতে। পরীর জাদু ছোঁয়ায় পোশাক হয়ে গিয়েছিল ঝলমলে, নতুন জুতোয় পা রেখেছিল সিনডেরেলা। ঠিক রাত বারোটায় কেউ সময় মনে করিয়ে দিয়েছিল তাকে। সে দৌড় শুরু করেছিল, নয়তো বেরিয়ে পড়বে যে শতচ্ছিন্ন পোশাক। নতুন এক পাটি জুতো ফেলে চলে গিয়েছিল সে। কেন যে ঠাকুরমার গল্পে সিনডেরেলা মূর্ত হয়ে উঠত জানি না।
এখনও হয়। সুনীতি কালেজে সেলাই, লেখাপড়া সব শিখে কেমন লক্ষ্মী প্রতিমা বউ হয়ে বাড়ি আলো করে রাখতেন। রোদে পিঠ দিয়ে খবরের কাগজ পড়তেন আশি ছুঁয়ে যাওয়া ঠাকুরমা।

এই যে আত্মদর্শন, আত্মপ্রতিষ্ঠা এ বোধ রাজনগরের মানুষের মধ্যে জেগে উঠেছিল খুব দ্রুত। যখন বহু জায়গায় কূপমন্ডুকতা, শিক্ষার অভাব, স্ত্রী শিক্ষার অভাব এমনকি পর্দানশীন নারী জাতি… সে সময়ে দাঁড়িয়ে গৃহবধূরাও রানির আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন। এর পিছনে রাজবাড়ির হাতে গড়া সভ্যতা এবং খানিকটা ইংরেজ শাসনের সুফলের কথা বলতেই হয়।
বিশ্বসিংহ থেকে বীর নারায়ণ, মহীন্দ্র নারায়ণ, দেবেন্দ্র নারায়ণ, ধৈর্যেন্দ্র ধরেন্দ্র হয়ে নৃপেন্দ্র নারায়ণে এসে উপস্থিত হতে কেটে গিয়েছে কতগুলি যুগ পর্ব। নৃপেন্দ্র নারায়ণকে সাহেবি কায়দায় এবং উন্নতমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ইংল্যান্ডে যেতে হয়েছে। ফলত, তাঁর মানসিকতায় কূপমন্ডুকতা র জরাজীর্ণ জাল কবেই খসে পড়েছে। রাজমাতা নিশিময়ী নানাভাবে বালক নৃপেন্দ্র কে সংস্কার রাজবাড়ির পুরোনো নিয়মে কখনওই বাঁধতে পারেননি। তাই বলে দুর্বিনীত ব্যবহার কখনও ছিল না তাঁর। সমস্ত পরিস্থিতি পরিবেশকে অনুকূলে আনার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল নৃপেন্দ্রের। তাঁর সময় থেকেই কোচবিহারের প্রভূত উন্নয়ন। রাজবাড়ির বর্তমান আধুনিক রূপ। পাশ্চাত্য ধারায় ভিক্টোরিয়ান ছায়ার কথা কেউ কেউ বললেও ইতালিয় ধ্রুপদী শিল্পের প্রভাবের কথা আগের পর্বেই বলেছি। রাজবাড়ির সৌন্দর্যে আমরা নগরবাসী শুধু মুগ্ধ নই, দেশ বিদেশের পর্যটকেরা বিভিন্ন তথ্য সংবাদ ইতিহাস বিভিন্ন সময় সংগ্রহ করেছেন।

রাজপুরীর প্রতিটি কক্ষে বিভিন্ন রকমের যুদ্ধাস্ত্র, পোশাক, চিঠিপত্র, তৈজসপত্রের সম্ভার এঁদের সর্ব যুগেই আকর্ষণ করেছে। … শিক্ষামূলক ভ্রমণেও কত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী শিক্ষকের ভিড় দেখেছি। অদ্ভুত সাজানো হয়েছে রাজবাড়ির সামনের বিশাল সবুজ চত্বর। উদ্যানে রকমারি ফুল সেখানে সার বেঁধে মাথা দোলায়। ফেন্সিংয়ের পাশে দুষ্প্রাপ্য মহীরুহ কত! নানা বৃক্ষের সমাহার। রাজবাড়ির পিছনদিকে অফিস ঘর সংলগ্ন সবুজ ক্ষেত্রটিও অদ্ভুত পারিপাট্যে পুরনো ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু লুপ্তপ্রায় মূল্যবান গাছ দিয়ে ঘেরা। গুপ্ত যে সিঁড়ি ঘুরে ঘুরে দেয়ালের শরীর বেয়ে গম্বুজের কাছ ঘেঁষা ছাদে পৌঁছেছে। তাতে সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই।
আরও পড়ুন:

কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-২: রাজাদের স্থাপত্য-কীর্তি ও রাজধানী

বিচিত্রের বৈচিত্র, তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম…

তবে বিশেষ অনুমতি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম অতি উৎসাহে। সিঁড়ি তো দুর্বল নয়ই, বরং লোহার ঘোরানো রেলিং এ সিঁড়ি বেশ মজবুত। নতুন তৈরি বহু ইমারতের চেয়েও পোক্ত। গম্বুজের পাশে ছাদসংলগ্ন টেরাকোটা সদৃশ শৈল্পিক খুঁটি গুলি সৌন্দর্য বহন করে চলেছে আজ ও। গম্বুজের রূপোলি শরীরে যখন অস্ত সূর্যের আলো এসে পড়ে, তখন সেখানে দাঁড়িয়ে পুরো শহরের আনাচ-কানাচ, তোর্সার মুখ ফিরিয়ে বয়ে যাওয়া লক্ষ্য করা যায়। শহরের উঁচু টাওয়ারের মাথা কিংবা জলের উঁচু ট্যাঙ্ক ও যেন হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেওয়া যায়।

নদীর জলধারার মতো পৃথিবীর দেশে দেশে জনস্রোত প্রবাহিত হয়ে চলেছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে এক একটি জনগোষ্ঠী সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্য প্রান্তে প্রবাহিত হচ্ছে। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই এ ধারা চলছে। আজও তা অব্যাহত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক বা আর্থ সামাজিক কারণে কোন জনগোষ্ঠী এক ভূখণ্ড থেকে অন্য ভূখন্ডে পাড়ি দেয়। নতুন অবস্থান কালে সেই ভূখণ্ডের পুরনো অধিবাসীদের সঙ্গে কখনও দ্বন্দ্ব আবার কখনও সহাবস্থান করে।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬: নাম দিয়ে যায় চেনা

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২১: পঞ্চমের সুরের মাদকতায় বুঁদ হয়ে আশা গাইলেন সেই তোলপাড় করা গান ‘পিয়া তু আব তো আজা…’

পুরনো অধিবাসীদের সঙ্গে নবাগতদের সংমিশ্রণ ঘটে। উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে কিছু গ্রহণ ও বর্জনের ফলে নতুন মানুষজন হয়তো আবার ও নতুন ভূখণ্ডের পথে পা বাড়ায়। অনন্তকাল ধরে এ ভাবেই পৃথিবীর সভ্যতা-সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে। চলমান এ পৃথিবীর চলমান মানুষ। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের জনপদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কামরূপ রত্ন পীঠের কথা আলোচনা আগেই হয়েছে। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিঙ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর নিম্ন, অসমের ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া এই বিস্তৃত এলাকায় কালের প্রবাহে বহু জনগোষ্ঠীর সমাবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছে। আধুনিক রূপ এই যে কোচবিহারে সেখানে মিলন মিশ্রণ বেড়েছে বই কমেনি। জনসংখ্যা বেড়েছে বহুতল মাথা উঁচিয়ে ক্রমশ রাজবাড়ির ডানদিক বাঁদিকের আকাশকে অধিকার করে নিতে বসেছে।

গল্‌ফ খেলার নরম ঘাসের মাঠ।

রাজবাড়ির দক্ষিণ দিক পেরিয়ে সাগরদিঘি ডান হাতে রেখে পেরিয়ে গিয়ে জেলা গ্রন্থাগার ছাড়িয়ে এলে লাল ইটের স্কুল বাড়িটার দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছাত্রী বা দিদিমণি যে গম্বুজের সৌন্দর্য একসময় অনুভব করেছে পরম গরবে মন ভরেছে সেখানে ধীরে আকাশ ঢেকে দাঁড়িয়ে পড়ছে বহুতল, গম্বুজ হারিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে থেকে। তীব্র কষ্টের মতোই ভবানীগঞ্জ বাজার মহারাজের তৈরি করা তাঁর আধুনিক পরিকল্পনায়, সেখানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, কৃৎকৌশল কত বাজারি মল, বহুতল ঘিঞ্জি ব্যবসায়ী এলাকায় পরিণত। এখানেও ওই মিলন মিশ্রণ। পাশের বাংলাদেশ, ভুটান… জয়গাঁ আসাম থেকে কত মানুষের প্রতিদিন পায়ে চলায় তৈরি হয়েছে ব্যবসার অন্য গতি, বৈবাহিক সম্পর্কের সূত্র কিছু প্রকাশ্যে বেশিটা না জানা সংমিশ্রণ।

এই এলাকার যখন নাম কামতাপুর তখন মুসলমান বহু ঘরের প্রবেশ ঘটে রাজা নীলাম্বরের রাজত্বকালে। খেন বংশের রাজা নীলাম্বর। তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান গোসানিমারিতে। মনে করা হয়, হোসেন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৩-১৫২৮) মুসলমান সর্বপ্রথম কোচবিহারে আসেন। দক্ষিণবঙ্গ, বাংলার পশ্চিমপ্রান্ত থেকে বা সুদূর আজমীর থেকে কোনও কোনও মুসলমান পরিবার স্থায়ী বাস করতে শুরু করেন কোচবিহারে।

ধর্ম, সংস্কৃতি, সামাজিকতায় মিলে মিশে গিয়েছিল কোচবিহারে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী হিন্দু রাজবংশী সম্প্রদায়। তাঁদের নানা লোক দেবদেবীর পূজার্চনা, নানা লোককথা, লোকনৃত্য, লোকগান নানা ধারায় মিশে যেতে শুরু করে। মুসলিমরাও নানা লোকনাটক তৈরি করেন নিজেদের মতো করে। সত্যপীর গাজি, চারিযুগের গান, ইসান যাত্রা, মরিচমতী, রহিম সাধু ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৮: বাবা, ‘পিতা নোহসি’ বলো — এই কথাটি ঘুরেফিরেই কবির কানে বেজে উঠত

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩: আত্মারামে কুটো বাঁধা আছে

বিশ্বসিংহের সময় থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বন। বিশ্বসিংহের পুত্রের সমসাময়িক ঐতিহাসিক ছিলেন শেখ আবুল ফজল। তাঁর ‘আকবরনামা’তে উল্লেখ আছে, বিশ্বসিংহের মাতা জল্পেশ্বর শিবের আরাধনা করে তাঁর পুত্রপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। সুতরাং বিশ্বসিংহের মাতা পিতার হিন্দুধর্ম নিয়ে সংশয় থাকে না। তাছাড়া, বিশ্বসিংহ নিজে শিব ও দুর্গার উপাসক ছিলেন। তাঁর সময়ে বহিরাগত ব্রাহ্মণদেরও সভায় আগমন ঘটেছিল। নর নারায়ণের রাজসভা পণ্ডিত মন্ডলী দিয়ে শোভিত হত। তাঁর সময় থেকেই কোচবিহারে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার প্রসার লাভ করে।
মহারাজ লক্ষ্মীনারায়ণের রাজত্বকালে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারক স্টিফেন ক্যাসিলা এখানে এসেছিলেন। তাঁর সহকর্মী ছিলেন জন ক্যাব্রাল। তাঁরা মূলত ভুটান যাওয়ার রাস্তার সন্ধান নিতে আসেন।

অন্যদিকে লক্ষ্মীনারায়ণের কালে বৈষ্ণব ধর্মসংস্কারক মাধব দেব এবং দামোদর দেব এসেছিলেন। ফলে বৈষ্ণবধর্ম প্রসার লাভ করে। অনেকে মনে করেন বৈষ্ণবীয় মতের প্রাধান্যেই ‘নারায়ণ’ উপাধি নেওয়া, তবে এ মত অনেকে মেনে নেননি। মহারাজ নর নারায়ণের সময় ‘অসমের বৈষ্ণব ধর্মগুরু শঙ্করদেব এখানে আশ্রয় নেন এবং এক শরণ বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন।’

শিক্ষামূলক ভ্রমণে স্কুল। রাজবাড়ির উদ্যানে।

এই শঙ্করদেবের প্রভাব কোচবিহার রাজ পরিবারে পড়েছিল। কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের বিগ্রহ শ্রীকৃষ্ণ একক। কিন্তু গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তি। যাইহোক, কোচবিহারের ইতিহাস গ্রন্থে খাঁ চৌধুরী আমানত উল্লাহ আহমেদ লিখেছেন, ”বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারক চৈতন্যদেবের ও কামরূপ আগমনের কথা লেখা আছে।” চৈতন্যদেবের প্রভাব কোচবিহারে পড়েছিল পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষদের হাত ধরেই। শঙ্করদেবের আগমন তাঁকে আশ্রয় দেওয়া মন্দির প্রতিষ্ঠার নিদর্শন এখানে ‘মধুপুর ধামে’ই আছে। মধুপুর কোচবিহারের এক দর্শনীয় স্থান।

কোচবিহার রাজ্যে ইংরেজদের হস্তক্ষেপের ফলেই কোচবিহারের শাসন ব্যবস্থায় নানা সংস্কার সাধন ত্বরান্বিত হয়। রাজসভাকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কোচবিহার রাজগণ দক্ষ রাজকর্মচারী নিয়োগ করেন। যাদের অনেকেই বহিরাগত। বহু শিক্ষিত ব্যক্তিরা এ রাজ্যে এসেছেন রাজকর্মচারী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন।

পূর্ববঙ্গ থেকে বহু মানুষ আর্থিক দুরবস্থার কারণে কোচবিহারে চলে আসেন। হিন্দু মুসলমান অনেকেই এসেছেন। প্রথমে সবচেয়ে বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছেন। এরা কঠোর পরিশ্রমী, চাষবাসে দক্ষ ছিলেন। স্বাধীনতার কালে দ্বিজাতিতত্ত্ব দুটি রাষ্ট্রের জন্ম দেয়, ভারত ও পাকিস্তান। কোচবিহার ভারত ডোমিনিয়ন যুক্ত হওয়ার পরই পূর্ববঙ্গ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ স্রোতের মতো এদেশে আসে। কোচবিহারে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে। হিন্দু মুসলমান
দুই পরিবার জমিজমা বাড়ি ঘর বিনিময়ের মাধ্যমেও এদেশে আসেন। কোচবিহার ঐতিহ্যে তারা মিলে মিশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গিয়েছেন।

নানা ভাষাভাষী, নানা সমাজের নানা বৈচিত্রের মানুষজনের কোচবিহারে সমাবেশ ঘটেছে। নানা দ্বন্দ্ব নানা ঐক্য সূত্রের সেতু পথ তৈরি হয়েছে এই নতুন বারি ধারায়, নৃপেন্দ্র নারায়ণের প্রশাসনের হাত ধরে নতুন নগরায়নের প্রশস্ত পথে। —চলবে।

ঋণ স্বীকার:
কোচবিহারের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড: খাঁ চৌধুরী আমানত উল্লা আহমদ
উত্তরপ্রসঙ্গ, সম্পাদনা দেবব্রত চাকী (কোচবিহার জেলা সংখ্যা)
কোচবিহার কথা ইতিহাস ও সংস্কৃতি
* মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস। সাহিত্যিক ও কবি। কোচবিহার সুনীতি অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষিকা। www.samayupdates.in -এ লিখছেন ‘কোচবিহারের রাজকাহিনি’। একাধিক উপন্যাকস, ছোটগল্প সংকলন, প্রবন্ধ সংগ্রহ ও কাব্যগ্রন্থ রয়েছে লেখিকার।

Skip to content