ছবি: প্রতীকী।
জুনোমিয়া প্রজেক্ট ঠিক কী
প্রায় দু’ দশক আগে ২০০০ সালে শুরু হয়েছিল মানুষ, ইদুর ও বাঁদরের জিনগত কাঠামোর জেনেটিক ইনস্ট্রাকশন বা জিনোম বিশ্লেষণের প্রকাণ্ড কাজ। এই কাজে ধারাবাহিকভাবে গত ২৩ বছর ধরে ২৪০টি স্তন্যপায়ী প্রাণীর জিনোম সিকুয়েন্স বিশ্লেষণ করা চলছে। সম্প্রতি সেই বিশ্লেষণের ফলাফল হাতে এসেছে, যা বিভিন্ন বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই বিশ্বব্যাপী বৃহৎ গবেষণা প্রকল্পটির নাম রাখা হয়েছে জুনোমিয়ামিয়া। এই গবেষণার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে ৩০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫০ জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। এই প্রজেক্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রফেসর এলিনর কার্লসন, যিনি এমআইটি এবং হার্ভার্ডের ব্রড ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা এবং ইউমাস চেন মেডিকেল স্কুলের বায়োইনফরমেটিক্স, ইন্টিগ্রেতিভ বায়োলজির অধ্যাপক ও প্রফেসর কারস্টিন লিনব্লাড টোহ যিনি ব্রড ইনস্টিটিউটের ভার্টিব্রেট (মেরুদণ্ডী) জিনোমিকস সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক জিনোমিকস-এর অধ্যাপক।
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: মানুষ কি মৃত্যুর পরেও জীবনের ছবি দেখতে পায়? অদ্ভুত চমকপ্রদ তথ্য ধরা পড়ল ইইজি রেকর্ডিংয়ে
ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৪: পুতুলের মাথায় কোঁচকানো সোনালি চুল, চোখ দুটো কেমন যেন অদ্ভুত, কিন্তু এটা আমায় কে পাঠালো?
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২১: ক্যানসার মানেই মৃত্যু?
স্বাদে-আহ্লাদে: ‘এগ পকেট’ পছন্দ? তা হলে বাড়িতেই বানান সহজ এই রেসিপি
গবেষণায় প্রাপ্ত নতুন তথ্য
কিছুদিন আগে এই জুনোমিয়া প্রজেক্টের গবেষকরা জিনোমের বিভিন্ন জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করেছেন। কখনও কখনও ডিএনএ-র একক অক্ষর যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রজাতি এবং লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তন জুড়ে সর্বাধিক সংরক্ষিত বা অপরিবর্তিত থেকেছে সেইসব অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করেছেন। যেগুলি জৈবিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য জেনেটিক ভিত্তির অংশও খুঁজে পেয়েছেন। যেমন হাইবারনেট বা শীতঘুমে যাওয়ার ক্ষমতা বা বহু দূর থেকে গন্ধ শুঁকে নেওয়া বা ঘ্রাণশক্তি, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া বা মাইগ্রেশন করা এবং গতিবেগ—সব কিছুরই সুলুক সন্ধান এই গবেষণার ফলে মিলতে পারে।
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-২১: ষষ্ঠী ষাট ষাট ষাট ও সমৃদ্ধি কামনা
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১২: হঠাৎ স্নানঘর থেকে পঞ্চমের চিৎকার ‘মিল গয়া মিল গয়া’, সৃষ্টি হল সেই জনপ্রিয় গান ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারো’
অধ্যাপক কার্লসনের কথায়, জিনোমিকসের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল মানুষের জিনোম অনেক বড় এবং তার অনেক কিছুই এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। জুনোমিয়া প্রজেক্টের এই বিভিন্ন গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে আমরা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর জিনোম বিশ্লেষণ করে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি, যা বতর্মানে মানুষের জিনোম গবেষণায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সাহায্য করছে।