ছবি প্রতীকী।
মাইগ্রেন কী
মাইগ্রেন একটি খুব সাধারণ নিউরোলজিক্যাল বা নার্ভের সমস্যা, যার নানান রকম লক্ষণ থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণটি হল মাথার যেকোনও একদিকে একটা দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণা বা অস্বস্তি। আর এই মাইগ্রেনের মাথা যন্ত্রণা বিভিন্ন কারণে যেমন শারীরিক অ্যাক্টিভিটি, আলো, শব্দ, কিছু কিছু গন্ধের তীব্রতা একে বাড়িয়ে দিতে পারে। মাইগ্রেনের মাথা যন্ত্রণা খুব কম করে তিন চার ঘণ্টা স্থায়ী হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দিনের পর দিন চলতে থাকে। বাজার চলতি মাথা যন্ত্রণার ওষুধ খেলে মাইগ্রেনের মাথা যন্ত্রণার চটজলদি খুব একটা উপশম পাওয়া যায় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বের ষষ্ঠতম ডিজেবিলিং ডিজিজ এর মধ্যে মাইগ্রেন পড়ে। এও দেখা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ।
কখন বুঝবেন আপনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত
বিভিন্ন ধরনের মাথা যন্ত্রণাকে সাধারণত দুটো ভাগে ভাগ করা যায়।
অরা কী?
অরা হল আমাদের নার্ভাস সিস্টেমে স্নায়ুতন্ত্রের সেনসারি মোটর এবং স্পিচ বা কথা বলার মিলিত কিছু লক্ষণ যা মাইগ্রেনের মাথা যন্ত্রণা হওয়ার একটা সংকেত দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের অরা স্ট্রোক বা মৃগির কিছু লক্ষণের সঙ্গে ভুল ভাবে চিহ্নিত হয়। অরা মোটামুটি ১০ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ যারা মাইগ্রেনে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। অরার লক্ষণগুলি এরমধ্যে যেমন:
এরকম কিছু কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেগুলি কিছু সময় পর আবার ঠিক হয়ে যায়
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! আশঙ্কা কমাতে কী করবেন, কী করবেন না?
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: আধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় সায়াটিকার অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৩: সারাদিন যত পারেন জল খান! এতে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো? কী করে বুঝবেন?
মাইগ্রেনের বিভিন্ন দশা
মাইগ্রেনের মাথাব্যথা শুরু হওয়ার আগে সাধারণত চারটি দশার মধ্যে দিয়ে রোগীরা যান।
প্রোড্রমে
প্রথম দশা যেটি কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটি সব সময় নাও হতে পারে যার। ফলে অনেকেই এই প্রি-হেডেক দশাটি অনুভব করতে পারেন না।
অরা
দ্বিতীয় দশা যা পাঁচ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রথম এবং দ্বিতীয় দশা অর্থাৎ প্রোড্রমে এবং অরা একই সঙ্গে হতে পারে।
মাথাব্যথা
তৃতীয় দশা যা, ৪-৭২ বাহাত্তর ঘণ্টার মতো স্থায়ী হয়। মাথার একদিকে হয়। যন্ত্রণার তীব্রতা খুব বেশি না হলেও একটা দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা থাকে।
পোস্ট প্রোড্রমে
চতুর্থ দশা যা, এক থেকে দু’ দিন স্থায়ী হয়। একে অনেক সময় মাইগ্রেন হ্যাংওভার বলা হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই যারা মাইগ্রেনে আক্রান্ত হন, তারা এটি উপলব্ধি করে থাকেন।
এই চারটি দশা মোটামুটি ৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটে থাকে।
ড. সুশান্তকুমার বাগ, অধ্যাপক, পর্ব-২৯: সুরের আকাশে ঘটালে তুমি স্বপ্নের ‘শাপমোচন’
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১: শচীন ও মীরা দেব বর্মনের ঘর আলো করে এল এক ‘দেব শিশু’
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৪: অপবাদ এবং রামচন্দ্রের সুশাসনের রামরাজত্ব
মাইগ্রেন কী বংশগত
কাদের ঝুঁকি বেশি
এটা বলা খুবই শক্ত কারা মাইগ্রেনে আক্রান্ত হবেন বা হবেন না, তবে কয়েকটি বিশেষ ঝুঁকির কারণ থাকলে মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১২: বাইগা রিসর্ট ও বস্তি
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৬: কবির ভালোবাসার পশুপাখি
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪৪: সুন্দরবনের সুন্দর কাঁকড়া
মাইগ্রেনের চিকিৎসা
তাই মাইগ্রেনের মাথা যন্ত্রণা বুঝতে পারলে তাকে অগ্রাহ্য না করে শুরুতেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করলে সুস্থ থাকা যায়।