ছবি: প্রতীকী।
তবে এর যেমন অনেক ভালো দিক আছে, তেমনই খারাপ দিকও আছে বহু। বিশেষ করে এই প্রজন্মের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালের তরুণ প্রজন্মের জন্য এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার নিয়ে সত্যিই সচেতন হতে হবে। বলা যেতেই পারে যে, এই প্রজন্ম সমাজমাধ্যমের জগতকে সঙ্গে নিয়েই বড় হয়েছে বা হচ্ছে। তাই এটা মাথায় রাখতেই হবে, আমরা যেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি সঠিক ভাবে নজর দিই।
সমাজমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের হতাশা, উদ্বেগ এবং একাকীত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ‘দ্য চাইল্ড মাইন্ড ইনস্টিটিউট’ এবং ‘দি ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ রিসার্চ’-এর সাম্প্রতিক গবেষণায় আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে —যারা প্রায়শই সমাজমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, তারা তুলনায় কম সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী ও অন্যান্য কাজে বেশি সময় ব্যয় করেন তাদের চেয়ে অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত। সেই সঙ্গে জীবন নিয়ে তেমন খুশি বা অসন্তুষ্টও নন তারা।
গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য
সমাজমাধ্যম কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে?
আজকাল বহু মানুষ ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার এবং অন্যান্য সমাজমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। এ সবের সাহায্যে অন্যদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং বন্ধন তৈরি করছেন। অনেকের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপভোগ্য, আনন্দদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, যেকোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের এই ধরনের ব্যবস্থা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের ভালো-মন্দ প্রদর্শনের এক অসম প্রতিযোগিতায় গিয়ে দাঁড় করে দিচ্ছে।
অদ্ভুত ও হাস্যকর মনে হলেও এর নামই সোশ্যাল মিডিয়া। এই সোশ্যাল মিডিয়াতে অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের ফলে নিজের অজান্তে আমাদেরকে বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্বের দিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। সর্বশেষ গবেষণাটিও দেখায়, সমাজমাধ্যম আমাদের বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের মতো মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষ করে অল্পবয়স্কদের মধ্যে এই নেতিবাচক প্রভাবগুলি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: ফুসফুসের ক্যানসারের প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য শ্বাস বায়োপসি পরীক্ষার নতুন দিশা
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৬: মাছের তেল হার্ট অ্যাটাক আটকায়?
সমীক্ষা বলছে
নেতিবাচক প্রভাব
কিন্তু অত্যধিক সমাজমাধ্যম ব্যবহার যে নিজের অজান্তে অসন্তোষ, বিচ্ছিন্নতা, হতাশা, মানসিক অশান্তি প্রভৃতি সমস্যা তৈরি করতে পারে সে সব নিয়ে আমরা কখনও ভেবে দেখি না। এই অনুভূতিগুলি আমাদের উদ্বেগ, স্ট্রেস এবং হতাশাকে আরও তীব্র করতে পারে। এগুলো সেই সব অনুভূতি যার থেকে আপনি প্রথমে পালানোর চেষ্টা করছেন। লক্ষণগুলি ক্রমাগত খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কিছু মানুষ সামাজমাধ্যমের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট বোধ করে, আর একটি সর্পিল চক্রের মধ্যে প্রবেশ করতে থাকে।
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৭: লতা-কিশোর-পঞ্চম-গুলজারের অনবদ্য সৃষ্টি ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে কই শিকওয়া নেহি’
ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৯: মোহাবিষ্ট মায়াবী কণ্ঠস্বর, চেনা বলার ঢং, তবে কি মোহিনী?
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সামাজমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব
কী দেখে বুঝবেন সামাজমাধ্যম মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে?