ছবি: প্রতীকী।
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: জাপানের মতো এ দেশের তরুণ তরুণীরাও হিকিকোমোরি-র সমস্যায় ভুগছেন না তো?
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: কাঁচা মিঠে আমের এই সব গুণাগুণ জানতেন?
গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-২: কপালে জমেছে ঘাম, শুকিয়ে গিয়েছে জিভ, পেছন থেকে ভেসে আসছে গা ছমছমে শব্দ
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৮: কোষার ভান্ডার ছররি থেকে কুঠাঘাট হয়ে কুরদার
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১৯: উন্নয়নের কাণ্ডারী নির্ণয়ে পিতৃতান্ত্রিক পক্ষপাতিত্ব
স্বাদে-আহ্লাদে: আম দিয়ে তৈরি এই লোভনীয় স্বাদের আচার খেয়েছেন?
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৩: আচমকা রাতের পার্টিতে হাজির পুলিশ
ক্যানসার ইমিউনো থেরাপি
ক্যানসার চিকিৎসায় বর্তমানে ইমিউনো থেরাপি একটি যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃত। এই এমআরএনএ ভ্যাকসিন ক্যানসারের বিরুদ্ধে একটি যুগান্তকারী এবং শক্তিশালী ইমিউনো থেরাপিউটিক চিকিৎসা হিসেবে বিজ্ঞানী মহলে গণ্য হচ্ছে। কারণ এ ধরনের ভ্যাকসিন খুবই উচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং রোগ নিরাময়ে দ্রুত কার্যকর হবে।
তাছাড়া নির্দিষ্ট ক্যাসানারের জন্য এই ভ্যাকসিন অতি দ্রুত পরিকল্পনা ও পরীক্ষা করে খুবই নির্দিষ্ট ভাবে একসঙ্গে অনেক উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতিকে কাজে লাগিয়ে ক্যানসার এবং অন্যান্য বিরল রোগের জন্য এমআরএনএ ভ্যাকসিনের নকশা এবং তার কার্যকারিতা নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা চলছে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি এমআরএনএ ভ্যাকসিন বিভিন্ন ফেজের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্যে আছে মডার্না এবং বায়ো-এন-টেক (BioNTech) নামক দুটো ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার দুটি পার্সোনালাইজড আ্যন্টিটিউমার ভ্যাকসিন যথাক্রমে mRNA-4157 এবং BNT122 ফেস টু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে আছে। দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটি কোলোরোক্টাল ক্যানসারের জন্য ফেস টু ট্রায়াল চলছে। এই ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা খুবই ভালো এবং অত্যন্ত নিরাপদ, যেমন কোভিড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি।
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৪: স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের ‘রাত-ভোর’
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১০: কিশোর কণ্ঠের উপর যেন এক অলিখিত দাবি ছিল পঞ্চমের
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৯: পাকা আম খাবেন, নাকি কাঁচা আম?
ক্যানসার চিকিৎসায় এমআরএমএস ভ্যাকসিনের ব্যবহার হয়
মেসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ একটি জেনেটিক উপাদান, যা আমাদের ডিএনএ থেকে নির্দেশাবলী কপি করে এবং প্রোটিন তৈরি করতে ব্যবহার করে শরীরের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে প্রয়োজন হয়। প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলির তুলনায় এমআরআইনে ভ্যাকসিনের পার্থক্য হল, প্রচলিত ভ্যাক্সিনে মৃত বা দুর্বল ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। আর এমআরএন-এ ভ্যাকসিনে ক্যানসার অ্যান্টিজেন তৈরির নির্দেশাবলী-সহ এমআরএন-এর ব্যবহার করা হয়। যখন এই ভ্যাকসিন মানুষের দেহে ইঞ্জেক্ট করা হবে তখন এই ভ্যাকসিনে থাকা এমআরএনএ দেহের কিছু কোষকে অ্যান্টিজেন তৈরি করতে নির্দেশ দেবে যা, ইমিউন প্রতিক্রিয়াকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। যেহেতু এমআরএনএ ভ্যাকসিনগুলি খুব স্পেসিফিক বা নির্দিষ্ট হবে তাই বিজ্ঞানীরা এমআরএনএ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমস্ত ক্যানসার বা টিউমার কোষের অনন্য জেনেটিক সিকোয়েন্স বা মিউট্রিশনকে শনাক্ত করে নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবেন।
এর ফলে এটি ইমিউন সিস্টেমকে চিহ্নিত করে শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলিতে কাজ করবে, স্বাস্থ্যকর কোষগুলিতে কোনওরকম প্রভাব ফেলবে না। আর যেহেতু শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও কম হবে ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে এই এমআরএনএ ভ্যাকসিন কাজ করবে। কোভিড-১৯ অতিমারি কালে ভ্যাকসিন গবেষণার ক্ষেত্রে এমআরএনএ ভ্যাকসিন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা যা ভবিষ্যতে ক্যানাসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি বিকল্প হয়ে দাঁড়াতে চলছে।