শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

সকাল থেকে রাত— দিনভর কোনও সময়ই পাতে ডিম থাকবে না, সে আবার হয় নাকি। অমলেট থেকে পোচ হয়ে কষা-সহ ডিমের নানা পদ আট থেকে আশির প্রিয়। বিশেষ করে বাঙালির মাছের মতোই ডিমের প্রতিও ভালোবাসা অটুট। ডিমের স্বাস্থ্যগুণও যথেষ্ট। যদিও এখন অবশ্য বহু মানুষই ডিম খাওয়া ছেড়ে ভেগান খাবারদাবারের ঝুঁকছেন। তাই তারা শুধু মাছ, মাংস নয়, সঙ্গে ডিম খাওয়াও পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছেন। অনেকেই আবার দিনে দু’টো ডিম করে ডিম খেয়ে নেন। যদিও তাতে কোনও অসুবিধা নেই। ডিম খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে কি কোনও সমস্যা হতে পারে?
ডিম বহু পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। আমাদের দেহে সেই সব উপাদানের অভাব পূরণ করে ডিম। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ডিম খাওয়া বন্ধ করা মানে প্রোটিন, মিনারেলসের মতো উপকারী ও প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা দেবে শরীরে। প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। দেখা দেয় পেশি ক্ষয়ের সমস্যাও। ফলে শারীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। ডিম আমাদের শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। ডিম খাওয়া ছাড়লে আর কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
আরও পড়ুন:

আকাশছোঁয়া পেট্রোলের দাম, বাইকের ক্ষেত্রে কীভাবে তেলের সাশ্রয় করবেন? রইল জরুরি টিপস

বাড়িতে থাকা আলুতে অঙ্কুর গজিয়েছে? এই আলু কি খাওয়া উচিত?

 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে

অনেকেরই হয়তো জানা নেই, আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন থাকা দরকার। ডিম প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস। তাই ডিম না খেলে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ক্রমশ বেড়ে যায় ওজন।
 

দৃষ্টিশক্তি

লুটেইন, জেক্সানাথিন নামক উচ্চমানের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে ডিমে। এই সব প্রয়োজনীয় উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডিম খাওয়া বন্ধ করলে কিন্তু চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৩: কোন কাননের ফুল ‘শ্যামলী’

সঙ্গী কি আপনাকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না? কোন লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হবেন?

 

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি

অনেকেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন। জানলে ভালো, ডিম কিন্তু হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। নিয়ম মেনে ডিম খাওয়ার অভ্যাস আমাদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বরং ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিলে সেই হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে।
 

মাছ মাংস শাকসব্জি

আরেকটি বিষয় হল, ডিম যদি নাও খান, তাহলে অনন্ত মাছ, মাংস পাতে রাখুন। সঙ্গে শাকসব্জি, ডাল, ফলও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া দরকার। খাদ্যতালিকায় রাখুন দুগ্ধজাত খাবারও। এই সব থেকেও আমাদের শরীর ভিটামিন বি১২, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন প্রভৃতি প্রয়োজনীয় উপাদান পেয়ে যাবে। শরীর থাকবে তাজা।


Skip to content