মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি নয়, দাবি চিকিৎসকের। ছবি: সংগৃহীত।
মৃত্যুর পরেও জীবন আছে—দাবি এক চিকিৎসকের। এই চিকিৎস একজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ। ৫ হাজারেও বেশি মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গবেষণার পরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে দাবি চিকিৎসক জেফরি লং নিয়ারের। জেফরি ১৯৯৮ সালে জেফরি লং নিয়ার-ডেথ এক্সপেরিয়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানে মৃত্যুর আগের মুহূর্তে ঘটতে থাকা শরীর ও মনের কার্যাকলাপ নিয়ে গবেষণা করে।
জেফরি একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যিনি হয় কোম্যাটোস অথবা ক্লিনিক্যালি মৃত, বন্ধ হয়ে গিয়েছে হৃদ্স্পন্দন—তিনি এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি দেখতে পান, শুনতেও পান। এমনকি আবেগও অনুভব করতে পারেন। আবার অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগও স্থাপন করতে পারেন। শরীর কাজ করা বন্ধ করলেও সেই ধাপেও চেতনা জাগ্রতই থাকে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর আমি জোরের সঙ্গে বলতে পারি—মৃত্যুর পরেও আছে জীবন।’’
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১২: সুন্দরবনের আর এক ব্যাঘ্রদেবতা বড় খাঁ গাজী
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২৭: আশাকে নিয়ে পঞ্চমের সব প্রশ্নের জবাব চিঠিতে জানিয়েছিলেন লতা
চিকিৎসক জেফরি এও বলেন, ব্যক্তি বিশেষে এই অভিজ্ঞতা ভিন্ন হয়। তবে সেই অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে অনেক কিছু সামঞ্জস্যও রয়েছে। চিকিৎসক জানান, “যাঁরা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন, তাঁরা বলেন সেই মুহূর্তে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন অন্য এক জগতে। আবার কেউ হয়তো বলেছেন, তখন তাঁরা সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে অচমকা আলো রোশনি চাক্ষুষ করেন। অনেকে আবার বলেন, ওই রাজ্যে তাঁর প্রিয়জনেরা তাঁকে হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে বেশির ভাগ মানুষই তখন প্রেম এবং শান্তি মুহূর্ত উপভোগ করেন। তাঁরা তখন মনে করেন, এখন এই অন্য রাজ্যই তাঁদের ঘর-বাড়ি।’’
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৫: টনিক খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো?
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৭১: ছোট মাছকে অবাঞ্ছিত না ভেবে প্রতিপালন করলে বিকল্প আয়ের দিশা পাওয়া যাবে
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেফরি এ-ও বলেন, তাঁর এই বক্তব্য বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণের জন্য তাঁর হাতে বিশেষ কোনও যুক্তি নেই। যদিও মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের মস্তিষ্ক পড়ে আমি নিশ্চিত—মৃত্যুর ওপারেও রয়েছে জীবন।