ছবি প্রতীকী
দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত ন’বছর আগের সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই হাসপাতালকে এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকায় ২০১৪ সালের ৫ মার্চ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক অরুণিমা সেনের ল্যাপারোস্কোপিক কন্ট্রাস্ট ডাই টেস্ট করা হয়েছিল। অরুণিমার স্বামী, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সোমরাজ সেনের কথায়, ‘‘স্ত্রী-রোগজনিত সমস্যা দেখা যাওয়ায় আমার স্ত্রীর তলপেটে প্রায়ই ব্যথা হত। সেই সময়ে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ওই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয় অরুণিমাকে। ১০টা ১০ মিনিটে জানানো হয়, রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিছু ক্ষণ পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।”
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৮: খোকা নয়, খুকি নয়
বুকে কফ জমে খুব কষ্ট পাচ্ছেন! রেহাই পেতে চুমুক দিন এই পানীয়তে?
ওটিতে ঢোকার আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন অরুণিমা। পরীক্ষা করানোর সময়ে কী করে তাঁর মৃত্যু হল, সেই সন্দেহ থেকে অরুণিমার স্বামী সোমরাজ আলিপুর থানা ও আলিপুর আদালতে মামলা করেন। দিল্লির জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেও ওই হাসপাতাল-সহ তাদের সাত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণের মামলাও করা হয়।
আরও পড়ুন:
স্বাদে-গন্ধে: মুরগির ঝোল কিংবা ঝাল নয়, এবার বানিয়ে ফেলুন দই মুরগি
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-২: এই প্রথম বার মনে হল জীবন কঠিন হতে চলেছে, তাই মনে মনে প্রস্তুত হতে শুরু করলাম
মামলাকারীর আইনজীবী শিবশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘ওই হাসপাতালের ওটিতে পরীক্ষার সময়ে রোগিণীকে মাত্রাতিরিক্ত অ্যানাস্থেটিক দেওয়া হয়েছিল।’’ ময়না তদন্তের রিপোর্টেও জানানো হয়, পরীক্ষার কারণেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অরুণিমা মারা যান। সম্প্রতি জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত তার নির্দেশে বলেছে, মামলার রায় বেরোনোর ছ’সপ্তাহের মধ্যে ওই হাসপাতালকে মামলাকারীকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি আদালত রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই হাসপাতালের পরিকাঠামো সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেও নির্দেশ দিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।