![](https://samayupdates.in/wp-content/uploads/2022/07/Japanese-Encephalitis.jpg)
ছবি প্রতীকী
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অসমের রাজ্য শাখার তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৮ জন জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, অসমের গত ২৬ দিনে ২৭৪ জনের শরীরে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। জোরহাট, গোলাঘাট, মাজুলি, চরাইদেও, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, লখিমপুর, হোজাই, মরিগাঁও, বারপেটা, নগাঁও, নলবাড়ি, চিরাং, উদালগুড়ি, বাকসা -সহ রাজ্যের একাধিক জেলা জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে হদিস পাওয়া গিয়েছে।
জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ কী কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানি এনসেফ্যালাইটিস সংক্রমণে আক্রান্ত শূয়োর বা পাখিকে যদি এডিস মশা কামড়ায়, তাহলে ওই মশা এনসেফ্যালাইটিস রোগের বাহক হয়। এর পরে সেই মশা যদি মানুষকেও কামড়ায় তাহলে তিনিও ওই রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগের উপসর্গ হিসেবে মাথাব্যথা, জ্বর, বমি, পেশিতে ব্যথা, খিঁচুনির মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এই রোগ প্রতিরোধের টিকা নেওয়া থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সামলাতে অসমের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখা বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই সঙ্গে রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, অসমে এর আগে ২০১৫ সালে ১৩৫ জন, ২০১৬ সালে ৯৬ জন, ২০১৭ সালে ৮৭ জন, ২০১৮ সালে ৯৪ জন, ২০১৯ সালে ১৬১ জন এবং ২০২১ সালে ৬৬০ জনের মৃত্যু হয় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে।