ছবি প্রতীকী
কথায় কথায় সাধারণ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশির মতো শারীরিক সমস্যায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশনে রোগীর শারীরিক সমস্যায়ের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শুধু সাধারণ ওষুধের নামই লিখতে হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ নিয়ে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেই গাইডলাইনে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে চিকিৎসকদের জন্য। চিকিৎসকরা ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেবেন বা দেবেন না, এ বিষয়ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঋতু বদলের সময় অনেকই সাধারণ শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় ভোগেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করার পরামর্শ দেন। তবে আইসিএমআর-এর নতুন গাইডলাইনে এবার আর সেসব করা যাবে না। নতুন গাইডলাইনে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, সাধারণ শারীরিক সমস্যায় রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:
কনসার্টে অরিজিৎ সিংহকে কাছ থেকে দেখতে গুনতে হবে ১৬ লক্ষ টাকা!
হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে ফের নতুন চমক! ব্যবহারকারীদের জন্য আসছে আকর্ষণীয় ফিচার
নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, কেউ যদি ত্বকের সমস্যায় পাঁচদিন ধরে ভোগেন, তাহলে তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া যাবে। নিউমোনিয়াজনিত রোগের ক্ষেত্রে রোগীকে আটদিন পর্যবেক্ষণে রাখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপরও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তখন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
কার শরীরে, কোন রোগের ক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে, সে সব নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল আইসিএমআর। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমীক্ষাটি চলে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইসিএমআর এই নির্দেশিকা জারি করেছে।
কার শরীরে, কোন রোগের ক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে, সে সব নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল আইসিএমআর। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমীক্ষাটি চলে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইসিএমআর এই নির্দেশিকা জারি করেছে।
আরও পড়ুন:
ট্রেনের টিকিট ‘কনফার্ম’ না হলে একেবারে বিনামূল্যে বিমানের টিকিট পাবেন যাত্রীরা! কোন অ্যাপে, কীভাবে পাবেন?
খাবার থেকে পোড়া গন্ধ বেরচ্ছে? চিন্তা না করে সহজেই সমস্যার সমাধান করুন এই সব উপায়ে
রিপোর্টে এমন তথ্যও উঠে এসেছে, বহু ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেও উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণের হার বাড়িয়েও দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ই-কোলাইয়ের রোগের কথা উল্লেখ করা হয় আইসিএমআরের সমীক্ষায়। উলটো দিকে এমন তথ্যও সামনে এসেছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার আশঙ্কা বেশ কমেছে।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৩: আশা-যাওয়ার পথের ধারে ‘নবীন যাত্রা’ [১১/০৯/১৯৫৩]
দশভুজা: দেবীপক্ষের প্রাককালে তিনিই তো দুর্গা…
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব রোগের ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মূলে রয়েছে রোগীদের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স। অর্থাৎ এর অর্থ হল, স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা অনুযায়ী জীবাণু সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা। এ বিষয়ে আইসিএমআরের পর্যবেক্ষণ হল, অ্যান্টিবায়োটিকের ঠিক মতো ব্যবহার হয়নি বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই যথেচ্ছ ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে রাশ টানতেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ এই নির্দেশিকা জারি করেছে।