শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই চলতি মরসুমে রাজ্যে রবিবার পর্যন্ত জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে ১১ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শহর থেকে জেলা সর্বত্র ছড়িয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস। প্রায় কোনও হাসপাতালেরই শিশুরোগ বিভাগের সাধারণ শয্যা থেকে পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) ফাঁকা নেই। পরিস্থিতি এমন যে, খালি নেই ভেন্টিলেটরও। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজনের কথা তাঁরা বলছেন।
ঋতু বদলের সময়ে সবারই সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি হয়। যদিও করোনা পরবর্তী সময়ে আচমকা অ্যাডিনোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। চিকিৎসকদের কথায়, এই ভাইরাস ২০১৮ সালের পর আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, চলতি মরসুমের ভয়াবহতা বছর তিনেক আগের অবস্থাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে তাঁরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ঘাটতির কথা বলছেন। নাক থেকে কাঁচা জল পড়া, সর্দি-কাশি, জ্বর, চোখ থেকে জল পড়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া দরকার। বড়রাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সবারই সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার।
আরও পড়ুন:

ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বাংলায় দু’মাসে মৃত্যু ১১ জন শিশুর, রোগ কি বড়দের থেকে ছড়াচ্ছে?

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৭: যত কাশি, তত কাফ সিরাপ?

 

অ্যাডিনোভাইরাসের থাবা থেকে সন্তানকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?

সন্তানকে প্রতিবার খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। খাওয়ার পরে একই ভাবে হাত ধুতে হবে।
বাড়িতে অন্য কারও জ্বর-সর্দি হলে তাঁর থেকে শিশুকে আলাদা রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আবার মাস্ক পরায় ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে।

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫২: বইয়ের সব কপি কবির নির্দেশে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল

জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-৪: কাশীর পথে-ঘাটে

অ্যাডিনোভাইরাস ছোঁয়াচে। সে-কারণে আক্রান্ত শিশু যত দিন না সুস্থ হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত তাকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া যাবে না।
আপনার সন্তান মল-মূত্রত্যাগের পরে ভালো করে পরিষ্কার করছে কি না, সে দিকে অবশ্যই নজর রাখুন।
অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ব্যবহার করা জিনিসপত্র সব কিছু থেকে আলাদা করে রাখতে হবে।
অবশ্যই যেকোনও জনবহুল জায়গায় গেলে শিশু ভিড়ের দূরে রাখুন।

Skip to content