শরীর ঠিক রাখতে যেমন পুষ্টিকর খাবার ও জল প্রয়োজন, তেমনই পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার। কয়েক দিন রাত জাগলে যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, তেমনটা নয়। তবে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক ভাবে সচল নাও থাকতে পারে। খেয়াল করে দেখবেন, খুব বেশি রাত জাগা হয়ে গেলে কাজের সময়ে অনেক কিছুই গুলিয়ে যেতে থাকে। এমনকি, অতি সাধারণ বিষয়ও ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা দিতে থাকে। এতে কাজে মনোযোগ দিতে বেশ অসুবিধা হতে পারে। আরও বড়সড় সমস্যা হয়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। একটানা ঘুমের ঘাটতিতে আমাদের চলাফেরা করার সময় ভারসাম্যের অভাবেও দেখা দেয়। চিকিৎসকদের কথায়, শুধু মস্তিষ্ক নয় পর্যাপ্ত ঘুম শারীরবৃত্তীয় বিভিন্না প্রক্রিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
পর্যাপ্ত ঘুম হলে কী কী উপকার হতে পারে?
সৃজনশীল চিন্তায় সাহায্য করে
● পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিক ভাবে সৃজনশীল কোনও চিন্তাভাবনাও সহজে মাথায় আসে না। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ভাবনাচিন্তায় সৃজনশীলতার অভাব দেখা যায়।
টক্সিন দূর করে
● আমাদের শরীরকে তরতাজা ও সুস্থ রাখার একটি প্রক্রিয়া হল ঘুম। অনেকের হয়তো জানা নেই, মস্তিষ্ক থেকে টক্সিন দূর করতেও নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুমের প্রয়োজন। মস্তিষ্কে জমতে থাকা টক্সিন থেকেই পরবর্তীকালে স্নায়ুর জটিল রোগ তথা অ্যালঝাইমার্সের শিকার হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। একাধিক গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে, নিত্যদিন সঠিক মাত্রায় ঘুম অ্যালঝাইমার্সের মতো কঠিন রোগ এড়াতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
● স্মৃতি ধরে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ঘুম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুম আমাদের যে কোনও শেখা জিনিস মনে রাখতে সাহায্য করে। সে কারণে রাত জেগে পরের দিন কাজ শেষ করার পরিকল্পনার থেকে অনেকগুণ ভালো হয় পর্যাপ্ত ঘুমের পর কাজ করলে। এই পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর হয়।