মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

এখন অল্প বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। চিন্তার বিষয় হল, চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যুর ঘটনা মনে বেশ ভয় বাড়াচ্ছে। মুশকিল হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগে থেকে হার্ট অ্যাটাকের কোনও লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। যদিও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বয়স ৪০ পেরোলেই সতর্ক হতে হবে। কারণ, এই বয়সে হার্টের অসুখের নানা লক্ষণ শরীরের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে।
গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কারও আচমকা হার্ট অ্যাটাক হল মানে এই নয় যে, রোগটি তখনই হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার অনেক আগে থেকেই তার লক্ষণ শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। অনেক সময় সাধারণ ভাবে বোঝা যায় না।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ‘অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের উপর এই গবেষণাটি হয়। দেখা গিয়েছে, যাঁদের বয়েস ৪০ এর বেশি, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো উপসর্গ শরীরে উপস্থিত রয়েছে রয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ভবিষ্যতে ‘ইস্কেমিক হার্ট ডিজীজে’-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:

রণবীরের প্রাক্তনের সংখ্যা খুব কম নয়, তবে স্ত্রী আলিয়া শুধু বন্ধুত্ব রেখেছেন দীপিকা-ক্যাটরিনার সঙ্গেই, কেন?

ঋতু পরিবর্তনের অসুস্থতায় হাতের কাছে কী কী হোমিওপ্যাথি ওষুধ রাখবেন? রইল ডাক্তারবাবুর পরামর্শ

এ প্রসঙ্গে ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বলছে, মূলত ধমনীতে ছোট ছোট ‘প্লাক’ বা মেদ জমলে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালনের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ ভাবে দীর্ঘ দিন ‘প্লাক’ বা মেদ জমতে জমতে ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ সৃষ্টি ঝুঁকি বাড়ে। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। গবেষকদের প্রধান ক্লজ কোফোয়েড জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিককালে এই ধরনের গবেষণা প্রথম হল। আমরা ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছি। হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি নিয়েও আমরা আশাবাদী।”
আরও পড়ুন:

মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-৮: সিদ্ধনাথ শিব টেরাকোটা মন্দিরে ছড়িয়ে আছে অনেক চমকপ্রদ অজানা কাহিনি

মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে নিজেই বানিয়ে ফেলুন এই ‘আশ্চর্য মলম’

গবেষকদের কথায়, হার্ট সংক্রান্ত অসুস্থতা যত দ্রুত ধরা পড়ে, ততই ভালো। কারণ, আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। সে সময় শরীরে আরও জটিলতা বাড়তে থাকে। ক্যানসার এবং হৃদরোগের ক্ষেত্রে দ্রুত রোগ চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করাই একমাত্র বিকল্প পথ।

Skip to content