শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

৮৪ রকম ওষুধের খুচরো দাম নির্দিষ্ট করে দিল সরকারি কমিটি। বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট দামের বেশি দাম নিলে সংস্থার বিরুদ্ধে কড় পদক্ষেপ করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে ওই সরকারি কমিটি। সম্প্রতি, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইস অথরিটি বিজ্ঞপ্তিতে জারি করে। এতে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, কোনও ওষুধ কোম্পানি বা ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো ওষুধের দাম বাড়াতে পারবে না।
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইস অথরিটি (এনপিপিএ) ওষুধের দাম নির্ধারণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ওষুধের দাম বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাম ধরে ধরে উল্লেখ করা হয়েছে ৮৪টি নিত্য-প্রয়োজনীয় ওষুধের মধ্যে কোন ওষুধের কী দাম হবে।
টাইপ-২ ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টরেল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে যে ফর্মুলা ব্যবহৃত হয় তার দাম নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। ক্যাফেন এবং প্যারাসিটামলের এক একটি ট্যাবলেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ টাকা ৮৮ পয়সা। ক্লোপিডোগ্রেলের এবং রোসুভ্যাস্টাটিন অ্যাসপিরিন একটি ট্যাবলেটের দাম ১৩ টাকা ৯১ পয়সা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। হৃদরোগের ওষুধেরও দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জিএসটি বাদ দিয়ে একটি ভোগলিবস এবং (আরএস) মেটফর্মিন হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেটের দাম পড়বে ১০ টাকা ৪৭ পয়সা। চিকিৎসায় কাজে ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন এবং অক্সিজেন ইনহেলেশন (স্প্রে হিসেবে ব্যবহৃত হয়)-এর দামের সংশোধিত ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, এনপিপিএ মূলত বাজারে ওষুধের সরবরাহে নজর রাখা এবং মূল্য নির্ধারণের কাজ করে থাকে। জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এনপিপিএ পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত মূল্য মেনেই চলতে হবে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে। যদি বেশি দাম নেওয়া হয়, তা হলে সুদ-সহ অতিরিক্ত দাম ফেরত দিতে হবে ক্রেতাকে। একনকি, ক্রেতারা যাতে ওষুধের দাম দেখে নিতে পারেন সেজন্য ডিলার এবং খুচরো বিক্রেতাদের ওষুধের দামের তালিকাও জনসমক্ষে রাখতে বলে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে।

Skip to content