কথায় কথায় গলা শুকিয়ে যায়? এই সব খাবার খেলে কিন্তু সমস্যা আরও বাড়তে পারে

অনেক সময় স্কুল, কলেজ বা কর্মক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা বসের বকাঝকায় কারও কারও গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। তবে কোনও কারণেও মাঝে মধ্যে মুখের ভিতর বা গলা শুকিয়ে যেতে পারে। যদিও এই লক্ষণ ভালো নয়। শারীরিক অসুস্থতারই ইঙ্গিত। সাধারণত আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি হলেই গলা শুকিয়ে যায়। আবার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমন এমনটা হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ধূমপান বা মদ্যপানও এর কারণ হতে পারে।

সম্প্রতি ‘জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চ’-এ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যাঁরা রোজ দিন মদ্যপান বা ধূমপান করেন তাঁদের মুখের লালার উৎপাদন কম হয়। এর জেরেও কারও কারও গলা শুকিয়ে যেতে পারে। তবে ঘন ঘন গলা শুকিয়ে গেলে কিছু খাবারদাবার নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তা না হলে সমস্যা বাড়বে।

 

নোনতা জাতীয় খাবার

● কারও কারও পর্যাপ্ত জলপান করার পরেও গলা শুকিয়ে যায়। এমনটা হলে নোনতা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নুন আমাদের মুখের লালা শোষণ করে নেয়। ফলে লালার অভাবে জিভ ও গলা শুকিয়ে যেতে শুরু করে। অনেকেই হয় তো জানেন না, নুনে থাকা সোডিয়াম আমাদের গলা শুকিয়ে দেয়। তাই নুন জাতীয় খাবার কম খেলে ভালো।

 

টক জাতীয় খাবার

● বার বার গলা-মুখ শুকিয়ে যায়? তাহলে সমস্যা এড়াতে টক জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ রাখুন। কারণ, টক জাতীয় খাবার খেলে মুখে লালার পরিমাণ আরও কমে যায়। তাই লালা উৎপাদন কমে গেলে স্বাভাবিক ভাবে মুখ শুকিয়ে যেতে থাকে। তাই সমস্যা এড়াতে ভিনিগার, টক কোনও ফল, আচার কম খেলে ভালো।

 

শুকনো জাতীয় খাবার

● আপনার কি যখন তখন গলা শুকিয়ে যাচ্ছে? এরকম হলে শুকনো খাবার না খাওয়াই ভালো। কেক, বিস্কুট খেলে এই সমস্যা বাড়তে পারে। এ সব যদি খেতেই হয় তাহলে সঙ্গে চা অথবা কোনও তরল পানীয় খান। তা হলে সমস্যা হবে না।