ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
আমাদের কান্না পাক বা না পাক, চোখের জল তৈরি হবে। চোখ বন্ধ মাত্রেই জলে ভরে যায়। তা না হলে তো চোখ শুকিয়ে যাবে! বেসাল’, ‘ইরিট্যান্ট’ আর ‘ইমোশনাল’ এই তিন ধরনের অশ্রু হয়। আমাদের চোখে সাধারণ অবস্থায় তৈরি হওয়া জল হল ‘বেসাল’। চোখ যাতে কোনও ভাবেই শুকিয়ে না যায়, এই জল তারই বিশেষ যত্ন নেয়।
আচমকা চোখে কোনও কিছু অস্বস্তি হলে ‘ইরিট্যান্ট’ অশ্রু তৈরি হয়। হয়তো ধুলো-বালি ঢুকল অথবা পেঁয়াজ কাটার সময়ে চোখে ঝাঁঝ গেলে। এই জল তৈরি হয়। আর রাগ, মন খারাপ, অভিমানে যে অশ্রু তৈরি হয় তা হল ‘ইমোশনাল’। এ সময়েই আমাদের চোখে জলের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন:
পুজোর সময়েই আচমকা বন্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ! পরিষেবা চালু রাখতে কী করবেন?
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩০: আ দেখে জারা কিসমে কিতনা হ্যায় দম… এই গানে পঞ্চমের বাজি ছিলেন কিশোর ও আশা
বেশি কান্নাকাটি করলে চোখের জলএসে পড়ে ঠোঁটে। তাই চোখের জলের স্বাদ কারও অজানা নয়। চোখের জল নিয়ে সবাই একটা কথা বলেন, চোখের জলের স্বাদ কিছুটা নোনতা। কিন্তু কেন নোনতা তা কেউ জানেন কি?
আরও পড়ুন:
মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-৭: ফলনাপুর মদনমোহন মন্দির কোচ স্থাপত্যের দ্বিতল পঞ্চরত্ন মন্দিরের একমাত্র নিদর্শন
অজানার সন্ধানে, এই ভূতুড়ে দ্বীপে তিনিই একমাত্র মহিলা, দিন কাটে দাগি অপরাধীদের সঙ্গে, ‘দ্বীপের রানি’র কেন এমন সিদ্ধান্ত?
চোখের জল তৈরি হয় ল্যাকরিমাল গ্ল্যান্ড থেকে। এই জলের সঙ্গে মিশে থাকে ফ্যাটি অয়েল আর ম্যুকাস। জানলে ভালো, এ সবের সঙ্গে আর থাকে প্রায় দেড় হাজার রকমের প্রোটিন! ম্যুকাস আমাদের চোখ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। আর চোখের জল যাতে সহজে উবে না যায়, সেই দায়িত্ব সামলায় তেল। এগুলোর পাশাপাশি ‘ইমোশনাল’ চোখের জলে থাকে আরও একটি পদার্থ, স্ট্রেস হরমোন। এ সবে মিলেই আমাদের চোখের জলের স্বাদ নোনতা স্বাদ হয়।