শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়ছে। তাই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। বৈঠকটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের নির্দেশিকা মেনে রোগীর চিকিৎসার ওপর। সেই সঙ্গে খরচে যতটা সম্ভব লাগাম টানতে বলা হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫৬৬ জন মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৮৪ জন। তবে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের হার সব থেকে বেশি কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, দার্জিলিং এবং মুর্শিদাবাদে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের ধারণা, নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত থাকবে।
ডেঙ্গি-র যে প্রকোপ বেড়ে চলেছে তা নয়, এর উপসর্গও বদলে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ্ন সরকার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সবাইকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, কারও শরীরে ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গির উপসর্গ থাকলেই এলাইজা, এনএস১ পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনও নেই। তবে স্বাস্থ্য দফতর এও জানিয়ে দিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলি পরীক্ষার খরচ যেন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখে। এর অন্যথা হলে রাজ্য সরকার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে। সেই সঙ্গে ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গি-র উপসর্গ নিয়ে কেউ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে প্রয়োজনাতিরিক্ত বিল করা যাবে না বলেও জানান হয়েছে।
আরও পড়ুন:

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে পুজোর আগেই প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৮৭ জনকে ইন্টারভিউয়ে ডাক

ডাক্তারের ডায়েরি, পর্ব-৩৫: শ্যুটিংয়ের মজার গল্প

জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের নির্দেশ, ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কেউ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে স্বাস্থ্য দফতরকে সেই তথ্য জানাতে হবে। রাজ্য এর জন্য একটি পোর্টাল চালু করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটের সাহায্যে সেই পোর্টালে প্রতিদিন আক্রান্তের পরিসংখ্যান আপডেট করতে হবে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বলা হয়েছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বাস্থ্যভবনের সাহায্য নিতে পারে। এর পাশাপাশি জেলায় যে বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি আছে সেগুলির পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার।

Skip to content