সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


বিশ্বে প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে ক্যানসারের ক্রমবর্ধমান আক্রমণ। আর এবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’ এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ রেডিয়েশন’-এর তরফ থেকে ক্যানসাকে প্রতিরোধ করতে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের নেতৃস্থানীয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য অনুশীলনকারীরা শোনালেন এক সতর্কবার্তা। বায়ু দূষণের কারণে কীভাবে মানুষ পড়তে পারেন ক্যানসারের কবলে সে বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করলেন বিশেষজ্ঞরা। ‘অনকোলজিস্ট অফ ইন্ডিয়া’-এর সহযোগিতায় ‘সুইচন ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে বিশ্ব ক্যানসার দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে চিকিৎসকরা বায়ুবাহিত অত্যন্ত ক্ষতিকারক উচ্চ কার্সিনোজেনিক যুক্ত দূষকগুলি কীভাবে ক্যানসারের প্রবলভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। এই দূষকগুলির প্রভাবে ফুসফুসের ক্যানসার, ইউরোলজিক্যাল ক্যানসার, হেমাটোলজিকাল ম্যালিগন্যান্সি এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে বলে তাঁদের মত। উল্লিখিত ক্যানসারগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল ফুসফুসের ক্যানসার। সমগ্র বিশ্বজুড়ে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের সামগ্রিকভাবে ৫ বছরের বেঁচে থাকার হার মাত্র ১৮ শতাংশ। রেডিয়েশন অনকোলজির প্রধান ডাঃ সুমন মল্লিকের বক্তব্য অনুযায়ী ধূমপান করেন না এমন অনেক ব্যক্তিও ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন কেবলমাত্র বায়ু দূষণের কারণে। পাশাপশ কিছু বৈশ্বিক গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ৬২টি দেশ এবং ১০০ টিরও বেশি জনসংখ্যা-ভিত্তিক রেজিস্ট্রিগুলির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শৈশবকালীন ক্যান্সারের ঘটনাও বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই মারণরোগের মোকাবিল করতে তাই এবার এগিয়ে এল ‘সুইচন ফাউন্ডেশন’। অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারের মাধ্যমে সুরক্ষার বার্তা এবং বিশেষজ্ঞরা অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন বায়ু দূষণমুক্ত এক সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

Skip to content