ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
আচার্য সুশ্রুতের মতে সুগার বা প্রমেহ রোগের মুখ্য কারণ
দিবানিদ্রা, দীর্ঘক্ষণ আলস্যপ্রবণ হয়ে থাকা, অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়মিত শীতল, স্নিগ্ধ, মধুর ও মেদবর্ধক আহার সেবন, নতুন অন্ন, অতিরিক্ত মিষ্টদ্রব্য সেবনের ফলেও প্রমেহ রোগ দেখা দেয়।
সুগার নিরাময়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কতটা কার্যকরী?
এক্ষেত্রে একক ঔষধি থেকে শুরু করে রসৌষধি পর্যন্ত প্রমেহ রোগ চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অবদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ফলত পুনরায় রোগাক্রান্ত হওয়ার বা সুদীর্ঘকাল ঔষধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে না।
সুগার রোগে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?
প্রমেহ রোগের পূর্বরূপ হল: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ও শরীরে দুর্গন্ধ, হাতের ও পায়ের তালুতে জ্বালাভাব, বারবার তেষ্টা পাওয়া, দ্রুততার সঙ্গে চুল ও নখের বৃদ্ধি, বারবার মূত্র বেগ আসা, অতিরিক্ত আলস্য ও নিদ্রাভাব, মুখে মিষ্টত্ব স্বাদ অনুভব ইত্যাদি। শরীরে এই লক্ষণগুলোর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
সুগার নিয়ন্ত্রণে জীবনশৈলীর ভূমিকা ঠিক কতখানি?
যেহেতু প্রমেহ ত্রিদোষজ ও প্রধানত মেদ ধাতু দূষিত জনিত ব্যাধি তাই নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, দিনচর্যা, ঋতুচর্যা পালন করা উচিত সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত লোভনীয় খাদ্যদ্রব্য অতিরিক্ত ভক্ষণ থেকে যতটা দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল।
সুগার রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় আয়ুর্বেদে মুষ্টিযোগের কী ব্যবস্থা আছে?
রোগের প্রাথমিক অবস্থায় একক ঔষধির ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যেমন
এছাড়াও সুশ্রুত সংহিতায় সর্বপ্রকার প্রমেহর ক্ষেত্রে পাঁচটি ফলপ্রসূ মুষ্টিযোগের বর্ণনা পাওয়া যায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
সুগার রোগীর খাওয়াদাওয়া কেমন হওয়া উচিত?
তবে সাধারণত সর্বপ্রকার প্রমেহ রোগীর ক্ষেত্রে পুরোনো চালের অন্ন, মুগডাল, পটল, ডুমুর, সজনে, মোচা, তিক্তরস প্রধান শাক, মধু, শুকনো খাদ্যদ্রব্য, যবের আটার তৈরি মালপোয়া, ডালিয়া, ডাবের জল ইত্যাদি পথ্য।
আমিষের ক্ষেত্রে কুক্কুট মাংস, ছাগ মাংস ও ছোট মাছের ঝোল সেব্য। সুক্ত, সুরা, দুগ্ধজাত দ্রব্য, দই, পিষ্ট অন্ন, ইক্ষুদ্রব্য (গুড়, চিনি ইত্যাদি), ঘি ইত্যাদি প্রমেহ রোগীর একেবারেই বর্জনীয়।
লেখক: আয়ুর্বেদ মেডিকেল অফিসার (উত্তর চণ্ডীপুর সদর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, মানিকচক, মালদা)