শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

প্রস্রাব অসংযমের সমস্যায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তাই অযথা ভয় না পেয়ে সমস্যার সমাধানে একটি সহজ ব্যায়াম করে ফেলুন। ব্যস, কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি! এ বিষয়ে জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন আইএলএস হাসপাতাল-এর বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট সুনীতা জানা বসু।
প্রস্রাবে অসংযম? লজ্জায় কাউকে বলতে পারছেন না? চিন্তা নেই, এই সমস্যা শুধু আপনার নয়, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে যে কারও হতে পারে। মূলত স্নায়ুর সমস্যা, পেলভিক ফ্লোর মাসলের দুর্বলতা, দুর্ঘটনা বা সন্তানধারণের পর এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও আরও অনেক কারণে এরকম সমস্যা হতে পারে। কারও কারও জোরে হাসলে, হাঁচি বা কাশি হলেও খানিকটা পরিমাণ প্রস্রাব হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষ বিষয়টিকে ডায়াবেটিসের লক্ষণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগে ছোট্ট একটি ব্যায়াম করে দেখতে পারেন। যদি উপরোক্ত করণের জন্য এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই ব্যায়াম করলে ফল পাবেন হাতেনাতে।

আজ আমি সেই সহজ ব্যায়ামের কথা আলোচনা করব। সমস্যা থাকলে করবেনই, কিন্তু চাইলে অন্যরাও ভালো থাকার জন্য এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। এটি নিয়মিত করলে পেলভিস ফ্লোর মাসল শক্তিশালী হয়। ফলে ক্রমশ সমস্যা মেটে। এবার ব্যায়ামটি কীভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে একটু বুঝিয়ে বলি।
প্রথমে শুয়ে পা ভাঁজ করে দু’ হাঁটুর মাঝখানে বালিশ রেখে পাশাপাশি জোরে চেপে ধরুন। সেই সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে প্রস্রাবকে আটকানোর মতো করে মাংসপেশিগুলোকে ভিতরের দিকে টানতে। এভাবে পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। আবার পাঁচ সেকেন্ড শিথিল করতে হবে। এভাবে প্রতিবার দশবার করে করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে দিনে মোট তিনবার করতে হবে।
শুধু শুয়েই নয়, বসেও এই ব্যায়াম করা যায়। এক্ষেত্রে বসা অবস্থায় দুটো হাঁটুর মাঝখানে বালিশ দিয়ে চেপে ধরে একভাবে প্রস্রাব আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। বাকি নিয়ম একই।
আপনি চাইলে দাঁড়িয়েও এই ব্যায়াম করতে পারেন। নিয়ম একই। দু’পায়ের মাঝখানে বালিশ রেখে চাপ দিয়ে প্রস্রাব পাঁচ সেকেন্ড আটকে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তারপর পাঁচ সেকেন্ড বিশ্রাম। এভাবে দশবার করতে হবে।
বালিশ দিয়ে করলে ভালো হয়। তবে একান্ত না পেলে এমনিও করতে পারেন। বাকি পদ্ধতি একই।
সব সময় প্রস্রাব করে এসে ব্যায়াম করবেন। মূত্রথলি যেন খালি থাকে। প্রস্রাব ধরে রেখে ব্যায়াম করলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে।
কিছুদিন ব্যায়াম করেই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এই ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। অন্তত টানা একমাস সঠিক পদ্ধতি মেনে করলে পেলভিক ফ্লোর মাসল অনেকটাই শক্তিশালী হবে, তখন নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

যোগাযোগ: ৯০৫১৮৪৩৫৩১

Skip to content