মাইগ্রেন একটি পরিচিত শব্দ। অনেকেই এই সমস্যায় খুব ভোগেন। কারও কারও মাসের তিন-চার দিন তো বাঁধা ধরা। কখনও কখনও এমন যন্ত্রণাও হয় যে, নিত্যদিনের কাজ করাও দুষ্কর হয়ে ওঠে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে— অনেক সময় কোন মাথাব্যথা মাইগ্রেনের আর কোনটা নয়, তা বুঝতে কিছুটা সময় লেগে যায়। তবে চিকিৎসকেরা এই রোগের উপসর্গ পরিষ্কার ভাবে নির্ধারণ করেছেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, এই সমস্যায় কিছু অভ্যেস বদলে ওষুধ ছাড়াও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাইগ্রেনের ব্যথাকে। তাই আজকের আলোচনার বিষয় হল ‘মাইগ্রেন’।
মাইগ্রেন ঠিক কী?
● এটি এক ধরনের স্নায়ু সংক্রান্ত রোগ। আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে যে ধমনীগুলো থাকে তা যখন স্বাভাবিকভাবে সংকোচন ও প্রসারণ হতে পারে না বা বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই এই ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘মাইগ্রেন’ বলা হয়।
এর উপসর্গ কী কী
● মাইগ্রেনের প্রধান উপসর্গ হল মাথাব্যথা। সাধারণত মাথার একদিকেই বেশি ব্যথা করে। তারপর তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে ।
● মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে আলোর দিকে তাকাতে অসহ্য মনে হবে।
● চারপাশের যে কোনও আওয়াজ বিরক্তিকর মনে হবে।
● অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়।
● এসময় কোনও কিছুকে দেখলে হিজিবিজি মনে হতে পারে।
● কারও কারও বমি ভাব, গা গোলাতে পারে।
● মাথাব্যথা চার থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধি থাকতে পারে।
● মাইগ্রেনের প্রভাবে অনেক সময় মাথা দপদপ করতে পারে।
● অতিরিক্ত মাথা যন্ত্রণার জন্য কারও কারও ঘুম ভেঙে যায়।
● এছাড়াও পেটে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কোন কোন খাবার এড়াতে হবে
এমন খাবার খাওয়া যাবে না, যেগুলি মাইগ্রেনের যন্ত্রণাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন—
● মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়া যাবে না।
● চিজ, চকোলেট, পেস্ট্রি এগুলি না খাবার চেষ্টা করুন।
● আজিনা মটর যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
● অবশ্যই অ্যালকোহল বা মদ্যপান বর্জন করুন।