ছবি প্রতীকী
অন্যান্য ক্ষেত্রে কিন্তু সাধারণত ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না। অর্থাৎ শুধু কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেই আমরা ইউরিক অ্যাসিড কমানোর চেষ্টা করি। একমাত্র কোনও রোগীর যদি কিডনি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকে, তাহলেই ইউরিক অ্যাসিডের ওষুধ দেওয়া হয়।
কী কী খাওয়া যাবে না
আগের পর্বগুলিতে আলোচনা করেছি, ইউরিক অ্যাসিডের জন্য আমরা কী কী খাবার এড়িয়ে চলব। বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল, রড মিট, মেটে, চিংড়ি, কাঁকড়া, সামুদ্রিক মাছ, ফুলকপি, মাশরুম ইত্যাদি। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এই সব খাবার এড়াতেই হবে।
আপনারা হয়তো জানেন, ইউরিক অ্যাসিড যদি কারও শরীরে বেশি মাত্রায় থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁর ডায়াবেটিস হলেও হতে পারে। সে কারণে আগাম সতর্ক থাকতে এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে রড মিট, মেটে, চিংড়ি, কাঁকড়া, সামুদ্রিক মাছ, ফুলকপি, মাশরুম ইত্যাদি খাবার না খাওয়াই বুদ্ধমানের কথা।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে পাতে রাখুন এই সব খাবার
কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলো ইউরিক অ্যাসিডকে ভেঙে দিতে পারে। সেই সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডকে মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্যও করে। কারও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে অবশ্যই অন্তত তিন লিটার জল খেতে হবে। পাশাপাশি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। রোজ যেকোনও ধরনের লেবু (পাতিলেবু, কমলালেবু ও মুসাম্বি) এবং আমলকী খাওয়া যেতে পারে।
আবার এমন কিছু কিছু খাবারও আছে যেগুলি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করতে খুব সাহায্য করে। যেমন শসা। ইউরিক অ্যাসিডকে বাগে আনতে শসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর দামও খুব বেশি নয়। সহজলভ্য, সারা বছরই পাওয়া যায়। তাই রোজ আপনার পাতে থাকুক শসা।
ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে শরীরে? কী কী লক্ষণ দেখলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে? জেনে নিন খুঁটিনাটি
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৩৯: মিশ্র মাছ চাষের অভিনবত্ব
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩: টক খেওনা ধরবে গলা
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২১: কে তুমি নিলে আমার চিরসবুজের ‘অগ্নিপরীক্ষা’
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৯: গুরুদেবের দেওয়া গুরুদায়িত্ব
জেনে নাও Unseen Comprehension এ কীভাবে পাবে ফুল মার্কস এবং পড়বে কোন Phrasal Verbগুলো
চেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ক্রেনবেরি খাওয়া সম্ভব না হলে
একান্তই যদি চেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি ফল না খাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে নিয়মিত পাতিলেবু, মুসাম্বি, কমলালেবু, আমলকী, শসা এগুলি খেতে হবে। সঙ্গে তিন লিটার জলপান করতে হবে। তাহলেই কিন্তু আমাদের শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। সব থেকে বড় ব্যাপার হল, আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারব। এড়াতে পারব কিডনি স্টোন না হওয়া বা ইউরিক অ্যাসিড জনিত কারণে আমাদের গেঁটে বাতের মতো সমস্যাকে।
যোগাযোগ: ৯৮৩১৬৭১৫২৫