সোমবার ১১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

প্রথমেই বলে রাখি টম্যাটো ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি কোনও মারণ রোগ নয়। রোগটি আগেও ছিল। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম: হ্যান্ড, ফুড অ্যান্ড মাউথ ডিজিস (HFMD)। এই অসুস্থতায় উপসর্গ শরীরে ছোট ছোট লাল রঙের ফোস্কার মতো ক্ষত দেখা যায়। এই ক্ষতগুলিকে কিছুটা টম্যাটোর মতো দেখতে হওয়ায় এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘টম্যাটো ফ্লু’।
 

কারা আক্রান্ত হতে পারে

মূলত যে সব শিশুর বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তাদেরই ‘টম্যাটো ফ্লু’ হতে পারে।
 

অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে?

এটি এক প্রকার ভাইরাস ঘটিত সংক্রামক রোগ। ফলে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে। তাই সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরি।
 

টম্যাটো ফ্লু-এর উপসর্গ

প্রচণ্ড জ্বর, খিদে কমে যাওয়া, প্রচণ্ড মাথা ও গা ব্যথা, ছোট ছোট লাল রঙের ফোস্কার মতো ক্ষত, হাত ও পায়ের তালুতে ঘামাচির মতো র্যা শ, ত্বকে জ্বালাভাব, ক্লান্তি, বমি, হাত-কনুই-গলার ত্বকের রং পরিবর্তন, ডিহাইড্রেশন, গাঁটে ও পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, কাশি, সর্দি প্রভৃতি হতে পারে।

চিকিৎসা ও সতর্কতা

সাধারণত টম্যাটো ফ্লু-এর উপসর্গ দেখেই রোগটিকে চিহ্নিত করা হয়। এর জন্য সাধারণত আলাদা করে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার হয় না। যদি বাচ্চাদের হাত ও পায়ে র্যা শ বেরোয়, বার বার জ্বর আসে তাহলে আপনি আপনার বাচ্চাকে স্কুল, কোচিং সেন্টার কিংবা খেলাধুলা করতে পাঠাবেন না। কারণ, এটি আপনার বাচ্চার থেকে অন্য বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। এই রোগের চিকিৎসায় আলাদাভাবে তেমন কিছু করা হয় না। সাধারণ জ্বরের মতোই এক্ষেত্রেও প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে জল খেতে বলা হয়। ওআরএস খাওয়াতে হবে। যদি বমি হয় তাহলে বমির ওষুধ খেতে হবে। টম্যাটো ফ্লু হলে সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। এতে বাচ্চার শরীর খানিকটা দুর্বল হয়ে যায়। খিদে কমে যেতে পারে। তাই ওদের পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার দিতে হবে, সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

তবে একটি জরুরি কথা হল, উপসর্গগুলি দেখা দিলেই সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। সংক্রমিতকে পাঁচ থেকে সাত দিন একটি আলাদা ঘরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে আগেই বলেছি অযথা আতঙ্কিত হবেন না। এটি রোগ বড়দের হয় না। বাচ্চাদেরই শুধু হয়ে থাকে। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে বাচ্চাকে পাঁচ থেকে সাত দিন বাড়ির মধ্যেই আলাদা করে রাখুন। যাতে সে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে না মিশতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে গায়ে তৈরি হওয়া ফোসকাগুলি যাতে ফেটে না যায়। শিশুর ব্যবহৃত কোনও কিছুই যেন অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকেও নজর দিতে হবে। করোনার মতো এক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে।

ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

যোগাযোগ: ৯৮৩১৬৭১৫২৫


Skip to content