ব্যথা যখন বাঁদিকে
● পেটের ওপরের অংশে বাঁদিকেও অনেক সময় পাকস্থলির প্রবাহ থেকে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, পেটের উপরে বাঁদিকে ব্যথা অনেক সময় হার্টঅ্যাটাকের উপসর্গ হিসাবে ধরা হয়। কেমন করে বুঝবেন হার্টঅ্যাটাকের সমস্যা হচ্ছে কিনা? আমাদের হার্টের নীচের দিকটা থাকে ডায়াফ্রামের ঠিক ওপরের অংশে। সুতরাং হার্টের নীচের দিকটা যদি অ্যাটাক হয় যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘ইনফিরিয়র ওয়াল’ বলা হয়, সেক্ষেত্রে ব্যথাটা বুকে না হয়ে পেটের মাঝখান বা ওপরের বাঁদিকে হতে পারে। এই ব্যথাটা দীর্ঘক্ষণ হতে থাকবে। বুক ধরফর করতে পারে। শ্বাসকষ্ট হবে। ঘাম হতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যথা বাঁদিকের হাতেও শুরু হলে, সময় নষ্ট না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ইসিজি করতে হবে।
তাই যাঁদের বয়স চল্লিশ বছরের বেশি, পরিবারের হার্টের সমস্যার ইতিহাস আছে, ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস থাকলে সতর্ক হতে হবে।
পেটের মাঝখানের ব্যথা
● সাধারণত পেটে জীবাণু সংক্রমণ বা কৃমি হলে পেটের মাঝখানে ব্যথা হয়। তবে ব্যথা যদি নাভির চারিদিকে হয় তাহলে তা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ। সেক্ষেত্রে ব্যথা আস্তে আস্তে তলপেটের ডানদিকে ছড়িয়ে যায়। নাভির দু’ দিকে ব্যথা হলে ধরে নিতে হবে পেটে জীবাণু সংক্রমণের জন্য হচ্ছে। কিন্তু যদি দীর্ঘক্ষণ ব্যথা হয় তাহলে কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
তলপেটে ব্যথা
● তলপেটে ব্যথার রোগ নির্ণয় করা খুব শক্ত হয়। তলপেটের ডানদিকে ব্যথা হলে প্রথমেই দেখতে হবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে কিনা। মূত্রনালীতে পাথর হলেও ব্যথা হয়। মেয়েদের ওভারিতে সিস্ট হলেও এরকম ব্যাথা হতে পারে। আবার ওভারিতে সিস্ট ফেটে যাচ্ছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
এছাড়াও মেয়েদের অনেক সময় ‘একটপিক প্রেগনেন্সি’ হয়। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মে ইউটেরাসে না হয়ে ফ্যালোপিয়ান টিউবে হয়। সেটা অনেক সময় ফেটে যেতে পারে। সেজন্যও তলপেটের ডান বা বাঁ দিকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগী ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারেন, সঙ্গে কোনও ভাবেই ব্যথা কমবে না।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
যোগাযোগ: ৯৮৩১৬৭১৫২৫