রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

একটা দাঁতে যখন ক্ষয় হওয়া শুরু হয়, তখন একটা পর্যায় পর্যন্ত তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের অবহেলা করার কারণে দাঁতগুলোতে এমনভাবে ক্ষয় হয়ে যায় যে, তখন সেটা তুলে ফেলা ছাড়া কাছে কোনও উপায় থাকে না। এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা একটু ব্যথা হলেই দাঁতটা তুলে ফেলেন।
কথাটা হচ্ছে, দাঁত তুলে ফেলাটাই কি সব সমস্যার সমাধান? একটু খতিয়ে যদি দেখা হয় তাহলে, ব্যথার জন্য দাঁত তুলে ফেললে তা কেবল সাময়িক এবং তাৎক্ষনিক সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু যদি সেই খালি জায়গায় আমরা দাঁত না লাগিয়েনি তাহলে সেটা অনেক বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
আরও পড়ুন:

আক্কেল দাঁতের সমস্যা? ব্যথায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন? কী করবেন? দেখুন ভিডিয়ো

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪১: চোখ ঠিক রাখতে মাছের মুড়ো?

আমাদের দাঁতগুলি কোনওটাই হাড়ের মধ্যে একদম এক জায়গায় সারাজীবন বসে থাকে না। জায়গা ফাঁকা পেলেই দাঁতগুলো নড়াচড়া করতে শুরু করে। নিচে দাঁত না থাকলে তার ওপরের দাঁতটা নেমে আসে। একই ভাবে পিছনের দাঁতও সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এর ফলে আমাদের সব দাঁতের মধ্যে যে সমতা থাকার কথা সেটা নষ্ট হয়ে যায়। সহজ করে বললে ওই দিক দিয়ে আর ভালো ভাবে খাওয়া দাওয়া করা যায় না।
আরও পড়ুন:

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১১: কার মন ভোলাতে এলে তুমি আজ…

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১৯: সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সবই দেখি তা না না না?

এ বার এই অবস্থায় যদি অনেকদিন রেখে দেওয়া হয় তাহলে চোয়ালের হাড়ের সমস্যা হতে পারে। কানের কাছে ব্যাথা হতে পারে। এমনকি ম্যাথার যন্ত্রণা, রাত্রে ঘুমোতে না পারা এসবও ধীরে ধীরে দেখা যেতে পারে। মুখ খুলতে বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়া, ট্যারাব্যাকা ভাবে মুখ খোলা এগুলোও অনেক ক্ষেত্রে হতে পারে।
আরও পড়ুন:

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১০: রেমন্ড কোপা এক কিংবদন্তি ফুটবল বাদশা

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৫: সারদা মায়ের রোগ নিরাময়

তাই দাঁত তুলে ফেলা মানেই সব সমস্যার সমাধান না। এটা খুব ভালো ভাবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ফাঁকা জায়গায় দাঁত লাগানোর বিভিন্ন উপায় আছে। একদম চিরাচরিত খোলা পরা দাঁত থেকে, ফিক্সড দাঁত, বা অত্যাধুনিক ইমপ্ল্যান্ট, বর্তমানে চিকিৎসার প্রচুর উপায় আছে। এক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মেনে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

যোগাযোগ: ৯৪৭৭৩২০১৭২
* ডাঃ সুপ্রতিম মণ্ডল, ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জেন।

Skip to content