‘চণ্ড’ গিরিশচন্দ্র রচিত প্রথম ঐতিহাসিক নাটক। কর্নেল জেমস টডের লেখা ‘অ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকিউটিস অফ রাজস্থান’ এই গ্রন্থ অবলম্বনে তিনি এই চন্ড নাটকটি লিখেছিলেন। ১৮৮১ সালের একুশে মে ন্যাশনাল থিয়েটারে গিরিশচন্দ্রের ‘আনন্দে রহ’ একটি নাটক অভিনীত হয়েছিল। সেটা ঠিক ঐতিহাসিক নাটক বলা যায় না। চণ্ড নাটকে গিরিশচন্দ্র মধুসূদন প্রবর্তিত চোদ্দো অক্ষরে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেছেন।
১৮৯০ সালের ২৬ জুলাই হাতিবাগানের স্টার থিয়েটারে গিরিশচন্দ্রের চন্ড প্রথম অভিনীত হয়। প্রথম অভিনয় রজনীতে যাঁরা অভিনয় করেছিলেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। অমৃতলাল মিত্র (চন্ড), অমৃতলাল বসু (পূর্ণ রাম), শ্রীমতি তারা সুন্দরী (মুকুলজি), শিখণ্ডির ভূমিকায় উপেন্দ্রনাথ মিত্র, গোলাপ সুন্দরী বিজুরির চরিত্রে, নীলমাধব চক্রবর্তী রণমল্লের ভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন। সর্বোপরি রঘুদেবজীর চরিত্রের শিল্পী সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ (দানিবাবু)।
১৮৯০ সালের ২৬ জুলাই হাতিবাগানের স্টার থিয়েটারে গিরিশচন্দ্রের চন্ড প্রথম অভিনীত হয়। প্রথম অভিনয় রজনীতে যাঁরা অভিনয় করেছিলেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। অমৃতলাল মিত্র (চন্ড), অমৃতলাল বসু (পূর্ণ রাম), শ্রীমতি তারা সুন্দরী (মুকুলজি), শিখণ্ডির ভূমিকায় উপেন্দ্রনাথ মিত্র, গোলাপ সুন্দরী বিজুরির চরিত্রে, নীলমাধব চক্রবর্তী রণমল্লের ভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন। সর্বোপরি রঘুদেবজীর চরিত্রের শিল্পী সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ (দানিবাবু)।
দুর্জয় রাজ্য লিপসা এবং কামের সংমিশ্রণে কেমন ভাবে আত্ম বিস্মৃত হয়ে নিজের আত্মজের সর্বনাশাধনে প্রবৃত্ত হয়, গিরিশচন্দ্র এই নাটকে তা নিখুঁত ভাবে চিত্রিত করেছেন। কালোপযোগী পোশাক পরিচ্ছদ ও দৃশ্যপট রচনা করা হয়েছিল। রণস্থলে বহু সংখ্যক চিতোর, রাঠোর ও ভিল সৈনিকদের সুশৃংখলার সঙ্গে একত্র সমাবেশে চন্ড মহাসমারোহে অভিনীত হয়েছিল।
নাট্যাচার্য অমৃতলাল বসু, নীলমাধব চক্রবর্তী, গোলাপ সুন্দরী মানে সুকুমারী দত্ত প্রমুখ শিল্পীরা অভিনয় চাতুর্য প্রদর্শন করলেও নাটকটি কিন্তু বেশিদিন চলেনি। এর কারণ বোধহয় পাঁচ অংকের উপাদান থাকতেও নাটকটি চার অঙ্কের সমাপ্ত হয়ে শেষাংশ খানিকটা সংক্ষিপ্ত হয়েছিল। তাছাড়া গিরিশচন্দ্রের সামাজিক নাটকগুলি তখন এমন ভাবে দর্শকদের আকৃষ্ট করেছিল সেই ভাবে প্রথম ঐতিহাসিক নাটক তেমন আকর্ষণ করতে পারেনি।
নাট্যাচার্য অমৃতলাল বসু, নীলমাধব চক্রবর্তী, গোলাপ সুন্দরী মানে সুকুমারী দত্ত প্রমুখ শিল্পীরা অভিনয় চাতুর্য প্রদর্শন করলেও নাটকটি কিন্তু বেশিদিন চলেনি। এর কারণ বোধহয় পাঁচ অংকের উপাদান থাকতেও নাটকটি চার অঙ্কের সমাপ্ত হয়ে শেষাংশ খানিকটা সংক্ষিপ্ত হয়েছিল। তাছাড়া গিরিশচন্দ্রের সামাজিক নাটকগুলি তখন এমন ভাবে দর্শকদের আকৃষ্ট করেছিল সেই ভাবে প্রথম ঐতিহাসিক নাটক তেমন আকর্ষণ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব -২১: গিরিশচন্দ্র ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে বাঙালির অতীত স্বাধীনতা সূর্যের অস্তরাগের করুন ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন
সাধের বাড়িতে এই সব সামগ্রী রেখেছেন? তাহলে সংসারে সুখ-শান্তি ফেরাতে অবশ্যই এগুলি মেনে চলুন
গিরিশচন্দ্রের শিক্ষার নতনত্বে সুবিখ্যাত অভিনেত্রী গোলাপ সুন্দরী বিজুরীর ভূমিকার সর্বোচ্চ প্রশংসা লাভ করেছিলেন। চন্ড নাটক অভিনীত হওয়ার কিছুদিন পূর্বে গিরিশচন্দ্রের সুযোগ্য পুত্র বঙ্গের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নট সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ স্টার থিয়েটারে যোগদান করে প্রথম প্রথম পুরানো দক্ষযজ্ঞ, নলদময়নতী, রূপ সনাতন নাটকে যথাক্রমে বিষ্ণু ইন্দ্র ও চৈতন্যদেবের চরিত্রে ছোট ছোট ভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন।
রঘুদেবজির ভূমিকা নিয়ে চন্ড নাটকের তিনি এই প্রথম রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হন। সুরেন্দ্রনাথের সুমধুর কন্ঠস্বর ও মর্মস্পর্শী অভিনয় দর্শনে আকৃষ্ট হয়ে দর্শক মন্ডলী এই কিশোরবয়স্ক দিব্য কান্তি নবীন যুবকটির পরিচয় জানতে আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকেন। যখন তাঁরা জানলেন তিনি নটগুরু গিরিশচন্দ্রের পুত্র তখন তাঁরা বিস্ময় আনন্দে মুক্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, “ভবিষ্যতে এই যুবক অভিনয় কলা প্রদর্শনে পিতৃগৌরব রক্ষা করিতে পারিবে।”