শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

মানুষ সমাজবদ্ধ প্রাণী। এই কথা আমরা পাঠ্যবইতে পড়লেও এই কথার মর্মার্থ অনুধাবন করে উঠতে পারিনি। এই না পারার কারণ একাধিক। অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায়, আমাদের জীবনধারাতে কোনও দিন নারী এবং পুরুষ উভয়কে সমান হিসেবে দেখে উঠতে পারিনি। আঠেরো শতকে প্রকৃতিবিদরা যখন নারী শরীরের ভিত্তিতে মানুষ এবং দুই পায়ে চলা বানরের মধ্যেকার পার্থ্যক্য নির্ধারণ করতে যান, তখন একটি বিষয় পরিষ্কার হয়— মানুষ যতটা প্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করেছে তার থেকে বেশি ক্ষমতার প্রদর্শন করেছে। পুরুষদের এই বিভাজন রেখায় আনা হয়নি, কারণ তাদের যুক্তি এবং ভাষার ব্যবহারের ক্ষমতা আছে। তাই তারা আদর্শ এবং উৎকৃষ্ট। সেই সঙ্গে তাদের স্তন্যপান করানোর উপায় নেই।

পুরুষদের থেকে বানর অনেকটাই পিছিয়ে আছে সেই নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু নারী সে যেকোনও প্রাণী গোত্রেরই হোক না কেন, সন্তানের জন্ম দিয়ে স্তন্যপান করিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে। এই বক্তব্য কার্ল লেনিয়াসের ‘সেক্স’ ভিত্তিক শ্রম বিভাজনের তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই সঙ্গে বিষমকামীতাকে সমাজের যৌনতার একমাত্র গ্রহণীয় প্রক্রিয়া সেটাও প্রতিষ্ঠা করে দেয়।

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক আলোচনাতে যৌনতার সত্য জানার চেষ্টা হয়েছে যৌনতার বিজ্ঞান তৈরি করার মধ্যে দিয়ে। এই বিজ্ঞানের মধ্যে শরীরের বিপজ্জনক প্রবণতা, গুপ্ত ফ্যান্টাসি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হল। এই ব্যক্তি মুখী বিষয় নিয়ে ইউরোপের মানুষ যে ভাবে আলোচনা করে তাকে বলা হয় স্বীকারোক্তিমূলক। ইউরোপের চার্চগুলিতে এরকম স্বীকারোক্তি দেওয়ার আলাদা ঘর থাকে। ব্যক্তি মানুষ তার পাপ ও পুণ্যের হিসেব আলোচনা করতে এরকম চার্চে যেতেন। পরে যখন তারা নিজেদের মনের কোণে উদয় হওয়া প্রশ্ন নিয়ে নাজেহাল হলেন কারন ততদিনে আইন আদালত যৌনতার বিষয় নিয়ে আইন করা, বিধিনিষেধ আরোপ করা, এমনকি শাস্তি দেওয়া শুরু করেছিল।

এ ক্ষেত্রে অস্কার ওয়াইল্ড-এর শাস্তি পাওয়ার গল্প আছে। ইউরোপের বৈজ্ঞানিক আলোচনাতে তাই এই স্বীকারোক্তি যৌনতার সত্য জানার প্রধান উপায় হয়ে উঠল। এ ভাবে ব্যক্তির নিজের অভিজ্ঞতা, নিজের দর্শন সংবলিত তথ্যকে নিয়ে, বিভিন্ন যৌন জীবনের ত্রুটি বিচ্যুতিকে নিয়ে একটি জবানী তৈরি করা হয় আর কোন সমস্যা হলেই অই তথ্য দিয়ে বিচার করা শুরু হয়। যেমন আমরা এখন প্রায় সব পুরুষকেই ‘রেপিস্ট’ ভাবছি আর নারী কিছু বললেই বলছি সে ৪৯৮ ধারার অপব্যবহার করছে। কোনটা সত্যি, আর কোনটা মিথ্যে তা ধরা যাচ্ছে না।
এই সবের ফলাফল আমরা দেখলাম যে কোনও শারীরিক বা মানসিক সমস্যার কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে কোন যৌন কারণ। কিন্তু রোগী এবং চিকিৎসকের কাছে পরিষ্কার হয় না কীভাবে যৌনতা অসুখের কারণ হতে পারে। কিন্তু পাশ্চাত্য দেশে রোগী এবং চিকিৎসক ভীষণ রকম ভাবে এই গোপন প্রক্রিয়ার সত্যি জানতে উৎসুক। নিজেদের উৎসাহ ক্রমেই নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে। আবার একদল মানুষ নিজেদের যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে, কিন্তু কীভাবে তাদের এই যৌনতা তৈরি হয়েছে সেই সম্পর্কে নিজেরাই অজ্ঞ থেকেছে। এখানে একটা বিষয় উল্লখ না করলে নয়, পাশ্চাত্যে যৌনতার ধারণাতে নারীদের নিজস্ব যৌনতা নিয়ে বিধিনিষেধ বা বিশেষ ভাবনার অবকাশ রাখা হয়নি। তারা বিশ্বাস করতে চায়নি যে, তাদের যৌনতা ক্রিয়াতে কোনও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকতে পারে।

এই পাশ্চাত্য ভাবনার উলটো ছবি দেখা গিয়েছিল প্রাচ্যে। ইউরোপীয় উপনিবেশের কালে সেই ধরণা পরিবর্তিত হয়। ভারতে আমরা ‘কামের শিল্পকলা’ দেখেছি এবং এখানে সুখানুভূতি যৌনতার চালিকা শক্তি। ফলে কোনও বিধি নিষেধের উল্লেখ নেই কোথাও। এখানে তাই সুখের ধারণাতে প্রথমে নিজের সঙ্গে সম্পর্ক তারপর সুখের তীব্রতা, স্থিতিকাল, শরীর, আত্মা প্রভৃতি বিষয় আসে। এই বিষয়ের ধারণা নির্মাণে প্রয়োজন হয় গুরুর। তাই ভারতে ‘দীক্ষিতের পরম্পরা’ দেখা যায়।

এখনও আমরা এলজিবিটিউএআই প্লাস’দের ক্ষেত্রে গুরুর উপস্থিতি এখনও লক্ষ্য করতে পারি। ভারতে যৌনতার ধারণা নির্মাণে গুরু এবং এই সংক্রান্ত জ্ঞানের বিচরণ গুরু থেকে শিষ্যের দিকে হওয়াতে ক্ষমতার প্রয়োগ যৌনতার ক্রিয়াকে বাধা দেয়নি। পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ হয়তো করেছে। বরং কামশাস্ত্র রচিত হয়েছে। কিন্তু উপনিবেশ এই শাস্ত্রকে পাশে সরিয়ে দিয়ে দমনাত্মক শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে। ভারতবাসীকে নিজেদের থেকে আলাদা করতে গিয়ে এই যৌনতার বিষয়টিকেও ‘নরমাল’, ‘অ্যাবনরমাল’ এই দুটি ভাগে ভাগ করে দিয়ে পুলিশি নজরদারির মধ্যে এনে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৩১: মানুষ, যৌনতা এবং দেবোত্তমদের রূপকথা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩২: আটার চেয়ে ময়দা ঢের গুণ ভালো?

এ কথাও বলা যেতে পারে যে, এই দমনমূলক নজরদারির জন্য যৌনতার মতো বিষয়ের সঙ্গে আমরা ভারতীয়রা ক্রমেই ব্রাহ্মণ্যবাদী শুদ্ধাচারের ধারণা জুড়ে দিয়ে বলেছি সংযম, নৈতিক এবং শারীরিক শুচিতা, বিয়ের আগে ব্রহ্মচারী ব্রত পালন, নিয়মিত দৈনন্দিন জীবনযাপন না করলে শরীরের ক্ষতি হয়। সন্তান উৎপাদন করার প্রয়োজন ছাড়া যৌন সুখ অনুভব করা তাই হানিকর।

অন্যদিকে, যৌনতার সজ্ঞা যদি পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে, ‘যৌনতা আসলে একটি সামাজিক সম্পর্ক। সামাজিক সম্পর্ক যেমন দেশ কাল নিরপেক্ষ নয়, সামাজিক সম্পর্কের চরিত্র এবং বিশিষ্ট যেমন নির্ভর করে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র, সংস্কৃতি, ক্ষমতার চরিত্রের উপর, যৌনতাও তাই। তাই দেশ কাল সংস্কৃতি ভেদে যৌনতার বিষয়বস্তুর গঠন, অর্থ ও তাৎপর্য ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে’। অথচ আমরা বারে বারেই ঔপনিবেশিক জ্ঞানকেই সিদ্ধ জ্ঞান মনে করি। সেই সঙ্গে নজরদারি শুরু করি শিশুদের যৌনতার বিষয়টির উপর প্রথমেই। এই প্রেক্ষাপটে আমি দেবোত্তমকে প্রশ্ন করেছিলাম, স্কুল জীবনে তাদের কীভাবে যৌনতা নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের কেমন করে নারী বা পুরুষ লিঙ্গের ভূমিকা গ্রহণ করতে বলত। কারণ যারাই এলজিবিটিকিউএআই প্লাস আন্দলনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, তারা প্রত্যেকেই নিজেদের কষ্ট বা লড়াইয়ের কথা স্কুল জীবন দিয়েই শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬: গার্হস্থ্য জীবনের প্রারম্ভে ভৈরবী ব্রাহ্মণীর আগমন

মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-১: ভিতরকুঠি টেরাকোটা শিবমন্দির এক অনন্যসাধারণ কোচ স্থাপত্যশৈলীর উদাহরণ

দেবোত্তম সাহার উত্তরে উঠে এসেছে এরকম এক চিত্র, যেখানে তাদের সংগ্রাম শুরু হচ্ছে নিজেদের একঘরে হওয়া থেকে বেরিয়ে আসার লড়াই দিয়ে। দেবোত্তমদের ক্লাসের মধ্যে যাদের বেশি মেয়েলি বলে মনে হয়েছে বাকি বন্ধুরা তাদেরই উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে দেয়। ক্রমাগত বিরক্ত করার মধ্যে দিয়ে তাদের দুর্বল প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হতে থাকে। দেবোত্তম এবং তার কিছু বন্ধু স্কুলে নাচ করতে এবং শিখতে চাইলেন। সেই শুনে দেবোত্তম জানিয়েছেন, শিক্ষকরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেলেন। কিন্তু দেবোত্তমরা নাচ শুরু করলেও তাদের স্কুল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আর সেই স্কুলে কেউ নাচ করে না।

এ ভাবে দমন করা ছাড়াও দেবোত্তম যখন ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণিতে কিংবা একটু বড় বয়সে এসে নিজের যৌনতার পছন্দের কথা জানাতে শুরু করে তখন তাঁকে ভীষণ ভাবে ঠাট্টার পাত্রে পরিণত করা হয়। এই সময়ে এই শিশুরা বা কিশোররা সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি খুঁজতে থাকে তা হল নিজেকে নিয়ে যে প্রশ্নগুলো মনে এবং সমাজে উঠছে তার সুস্পষ্ট উত্তর। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয় না। উলটে সেই শিশু বা কিশোরের হস্তমৈথুনের অভ্যেস গড়ে উঠছে কিনা সেই নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়ে যায়। বাবা-মা, শিক্ষক সবার মনে হতে থাকে এই অভ্যেস উদ্দেশ্যহীন এবং স্বাস্থ্যহানি করবে। এই অভ্যেস তাই দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবে। কারণ শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেবোত্তম যখন পরিবারের কাছে ধরা পড়ে তখন তাকে বলা হয় নিজেকে চিকিৎসা করাতে।

দেবোত্তম এই পুরো প্রক্রিয়াতে নিজেকে বাঁচাতে ক্রমেই বদলে ফেলতে শুরু করে। দেবোত্তমের ক্ষেত্রে সমাজতত্ত্বের মতো বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করার ফলে নিজের মধ্যে যে প্রশ্নগুলো উঠেছিল কিন্তু সমাজ দমন করেছিল সেই প্রশ্নের উত্তর উঠে আসতে লাগল। এ ভাবে দেবত্তম নিজের সত্ত্বা তৈরি করতে সক্ষম হয়। এর পর নিজে যখন রোজগার করতে শুরু করে তখন প্রাথমিক সামাজিক বন্ধনের ভিত আলগা করে দেবোত্তম নতুন সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে জুড়ে যেতে শুরু করে। সেখানেই আমার মধ্যে আরও কিছু প্রশ্ন এগিয়ে আসতে থাকে নানা প্রান্ত থেকে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭০: অন্য বাইশে শ্রাবণ

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১: একটু শুরুর কথা হলে ক্ষতি কী…

একতা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে বন্ধন ছিন্ন করে অন্য সম্পর্কে চলে যাওয়া বিষমকামীতাতে হতে পারে। বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে, ‘বয়ফ্রেন্ড’ বা ‘গার্ল ফ্রেন্ড’ বদলে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে মানুষ বিষমকামীতা থেকে সমকামীতাতে আসতে পারে? এই প্রশ্ন এসেছে বারে বারে। দেবোত্তম জানিয়েছেন, সে বারে বারে চিন্তা করেছে পুরো বিষয়টি নিয়ে। বাড়ি থেকে দূরে থাকা অবস্থায় মানুষকে অনেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায়। নিজেকে একা থাকা থেকে, বিপদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে তাকে অনেক ভাবে নিজেকে বদল করতে হয়। এই পরিবেশ পরিস্থিতি তার মধ্যে কোন সত্ত্বা জাগিয়ে তুলবে, আমরা কেউ আগে থেকে বলতে পারি না। যৌনতা অনেক বেশি জলবৎ তরল বিষয়। যৌনতার মুখ্য এবং গৌণ দুই রূপ থাকতে পারে। বৈষ্ণবশাস্ত্র এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছে। কিন্তু আমরা কী করছি? রাষ্ট্র কী করছে?

দেবোত্তম সাহা।

আধুনিক রাষ্ট্র জনসংখ্যা নিয়ে ভাবছে এবং তার সঙ্গে যৌনতাকে জুড়ে দিয়েছে। এই জনসংখ্যা বিষয়টির সঙ্গে জুড়ে আছে জনস্বাস্থ্য, জনআহার, জন্মহার, মৃত্যুহার আর তার সঙ্গে ধর্ম এবং ভারতে ভোটের রাজনীতি। তাই রাষ্ট্র জনসাধরণের যৌন অভ্যেস নিয়ে আলোচনা করছে এবং ব্যক্তি কীভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে সেটাও লক্ষ্য রাখছে। ফলে ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র উভয়ই যৌনতা নিয়ে আলচনা করছে, জনগণের পরিসরে বিতর্কের অবতরণা করছে। তাই ব্যক্তি বিশেষজ্ঞের কথা শুনছে, নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে তাকে ভাবতে বাধ্য করছে। কিন্তু রাষ্ট্র নিজে কোনও নীতি তৈরি করছে না। আইনি সমাধানের বিষয় উঠে আসছে সমাজে কিন্তু এলজিবিটিকিউএআই প্লাস মানুষেরা কীভাবে নিজেদের অধিকার রক্ষা করবে সেই বিষয়ে রাষ্ট্র কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এলজিবিটিকিউএআই প্লাস মানুষেরা নিজেদের অবস্থান যখন আদালতে জানাচ্ছেন, তখন আদালত প্রাথমিক ভাবে কিছু নীতি এবং শাসন প্রণালী বিষয়ক ‘গাইড লাইন’ দিলেও রাষ্ট্র সেই ‘গাইড লাইন’ নিয়ে কোনও কমিটি তৈরি করছে না।

পরিশেষে বলা যায় রাষ্ট্রের কাছে এখনও নাগরিক কারা হবেন তাই নিয়ে একটি মডেল বানানো আছে। এই মডেল নরমাল আর অ্যাবনরমাল— এই দুই বিভাজন রেখা দিয়ে বানানো। এই দুই ধরনের নাগরিকদের উপর নজরদারির ব্যবস্থা করা আছে। এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য, রাষ্ট্রের একটি আন্তর্জাতিক মুখ এবং একটি সনাতনী রূপের সহবস্থান রাখা। কিন্তু দিনের শেষে আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যক্ষম বা প্রডাক্টিভ ধারণাকে দমনাত্মক ক্ষমতা হিসেবে রেখে কিছু মানুষের সুবিধা পাওয়াটাই রাষ্ট্র তথা সমাজ দর্শনে এবং শাসন প্রণালীতে পরিণত হয়েছে।

ঋণ স্বীকার:
https://doi.org/10.2307/2166840
যৌনতা ও সংস্কৃতি – সুধীর চক্রবর্তী
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content