শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

বাজারে গিয়ে শুনতে হচ্ছে এই গরমে চাষ ভালো হচ্ছে না। অতিরিক্ত রোদ এবং গরমে চাষ করা সবজি মাঠে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই সব্জির দামে ফারাক হচ্ছে। আবার অন্যদিকে মাছের বাজারেও শুনতে পেলাম এখন মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে আসছে না বাজারে। কারণ, মৎস্য দপ্তর থেকে মাছের প্রজননের জন্য সমুদ্র এবং নদীতে দু’ মাস মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিকে খবরের কাগজে দেখলাম কোন এক জামা কাপড়ের দোকানে বৌমাষষ্ঠী পালন করা হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে সামনে জামাইষষ্ঠী আসছে। তাই লিঙ্গ বৈষম্য বজায় রাখার জন্য বৌমাষষ্ঠী পালন করা হচ্ছে। আর প্রকৃতির রোষে পড়ে চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আসলে বিষয়গুলো এত সহজ-সরল না। যতই বলি আমার সাদা মনে কালো কিছু নেই। আসলে যেটা আছে সেটা হল অনুসন্ধান করার ইচ্ছে। আমি অনুসন্ধান করতে গিয়ে বুঝলাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাজ পোশাক বদলে যায়। কিন্তু মূল বিষয়টি হল এই ষষ্ঠী পুজার নেপথ্যে আমাদের প্রকৃতির কাছে আকুতি। কীসের সেই আকুতি আর তাই বা কীভাবে জামাই কেন্দ্রিক হল, আবার এখন আমরা লিঙ্গ সাম্যের বিষয়কেই আনছি এখানে কোন কোন উদ্দ্যেশ্যে। অতএব এখন আমাদের এই বহুরৈখিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।

সভ্যতার ঊষা লগ্ন থেকেই মানুষ উপলব্ধি করেছে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, সেই সঙ্গে নিজের প্রজাতিকে এই পৃথিবীতে অন্যান্য প্রজাতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। যদি বলি প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই, তাহলে তা হবে মূলত দু’ প্রকার। প্রথমত: প্রকৃতি থেকে খাদ্য এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদকে সংগ্রহ করার লড়াই। এই লড়াই করার জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন ধরনের যন্ত্র তৈরি করে চলেছে বুদ্ধি খাটিয়ে ।

দ্বিতীয়ত: যে লড়াই মানুষকে সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে, তা হল সম্পদের উপর নিজের অধিকার কায়েম করে রাখার জন্য নিজের স্বজাতির সঙ্গে লড়াই। এতে সম্পদের উপরে অধিকারের দাবি কায়েম রাখতে গিয়ে আপনজন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। শুধু লড়াই করে মৃত্যু হচ্ছে তাই নয়, সেই সঙ্গে প্রকৃতিতে থাকা নানা রকমের অসুখের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। সদ্য আমরা কোভিড অতিমারিকে প্রত্যক্ষ করলাম। সেই সমস্ত জানা-অজানা অসুখের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ দেবতাকে তুষ্ট রাখার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছে। অর্থাৎ প্রকৃতির থেকেও আক্রমণ এমন ভাবে এসেছে যে, সেখানে মানুষকেও প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়েছে। তাই মানুষ চেষ্টা করেছে প্রকৃতিকে তুষ্ট করে রাখতে। যাতে মানুষ সময়ে আসময়ে রসদ জোগাড় করে রাখতে পারে বেঁচে থাকার জন্য। মানুষের বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াতে এই প্রাকৃতিক রসদের ব্যাবহার অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। কারণ মানুষ একমাত্র প্রাণী, যে প্রাকৃতিক সম্পদকে পরিবর্তিত করে রকেট বানাতে পারে কিংবা ভুট্টাদানা দিয়ে কর্নফ্লেক্স বানিয়ে খেতে পারে। তাই মানুষের প্রকৃতিকে তুষ্ট রাখার আপ্রাণ চেষ্টা সব সময় লক্ষ্য করা যায়।
এই প্রকৃতিকে তুষ্ট রাখার প্রচেষ্টাতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কোনও না কোনও নারীকে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে এঁদের দেবী বলে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রকৃতি এবং মানুষের মধ্যে সমঝোতার কাজ করেছেন। এ সব ছাড়াও প্রকৃতির মধ্যে মানুষ সবসময় সৃষ্টি হতে দেখেছে, সে নতুন গাছ হোক কিংবা অসুখের কারণ। নানা রকম ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস বা নতুন প্রাণের এমনকি মানুষের সন্তানের। প্রাকৃতিক সৃষ্টির সঙ্গে মানুষ সবসময় নারীর যোগসূত্র খুঁজে নিয়েছে আরও একটি কারনে। কারণ সে নারী নিজে নতুন প্রাণের জন্ম দিয়ে তাকে প্রতিপালন করছে দেখে। অর্থাৎ নারীর ক্ষমতা আছে সৃষ্টি এবং রক্ষা করার।

রক্ষা করার দায়িত্ব অনেক বড় এবং কঠিন। সেই দায়িত্ব পালনে নারীদের নানা রকম পন্থা অবলম্বন করতে হয়। আবার নারীর মতো প্রকৃতিকেও রহস্যময়ী মনে করেছে মানুষ। আর একটা বিষয় লক্ষ্য করেছে মানুষ, সেটা হল নারীর ক্ষমাশীল মনভাব। এই মানব প্রজন্ম কিংবা গৃহপালিত পশুদের অথবা শস্যের বীজ রক্ষা করার প্রচেষ্টার মধ্যে সবাইকে নিয়ে মানিয়ে চলা বা আগলে রাখার প্রবৃত্তি নারীর মনের প্রসারতার দিকটি তুলে ধরে। এই মনভাব তারা প্রকৃতির মধ্যে দেখেনি। তাই তারা একটি মাধ্যমের সন্ধান করেছে যারা রুষ্ট প্রকৃতিকে বোঝাবে, প্রকৃতিকে তুষ্ট করা সেই নারীদের মানুষ কখনও মা ষষ্ঠী, কখনও বন দেবী, কখনও মা শেতলা বলে ডেকেছে।

এই প্রতিজন দেবী মূলত পূজিত হন নারীদের দ্বারাই। তবে সেই পুজো করার মধ্যে নারীদের একমাত্র অধিকার আছে তা নয়, পুরুষদেরও দেখা যায় এই পুজোর অনুষ্ঠানে যোগদান করতে বা উৎসাহ দিতে। লিঙ্গ বৈষম্যের জবানির প্রেক্ষাপটে দেখলে মনে হবে নারীদের এই প্রকৃতি পুজো কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। নারীরা প্রকৃতির মধ্যে থেকেই রোজকার প্রয়োজনের প্রাকৃতিক জিনিস যেমন জ্বালানির কাঠ, জল, খাদ্য প্রভৃতি সংগ্রহ করে। ফলে তাদের দিনযাপনের চেতনাতে এই জরুরি প্রয়োজনীয় রসদের জোগানের আকুতি সবসময় থাকে। এই আকুতির একটি বৃহত্তর চেতনার ধারণা হল প্রাকৃতিক সম্পদে সবার সমান অধিকার আছে। দ্বিতীয়ত, সবাই মিলে শুধু প্রয়োজন টুকু মিটিয়ে নিয়ে আবার মানুষের নিয়ে নেওয়া প্রাকৃতিক অংশগুলি আবার পুনরায় গড়ে উঠতে সময় দেওয়ারও দরকার আছে। মানুষ সঞ্চয় করে তাই সে বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে থাকে, এই ভাবনাটাই প্রতিফলিত হতে থাকে।
আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-২০: দুর্নীতির দুর্বিপাকে পিতৃতান্ত্রিক দ্বন্দ্ব

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২১: ক্যানসার মানেই মৃত্যু?

আমরা বনবিবি কিংবা বনদেবীকে নিয়ে যে লোকগল্প শুনি তাতে দেখি দক্ষিণ রায় কীভাবে অতিলভি হয়ে উঠতে থাকে। বিভিন্ন রূপ বা বহুরূপী হয়ে মানুষ এবং জঙ্গলের অনিষ্ট করতে থাকে এই বলে যে, তিনিই রাজা আঠার ভাটির দেশের, তাই তাকে কর দিতে হবে। অর্থাৎ প্রকৃতি এবং তার সন্তানদের উপর অত্যাচার চাপিয়ে দেওয়া নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে প্রতিষ্ঠার জন্য। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই রকম পরিস্থিতিতে গল্পের মধ্যে আর একটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে সেটা হল, বনবিবির জন্ম ও বেড়ে ওঠার গল্প। বনবিবির মাকে জঙ্গলে নির্বাসিত করা হয়েছিল এবং জঙ্গলে তিনি দুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। পুত্র সন্তানকে নিয়ে যায় জন্মদাতা পিতা, কিন্তু কন্যাকে রেখে যান মায়ের কাছে জঙ্গলে।

বনবিবি একটি হরিণ মায়ের সহযোগিতায় বেড়ে ওঠেন। আমার মনে হয়েছে, এই বেড়ে ওঠার গল্পের মধ্যে একটি খুব গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় রয়েছে। বিষয়টি হল, মানুষও প্রকৃতির অংশ, সে প্রকৃতির নিয়মের মধ্যে থাকা একটি প্রাণী। সব প্রাণীর মধ্যে বন্ধুতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে কেউ কারও অনিষ্ট করতে চাইলে প্রত্যেকে প্রথমে সুযোগ দেয় শুধরে নেওয়ার। তারপর তারা তীব্র আক্রমণ করে। মানুষ নিজেকে সবার থেকে সেরা হিসেবে দেখাতে চাইলে কী কী বিপদ হতে পারে সেগুলি পরিষ্কার করে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ধরনের লোককাহিনির মধ্যে। এই মানসিকতাই পিতৃতান্ত্রিক সমাজের মুল ভাবনা।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৫: আর্য কোথায়?

চলো যাই ঘুরে আসি: পাহাড়ের উপর ছবির মতো সুন্দর শ্রবণবেলাগোলা— চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের এক অজানা অধ্যায়

মানুষ নিজেই বুঝেছে বলেই এই লোককাহিনিগুলি লিখে গিয়েছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে থাকা প্রতিযোগিতা যে কে বেশি সম্পদশালী হবে প্রাকৃতিক সম্পদ হরণ করে এবং নারীকে দমন করে শুধু পরিষেবা নেবে। কিন্তু নারীকে দমন করা যে খুব সহজ নয় আগের পর্বের লেখাতে আমি দেখিয়েছিলাম যে, নারী অনেক বেশি সহনশীল এবং সহানুভূতিশীল। নারীরা পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করার বদলে সুযোগ দিতে চায়। বনবিবির গল্পে আমরা সেই বিষয়টি আবারও প্রত্যক্ষ্য করলাম। দেখলাম দক্ষিণ রায়ের মা এসে যখন বনবিবির সঙ্গে লড়াই করতে চাইলেন এবং লড়াই হল, তখন দক্ষিণ রায়ের মা উপলব্ধি করলেন অন্যায়ের জয় কখনও হয় না। তিনি কিন্তু এই পরাজয়কে মনে রেখে প্রতিশোধ নিতে চাননি। বরং সই পাতাতে চেয়েছেন।

নারীদের মধ্যের এই বন্ধন তাদের আবারও অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে পিতৃতান্ত্রিক পরাস্ত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে। এ বার আসা যাক মা ষষ্ঠীর কথায়। এই জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী পুজোকে অরণ্য ষষ্ঠী বলা হয়। কিন্তু এই অরণ্য ষষ্ঠীর পুজোতে শুধুই কি জামাই ভজনা করা হয়? পিতৃতন্ত্র এখানে কী ভুমিকা পালন করছে? নারীরা কী বনবিবির মতো সবসময় অবহেলার শিকার হয়ে থেকে যাবেন। আবার পিতৃতন্ত্র বিপদে পড়লে তাকে উদ্ধার করতে নেবে পড়বে। না, জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী পুজো বা অরণ্য ষষ্ঠী সেই বিষয় নিয়ে বলছে না। এই পুজোর মধ্যে অনেকগুলি বিষয় প্রবেশ করেছে। বর্তমান কালে আমরা সংবাদ মাধ্যমের কথা শুনে মূল বিষয় থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছি।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৬: যুগে যুগে যা ‘সবার উপরে’

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১২: হঠাৎ স্নানঘর থেকে পঞ্চমের চিৎকার ‘মিল গয়া মিল গয়া’, সৃষ্টি হল সেই জনপ্রিয় গান ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারো’

ষষ্ঠী পুজো বা অরণ্য ষষ্ঠী আসলে প্রাক বর্ষা ঋতুর পুজো। এখানে পুজিত হন প্রকৃতি আর তার অপার ক্ষমতা নতুন প্রাণের সৃষ্টি করা বা ক্ষয়ে যাওয়া সম্পদের পুনরায় ভরপাই হওয়া। কন্যা সমেত জামাতাকে আসতে বলা হয় বাড়িতে, কারণ পুরোটাই হল নিজের মেয়েকে দেখা এবং তাকে সমৃদ্ধশালী হতে সাহায্য করা। এখানে একটাই প্রশ্ন আসবে, মেয়ের মা এই পুজো করছেন কিন্তু সেই পুজো শাশুড়ি মা কেন করবে না বউমার জন্য। উত্তর না দিলে বলবেন আমিও পিতৃতান্ত্রিক। কিন্তু এই ষষ্ঠী পুজো বা অরণ্য ষষ্ঠী যে মেয়ের শাশুড়ি করতে পারবে না একথা এখনও পর্যন্ত আমি কোথাও পাইনি। সমাজের বিবর্তনে যে গল্পটি গাঁথা হয়েছে, সেখানে অদ্ভুত ভাবে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে মাছ চুরি করে খাওয়ার কথা বলা আছে। আর বউমা সেই চুরির দায় নিজে না নিয়ে একটি বেড়ালকে দিয়ে ছিল। অবলা প্রাণী দুঃখ পেয়েছিল। সে অভিযোগ জানিয়েছিল ষষ্ঠী দেবীকে। তিনি এই অবলা জীবকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি হিসেবে বউটির ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের হত্যা করতে শুরু করেন। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বৌমাকে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে। বাকিটা ক্ষমা চাওয়ার গল্প।

কিন্তু এই গল্পে খুব সুন্দর ভাবে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সন্তান হওয়ার বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে জঙ্গলে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে সেটাও মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু যে বিষয়টি আড়ালে রয়ে গিয়েছে তা হল, প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব। এই ষষ্ঠী পুজো বা অরণ্য ষষ্ঠীতে কাঁঠাল পাতা, ধান, করমচা, হলুদ প্রভৃতির গুরুত্ব অসীম। প্রথমত: এই প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরম থেকে রক্ষা করে খাদ্য জোগান দেয়। আবার মনে করিয়ে দেয় প্রজননের সময় আসছে। তাই তৈরি হতে হবে সবাইকে। আর বিরত থাকতে হবে প্রকৃতির বিনাশ করা থেকে।

এই বিনাশ করার প্রবনতা বাংলাদেশে কৌলীন্য প্রথার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল। নারীদের খুব ছোট বয়েসে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। তাদের হয় বাল্য বিধবার জীবন কাটাতে হতো, নয়তো খুব অল্প বয়েসে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে হয় মৃত্যু। না হলে সারাজীবন অসুস্থ হয়ে থেকে যেতে হতো। সেই কারণে হয়তো মেয়েদের বাঁচানোর জন্য মায়েরা জামাইদের ভজনা করত এই ষষ্ঠী পুজো বা অরণ্য ষষ্ঠীকে মাথায় রেখে বা উপলক্ষ খুঁজে। কিন্তু এই পুজোর মূল সুর সাম্যের জীবনের আকুতির মধ্যেই রাখা আছে। এই সাম্য প্রকৃতি এবং মানব জীবনের মধ্যেকার মধ্যেকার ভালবাসার ভারসাম্য কেই নির্দেশ করে শাসন করাকে নয়।

* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content