শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

২০২৩ সালের জন্মমাস থেকেই আমি ‘বৈষম্যের বিরোধ-জবানি’ লিখতে শুরু করেছিলাম। নিজের কিছু ভাবনা এবং উপলব্ধি আপনাদের সামনে তুলে ধরে আনতে চাইছিলাম গল্পের মোড়কে। আপনাদের নিজেদের গল্প গোষ্ঠীর মাঝে একটু খানি জায়গা করে নিতে চাইছিলাম। নিজেও অনেকটাই সমৃদ্ধ হলাম লিখতে গিয়ে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমাকে বহু ভাগে বিভক্ত লিঙ্গের মানুষেরা উৎসাহ দিয়েছেন। তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। তথ্য নির্ভর, যুক্তি নির্ভর লেখা সম্ভব হয়েছে এই লিঙ্গ বহুত্ত্ববাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর জন্য। এই লিঙ্গ বহুত্ত্ববাদের ভাবনা জাগিয়ে তলার জন্য আমি কলম ধরেছিলাম, কিন্তু গত ডিসেম্বরের শেষে এক অনুষ্ঠানে শুনতে হল— আমি শুধু মেয়েদের নিয়েই বলি আর লিখি!

তাই আমার মনে হল, আবার আমাকে সেই শুরু থেকে শুরু করতে হবে। আমরা যতই নারী আর পুরুষের গণ্ডীর মধ্যে নিজেদের আটকে রাখতে চাইব, ততই সমস্যার বিবিধ রং ফুটে উঠবে। কিন্তু সব রং মিলে কালো রং তৈরি করাই আমাদের মূল উদ্দ্যেশ্য থেকে যাচ্ছে। প্রতিটি রঙের যে নিজস্ব অস্তিত্ব আছে আমরা সেই বিষয়টিকে মাথায় রাখতে চাইছি না। সবাই সাম্যের ভাবনায় মনের আনন্দে বাঁচবে তা ভীষণ রকম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেই জন্য ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো সিনেমা আমরা হই-ইই করে দেখি। আমরা এল জি বি টি কিউ আই এ প্লাস দের আগে অত্যাচার করছি, তাদের আত্মবিশ্বাসে আঘাত করছি। পৌরুষের আগ্রাসী থাবার মধ্যে যেন সবাইকে থাকতে হবে। যৌন অত্যাচার করা সেই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভেবে দেখেছেন কি, একটা সময় যখন নারী কেন্দ্রিক সিনেমা দর্শকের ভালো লাগার বিষয় হয়ে উঠছিল সেখানে কেমন পালটি মারার মতো আগ্রাসী পৌরুষ দেখান সিনেমার সংখ্যা বেড়ে গেল। কোথাও আমাদের মধ্যে কি বোঝার ভুল হচ্ছে? আমরা আজকে ভিন্ন লিঙ্গ আর ভিন্ন মতবাদের মানুষ, শুধু লড়াই করে যাচ্ছি অধিকারের জন্য? ট্রেনে বাসে শুধুই গুঞ্জন, নারী তোমাকে আর কত দিতে হবে? আমরা যদি ভাবি যে পিততন্ত্র অধিকার, সম্পদ বণ্টন করবে অর্থাৎ দেওয়ার আর নেওয়ার সম্পর্ক থাকবে। তাহলে দুটি ঘটনা ঘটতে বাধ্য হবে।

এক, বাড়িতে রান্নাঘরে কল খারাপ হয়ে গিয়েছে বা কোনও কিছু সারানোর দরকার। যিনি ব্যাবহার করেন বেশি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির মহিলারাই করেন। তাদের অসুবিধা হচ্ছে অথছ মিস্ত্রী ডাকতে দেরি করতেই থাকবে আর শুনে যেতেই হবে যে কাজ চালিয়ে নাও। সময় আর গুরুত্ব দুটোই আপেক্ষিক হয়ে পড়বে। আর উপেক্ষিত থাকবে নারী আর তার প্রয়োজন।

দ্বিতিয়ত, পুরুষ মানুষ দাতা হয়ে থেকে যেতে চাইছেন পিতৃ তন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী। তিনি বীর্য থেকে শুরু করে টাকা পয়সা, খাবার, ভালোবাসা সব দিয়ে থাকেন। নারী তাই সেখানে একটু ঘুরে বেড়ানোর জন্য আমদের জন্য ক্ষমতা, অধিকার চাইতে গেলেই আমরা-ওরা বিভাজন করা থেকে শুরু করে মারধোর, অ্যাসিড আক্রমণ কি না করতে থাকে। এই জন্য বলা হতে থাকে, মহিলারা জানে না তারা কতটুকু চাইতে পারে। তাদের চাওয়ার ধৃষ্টটা কতটা থাকতে পারে।
আসলে এই চাওয়া-পাওয়ার ধৃষ্টতা ভীষণ রকমের লিঙ্গ নির্ভর। পুরুষ বংশরক্ষার জন্যে পুত্রসন্তান চাইতেই পারে, কিন্তু নারী একটা দামি হিরের হার চাইলে সমস্যা। আমরা কোনও চাওয়া-পাওয়া কে কি মূল্য দিয়ে সাজাব সেটাও যে সমাজের নির্মাণ, আমরা আজও বুঝতে চাইলাম না। এর ফলাফল হয় আমরা সমাজে সব সময় গণ্ডগোল করি, এই অপবাদ মাথায় নিয়ে চলতে বাধ্য থাকি। ট্রেনে তখন লেডিস কম্পার্টমেন্টে শুনতে পাই, মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। এক জটিল অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমরা এই বাড়তে থাকা আগ্রাসী জটিল মনোভাবের সঙ্গে সমঝোতা করবো কীভাবে? নিজেদের কি সবসময় হাত পেতে নিতে হবে? আমরা সবাই নিতে এবং দিতে পারি এই ভাবনার জন্ম কবে হবে?

আমাদের সমাজকে এখন অনেক ভৌগলিক সীমারেখা দিয়ে ভাগ করা হয়েছে। এই সীমারেখার মূল বিভাজন করা হয়েছে শহর আর গ্রামের মধ্যে। আমরা এই দুই বিভাজিত স্থানে নারীদের জন্য দুই রকমের অবস্থান লক্ষ্য করি। গ্রামে এখনও দেখি মহিলারা অনেক দূরবর্তী স্থানে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে খাবারের জল আনতে কিংবা জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতে। সেই সঙ্গে কৃষি জমিতে কাজ করা এবং বাড়ির অন্যান্য কাজ করতে দেখা যায়। এই গ্রামীণ নারীদের ‘বারভাতারি’ প্রভৃতি অপমান শুনে নিতে হয়। কিন্তু বাড়ি আর কৃষিক্ষেত্রের বাইরে আলাদা কোনও স্থান নেই যেখানে তাঁরা নিজেদের লড়াই করার স্থান জোগাড় করবে।

প্রথাগত লড়াইয়ের বাইরে এই গ্রামীণ নারীরাই আবার কিছু পন্থা বার করেছেন। নিজেদের লড়াই নিজেরাই লড়ছেন। সময় এসেছে সেই প্রথা গতের বাইরের পথগুলকে পর্যালোচনা করার। এই পরিসরগুলিকে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ পরিসর বলতে পারি। এই পরিসরের দেখা আমরা পেতে পারি পুকুরের ঘাট কিংবা বিকেলের গল্পের আসর কিংবা রান্না ঘরের কোন একটা কোণ। যেখানে পৌঁছনোর জন্য নিজেদের আলাদা করে সাজিয়ে নিয়ে যেতে হয় না। সেখানে তারা নিজেরাই একসঙ্গে লড়াই করে আমপান ঝড়ে উপড়ে যাওয়া ইলেকট্রিক পোল লাগানোর জন্য।
আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৪৩: মহিলা সহকর্মী বা স্ত্রী কি কেবল খেলার পুতুল?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৮: কোন অজানায় ‘পথে হল দেরী’

অন্যদিকে লকডাউনের সময়ে নিজেদের সাইকেল বা মোটর বাইক না থাকার জন্য নিজেদের ক্ষুদ্র ব্যবসা ঠিক মতো চালিয়ে যেতে পারেনি। আবার অন্য দিকে বাড়ির চার পাশেই সব্জি চাষ করে পরিবার, পরিজনদের বাঁচিয়ে রেখেছিল। যেখানে নরীদের ভূমিকা উল্লেখ যোগ্য সেখানেও আমরা দেখছি তাদের অবদানের মূল্যায়নে পক্ষপাতিত্ব অনেক বেশি। এখন যখন অনেক মেয়েরা এগিয়ে আসছে মোটর বাইক বা গাড়ি চালাতে তখন শুনতে হচ্ছে মেয়েরা আগে ঠিক মত সাইকেলে বসতে পারত না তারা এখন গাড়ি চালাচ্ছে তাও আবার জোরে !

গ্রামের নারীদের যেখানে স্ত্রীকে রজস্বলা অবস্থায় বাড়ির সব কাজ শেষ করতে হয়, দরকার হলে খুব সকালে উঠে গোয়ালে কাজ, বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করতে হয়। সেখানে তাকে মাসের নির্দিষ্ট দিনগুলি কেলেন্ডারে দাগিয়ে দিয়ে বাড়িতে আলাদা ব্যবস্থা করতে পারেন না। কিন্তু একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি, সেই সময়টাতে বাড়িতে যতটা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন ততটা আমাদের ছাত্রীরা পারেন না।

আজকের দিনে অনেক কারণবশত আমাদের ছাত্রীরা রজস্বলা সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভোগে। সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে তারা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি, এখনও অবধি যে বিষয়টি গ্রামের মেয়েদের আনেকটাই দুর্বল অবস্থানে রেখেছে তা হল তাদের জন্য পরিষ্কার পানীয় জলের যথেষ্ট জোগান না থাকা। নেই পরিষ্কার টয়েলেটও। যথেষ্ট পরিমাণে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার না করতে পারা। গ্রামের বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এখনও সঠিক ভাবে নেই।

গ্রামের পুকুর, খালি জায়গায় প্লাস্টিকের থালা, বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায় সেখানে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের পর কোথায় ফেলবে সেটাই জানা থাকে না কারও। আমার গ্রামীণ কলেজের ছাত্রীদের বাড়ির বাইরে বেরতে গেলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে বলে খরচ বাঁচানোর জন্য বাড়িতেই থেকে যেতে হয়। অনেক সময় তাই অজুহাত শুনতে হয় যে বাড়িতে কাজ ছিল বা এই কারনে আসতে পারছে না এবং আমরা যেন বিষয়টি ভেবে দেখি।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২৬: বৃন্দাবনে জননী সারদা

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২৬: যে মানুষ চেয়ে চেয়ে / ফিরিতেছি পাগল হয়ে

আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি তার প্রতিফলন দেখা গেল সম্প্রতি এই নিয়ে চর্চাতে। লোকসভায় প্রশ্ন করা হয়েছিল স্ত্রী রজস্বলা সংক্রান্ত কোনও নীতি আনা হচ্ছে কিনা? বা সেই সময়ে মেয়েদের সবেতন ছুটি দেওয়া হবে কিনা ইত্যাদি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী বলেছেন, স্ত্রী রজস্বলা বিষয়টি নিয়ে ছুটি নিতে গেলে মেয়েরা কাজের জায়গায় হেনস্থা হতে পারেন। মন্ত্রীর মতে, বিষয়টি বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়া বোঝায় না। অনেকেই বলেছেন, এই ধরনের কথা বলা মানেই মেয়েদের দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নারীদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে না। যিনি বিশেষ সুবিধে গ্রহণ করতে পারেন মানে যিনি গাড়ি চড়ে কাজের জায়গায় পৌঁছতে পারেন, তাঁকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য লোক থাকে। তাঁর স্ত্রী রজস্বলা সংক্রান্ত সমস্যা মেটান যতটা সহজ আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসা দিদিদের, মাসিদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এই সব নারীদের এমনকি বাজারের মধ্যে দোকানে কাজ করা নারীদের পক্ষে বাথরুম বলে ভালো কোনও ব্যবস্থা থাকে না। তাঁদের এই সব দিনে খুবই সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ বাথরুম ব্যবহার করতে না পেরে এদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা বাড়তে থাকে। আমাদের দেশে নারীদের সমস্যা নিয়ে সে ভাবে চর্চাই হয় না। তার বদলে যা করা হয় তা হল নারীকে সন্তান উদপাদনকারি ‘যৌন বস্তু’ বলে মনে করা হয়।

শহরের নাগরিক জীবনে ঘরের-বাইরে অনেক জায়গাই থাকে যেমন রেস্তরাঁ, ক্লাব, জিম খানা, কফির দোকান বা চায়ের দোকান যেখান থেকে ইতিহাসখ্যাত আন্দোলনেরা শুরু করে ছিল তাদের জয়যাত্রা। এই সমস্থ জায়গাগুলোকে তাই তৃতীয় পরিসর বলা হয়েছে। এই সমস্ত জায়গায় নিজেদের মত করে বসে অনেক ক্ষন ধরে পারস্পরিক আলাপ আলোচনায় নিযুক্ত থাকতে পারে মানুষ। অনেক গান, কবিতা যা আমাদের সাংস্কৃতিক ভাবনাকে ভাবিত করেছে বা পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে সেগুল এইরকম তৃতীয় পরিসরে রচিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৯: সুন্দরবনের জনপ্রিয়তম পীর—পীর গোরাচাঁদ

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৫: কানে তালায় কানের ড্রপ?

আমার প্রশ্ন, এখনও কি নারীরা এই তৃতীয় পরিসর ব্যবহার করতে পারছে নিজেদের অধিকারের আন্দোলনকে পরিকল্পনার করে বাস্তবায়িত করতে? কিছু বই লেখার পরিকল্পনা হতে দেখেছি বর্তমান সময়ে কলকাতা শহরে, কিছু প্রকল্প তৈরি হতে দেখেছি মানুষের বা বলা ভালো বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য। অর্থাৎ এই পরিসর এখনও জীবিত আছে। এই পরিসরে আমরা ছাত্রআন্দোলন হতে দেখেছি।

দিল্লির রাজপথে মহিলা কুস্তীগিরদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষ কুস্তীগিরদের আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। আন্দোলন সফল হল না বিফল হল তা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। কিন্তু এই অনুভুতি যে নিজেদের উপর হয়ে যাওয়া কাঠামোগত অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। আর সরব হতে গেলে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্থান থেকে একটু সরে আসতে হবে। গ্রামের ক্ষেত্রে সেখানে গাছের তলা, মাজার, মন্দির, পুকুরের ঘাট ইত্যাদি হতে পারে। এমন একটি স্থান যেখানে নিজেদের মনের কথাগুলো না না ভাবে প্রকাশ পেতে পারবে, ঝর্নার মতো।

অন্যদিকে আমরা নারীদের মধ্যে শহরের নারী, গ্রামের নারী, বস্তিবাসী নারী, পতিতাপল্লির নারী এই রকম বিভাজন দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের লড়াই স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী আলাদা আলাদা সেই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু এত দ্বিমতযুক্ত নিজেদের দলভুক্তীকরণের প্রক্রিয়া বড় আকার ধারণ করলে আমাদের সমস্যা সমাধান পিছনের সারিতে চলে যাবে। বছরের শুরুতে এসে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বিরোধীপক্ষ নির্বাচন করার আগে নিজে ভেবে দেখুন, প্রশ্ন করুন, আলোচনা করুন, ইতিহাসের পাতা ওলটান, তুলনামূলক আলোচনা করুন—তার পর উপায় খুঁজে বের করুন। হ্যাঁ, আপনি করবেন কারণ সমাজ আপনাকে নিয়েই, আপনি সমাজের অংশ। সমাজের বাইরে কেউ নেই।

ছবি: লেখক। সংগৃহীত।
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content