ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
আজকাল সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব বাড়িতে ছেলে বুড়ো গিন্নি সবার একটাই প্রার্থনা করেন, অন্তত বাসন মাজা ও রান্নার করার কাজটা যেন করে দিয়ে যায়। আমি গৃহ-সহায়িকাদের কথা বলছি। মধ্যবিত্ত বা উচ্চ-মধ্যবিত্তের জীবনে গৃহ-সহায়িকাদের ভূমিকা অনেকটা। আবার উভয়ের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ জটিলও। বিশ্বাস-অবিশ্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে সেই সম্পর্ক অর্থনীতি এবং রাজনীতির আলোচনাতে জায়গা করে নিয়েছে। বলা যেতে পারে, এই সম্পর্কের একটি আন্তর্জাতিকীকরণ হয়েছে যবে থেকে তাঁরা শ্রমিক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পাড়ি দিতে শুরু করেছেন।
গৃহ-সহায়িকাদের আমরা শ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছি নানা রকমের মানব অধিকার রক্ষার আন্দোলনের জন্য। যদিও শ্রমের মূল্য দিতে গিয়ে সেই পিতৃতন্ত্রকেই ডেকে নিয়ে আসছি। বাড়ির গৃহিণীদের কাজের যেমন মূল্য দিতে পারছি না, তেমনি কোনও ছুটি বা সুবিধে না দিয়ে, কম টাকা দিয়ে গৃহ-সহায়িকাদের কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও কমছে না। আইনের আলোর আড়ালে অন্ধকার গলি পথ খুঁজে নিচ্ছেন ভদ্রজন। সমাজের বিবর্তন হয়েছে, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গল্পের গৃহ-সহায়িকাদের যে গল্প বা কাজের বহরের বর্ণনা পাওয়া যায়, তার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
এখন চাকুরিরতা গৃহিণীরা সন্তান এবং বাড়ির অসুস্থ বয়স্কদের দেখার জন্য ‘আয়া’ নামের গৃহ-সহায়িকা রাখেন। কিন্তু রোজ দিন ঝামেলা, অবিশ্বাস, ঝগড়াও চলতেই থাকে। আর বাড়ির বাকি কাজকর্মের জন্য যাঁদের রাখা হয়, তাঁদের বলেন দিদি অথবা মাসি। তাঁদের ঠিক মতো কাজ না করা, একসঙ্গে অনেক বাড়িতে কাজ করার ফলে কাজ শেষ না করার অভিযোগ, অজুহাত, অবিশ্বাস প্রভৃতি চলতেই থাকে। তাই এই অন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে গৃহ-সহায়িকাদের সঙ্গে গৃহিণীদের নিয়ে যে শ্রমের মূল্যের নয়ছয় চলে, তার একটু হাল হকিকত বোঝার চেষ্টা করব এই প্রতিবেদনে।
গৃহ-সহায়িকাদের আমরা শ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছি নানা রকমের মানব অধিকার রক্ষার আন্দোলনের জন্য। যদিও শ্রমের মূল্য দিতে গিয়ে সেই পিতৃতন্ত্রকেই ডেকে নিয়ে আসছি। বাড়ির গৃহিণীদের কাজের যেমন মূল্য দিতে পারছি না, তেমনি কোনও ছুটি বা সুবিধে না দিয়ে, কম টাকা দিয়ে গৃহ-সহায়িকাদের কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও কমছে না। আইনের আলোর আড়ালে অন্ধকার গলি পথ খুঁজে নিচ্ছেন ভদ্রজন। সমাজের বিবর্তন হয়েছে, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গল্পের গৃহ-সহায়িকাদের যে গল্প বা কাজের বহরের বর্ণনা পাওয়া যায়, তার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
এখন চাকুরিরতা গৃহিণীরা সন্তান এবং বাড়ির অসুস্থ বয়স্কদের দেখার জন্য ‘আয়া’ নামের গৃহ-সহায়িকা রাখেন। কিন্তু রোজ দিন ঝামেলা, অবিশ্বাস, ঝগড়াও চলতেই থাকে। আর বাড়ির বাকি কাজকর্মের জন্য যাঁদের রাখা হয়, তাঁদের বলেন দিদি অথবা মাসি। তাঁদের ঠিক মতো কাজ না করা, একসঙ্গে অনেক বাড়িতে কাজ করার ফলে কাজ শেষ না করার অভিযোগ, অজুহাত, অবিশ্বাস প্রভৃতি চলতেই থাকে। তাই এই অন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে গৃহ-সহায়িকাদের সঙ্গে গৃহিণীদের নিয়ে যে শ্রমের মূল্যের নয়ছয় চলে, তার একটু হাল হকিকত বোঝার চেষ্টা করব এই প্রতিবেদনে।
আজকাল সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব বাড়িতে ছেলে বুড়ো গিন্নি সবার একটাই প্রার্থনা করেন, অন্তত বাসন মাজা ও রান্নার করার কাজটা যেন করে দিয়ে যায়। আমি গৃহ-সহায়িকাদের কথা বলছি। মধ্যবিত্ত বা উচ্চ-মধ্যবিত্তের জীবনে গৃহ-সহায়িকাদের ভূমিকা অনেকটা। আবার উভয়ের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ জটিলও। বিশ্বাস-অবিশ্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে সেই সম্পর্ক অর্থনীতি এবং রাজনীতির আলোচনাতে জায়গা করে নিয়েছে। বলা যেতে পারে, এই সম্পর্কের একটি আন্তর্জাতিকীকরণ হয়েছে যবে থেকে তাঁরা শ্রমিক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পাড়ি দিতে শুরু করেছেন।
গৃহ-সহায়িকাদের আমরা শ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছি নানা রকমের মানব অধিকার রক্ষার আন্দোলনের জন্য। যদিও শ্রমের মূল্য দিতে গিয়ে সেই পিতৃতন্ত্রকেই ডেকে নিয়ে আসছি। বাড়ির গৃহিণীদের কাজের যেমন মূল্য দিতে পারছি না, তেমনি কোনও ছুটি বা সুবিধে না দিয়ে, কম টাকা দিয়ে গৃহ-সহায়িকাদের কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও কমছে না। আইনের আলোর আড়ালে অন্ধকার গলি পথ খুঁজে নিচ্ছেন ভদ্রজন। সমাজের বিবর্তন হয়েছে, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গল্পের গৃহ-সহায়িকাদের যে গল্প বা কাজের বহরের বর্ণনা পাওয়া যায়, তার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
এখন চাকুরিরতা গৃহিণীরা সন্তান এবং বাড়ির অসুস্থ বয়স্কদের দেখার জন্য ‘আয়া’ নামের গৃহ-সহায়িকা রাখেন। কিন্তু রোজ দিন ঝামেলা, অবিশ্বাস, ঝগড়াও চলতেই থাকে। আর বাড়ির বাকি কাজকর্মের জন্য যাঁদের রাখা হয়, তাঁদের বলেন দিদি অথবা মাসি। তাঁদের ঠিক মতো কাজ না করা, একসঙ্গে অনেক বাড়িতে কাজ করার ফলে কাজ শেষ না করার অভিযোগ, অজুহাত, অবিশ্বাস প্রভৃতি চলতেই থাকে। তাই এই অন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে গৃহ-সহায়িকাদের সঙ্গে গৃহিণীদের নিয়ে যে শ্রমের মূল্যের নয়ছয় চলে, তার একটু হাল হকিকত বোঝার চেষ্টা করব এই প্রতিবেদনে।
যেখানে যন্ত্রের ব্যবহার সর্বাধিক, সেখানে শ্রমিককে যত কম টাকা দিয়ে কাজ করানো যাবে ততই মালিক পক্ষের কাছে লাভজনক। মালিকের লাভ না হলে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে, তখন শ্রমিকরা খাবে কী? ফলে রাষ্ট্র এ সব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে চায় না। শ্রমিকদের হয়ে কথা বলার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন আছে। শ্রমিকদের জন্য আইনি ব্যবস্থা আছে, কিন্তু যতক্ষণ না শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে সেই আইনের সাহায্য পৌঁছয় না। ট্রেড ইউনিয়নও এখন সব ক্ষেত্রে সে ভাবে আর সক্রিয় থাকছে না। এই সব কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকরা প্রায়শই বঞ্চনা শিকার হন। গৃহ সহায়িকারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি স্বীকার করে চলা শ্রমিক যাদের কাজ ঘরের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ।
এত গেল বাড়ির বাইরের পরিস্থিতি। কিন্তু যাঁরা ঘরে এসে কাজ করছেন সেই গৃহ-সহায়িকাদের পরিস্থিতি ঠিক কেমন? এই গৃহ-সহায়িকারা পুরো কাজটাই হাতে করেন। তাঁদের যন্ত্র ব্যবহার প্রায় করতে দেওয়া হয় না। ঘরের মধ্যে যেখানে নারীদের বলা হয় জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে রান্না করতে, সংসার সামাল দিতে, সেখানে কি গৃহ-সহায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে? সেখানে কি সমব্যাথির সম্পর্ক তৈরি হয়?
এই সম্পর্কের ধারণা পেতে গেলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে কীভাবে আর কারাই বা গৃহ-সহায়িকাদের কাজ করতে এগিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে গবেষণা মূলক লেখাগুলোতে চোখ নাড়াচাড়া করে দেখতে পেলাম, কোভিড অতিমারিতে সারা দেশ জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা যানবাহন না পেয়ে পথে নেমেছিলেন সেই দৃশ্য আমাদের চোখে এড়ায়নি। গৃহ-সহায়িকা, তাঁদের সঙ্গী অন্য অদক্ষ, স্বল্প দক্ষ শ্রমিকরা গৃহবন্দি থাকার ফলে কাজে আসতে না পারার জন্য আমাদের মধ্যে নতুন করে গৃহ-সহায়িকাদের নিয়ে কিছু ভাবনার উদয় হয়েছে বটে। কিন্তু পুরুষ শ্রমিক প্রধান কাজগুলো বন্ধ থাকার ফলে আরও একদফা বাড়ির মেয়েদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে বাঁচার তাগিদে।
গৃহ-সহায়িকাদের আমরা শ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছি নানা রকমের মানব অধিকার রক্ষার আন্দোলনের জন্য। যদিও শ্রমের মূল্য দিতে গিয়ে সেই পিতৃতন্ত্রকেই ডেকে নিয়ে আসছি। বাড়ির গৃহিণীদের কাজের যেমন মূল্য দিতে পারছি না, তেমনি কোনও ছুটি বা সুবিধে না দিয়ে, কম টাকা দিয়ে গৃহ-সহায়িকাদের কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও কমছে না। আইনের আলোর আড়ালে অন্ধকার গলি পথ খুঁজে নিচ্ছেন ভদ্রজন। সমাজের বিবর্তন হয়েছে, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গল্পের গৃহ-সহায়িকাদের যে গল্প বা কাজের বহরের বর্ণনা পাওয়া যায়, তার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
এখন চাকুরিরতা গৃহিণীরা সন্তান এবং বাড়ির অসুস্থ বয়স্কদের দেখার জন্য ‘আয়া’ নামের গৃহ-সহায়িকা রাখেন। কিন্তু রোজ দিন ঝামেলা, অবিশ্বাস, ঝগড়াও চলতেই থাকে। আর বাড়ির বাকি কাজকর্মের জন্য যাঁদের রাখা হয়, তাঁদের বলেন দিদি অথবা মাসি। তাঁদের ঠিক মতো কাজ না করা, একসঙ্গে অনেক বাড়িতে কাজ করার ফলে কাজ শেষ না করার অভিযোগ, অজুহাত, অবিশ্বাস প্রভৃতি চলতেই থাকে। তাই এই অন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে গৃহ-সহায়িকাদের সঙ্গে গৃহিণীদের নিয়ে যে শ্রমের মূল্যের নয়ছয় চলে, তার একটু হাল হকিকত বোঝার চেষ্টা করব এই প্রতিবেদনে।
যেখানে যন্ত্রের ব্যবহার সর্বাধিক, সেখানে শ্রমিককে যত কম টাকা দিয়ে কাজ করানো যাবে ততই মালিক পক্ষের কাছে লাভজনক। মালিকের লাভ না হলে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে, তখন শ্রমিকরা খাবে কী? ফলে রাষ্ট্র এ সব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে চায় না। শ্রমিকদের হয়ে কথা বলার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন আছে। শ্রমিকদের জন্য আইনি ব্যবস্থা আছে, কিন্তু যতক্ষণ না শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে সেই আইনের সাহায্য পৌঁছয় না। ট্রেড ইউনিয়নও এখন সব ক্ষেত্রে সে ভাবে আর সক্রিয় থাকছে না। এই সব কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকরা প্রায়শই বঞ্চনা শিকার হন। গৃহ সহায়িকারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি স্বীকার করে চলা শ্রমিক যাদের কাজ ঘরের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ।
এত গেল বাড়ির বাইরের পরিস্থিতি। কিন্তু যাঁরা ঘরে এসে কাজ করছেন সেই গৃহ-সহায়িকাদের পরিস্থিতি ঠিক কেমন? এই গৃহ-সহায়িকারা পুরো কাজটাই হাতে করেন। তাঁদের যন্ত্র ব্যবহার প্রায় করতে দেওয়া হয় না। ঘরের মধ্যে যেখানে নারীদের বলা হয় জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে রান্না করতে, সংসার সামাল দিতে, সেখানে কি গৃহ-সহায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে? সেখানে কি সমব্যাথির সম্পর্ক তৈরি হয়?
এই সম্পর্কের ধারণা পেতে গেলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে কীভাবে আর কারাই বা গৃহ-সহায়িকাদের কাজ করতে এগিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে গবেষণা মূলক লেখাগুলোতে চোখ নাড়াচাড়া করে দেখতে পেলাম, কোভিড অতিমারিতে সারা দেশ জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা যানবাহন না পেয়ে পথে নেমেছিলেন সেই দৃশ্য আমাদের চোখে এড়ায়নি। গৃহ-সহায়িকা, তাঁদের সঙ্গী অন্য অদক্ষ, স্বল্প দক্ষ শ্রমিকরা গৃহবন্দি থাকার ফলে কাজে আসতে না পারার জন্য আমাদের মধ্যে নতুন করে গৃহ-সহায়িকাদের নিয়ে কিছু ভাবনার উদয় হয়েছে বটে। কিন্তু পুরুষ শ্রমিক প্রধান কাজগুলো বন্ধ থাকার ফলে আরও একদফা বাড়ির মেয়েদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে বাঁচার তাগিদে।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৮: শুঁটকি মাছে কি আদৌ কোনও পুষ্টিগুণ আছে?
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬১: চাষাবাদ নিয়েও রবীন্দ্রনাথ ভেবেছেন
দশভুজা, জীবনে যা কিছু করেছি, প্রত্যয়ের সঙ্গে করেছি: কানন দেবী/২
গবেষণা বলছে, গৃহ-সহায়িকাদের একদম অক্ষরজ্ঞান নেই বা সামান্য আছে সেই সব মহিলাদের বয়েস ১২ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে। শুধু বয়সের বিষয়টি খেয়াল করলে বোঝা যায় আমাদের সমাজে যে বয়সে যে কাজ করার কথা মেয়েদের সেই কাজ না করে তাঁরা মূলত শহরাঞ্চলের ভদ্রলোকেদের বাড়িতে থেকে কিংবা যাতায়াত করে অথবা ভিন রাজ্য বা অন্যত্র পাড়ি দিচ্ছেন বাড়ির কাজ করার জন্য।
বিষয়টি একটু তলিয়ে দেখলে জানা যাবে, কেন খুব অল্প বয়সী থেকে বেশি বয়সী নারীরা গৃহ-সহায়িকার কাজ খুঁজে নিচ্ছেন। এতে যে সব কারণগুলি উঠে আসছে তারমধ্য অন্যতম হল অবহেলা, বাড়িতে অসহনীয় অত্যাচার এবং দীর্ঘ দিন অনাহারে কাটানোর জন্য তাঁরা এই পেশাকে বেছে নিচ্ছেন। মেয়েদের খুব অল্প বয়েসে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর একাধিক সন্তানের জন্ম। তখন সেই সন্তানদের নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করা, নেশাগ্রস্থ স্বামীদের অত্যাচার তাঁদের প্রতিদিনের সঙ্গী হয়। দীর্ঘদিন এই ধরনের অত্যাচারে ফলে সন্তান এবং তাঁদের মায়েরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
ফলে স্বাভাবিক ভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। অক্ষরজ্ঞান না থাকাতে তাঁরা ভালো কোনও কাজের সুযোগ পান না। ফলে সেই সময় তাঁদের কাছে গৃহ-সহায়িকার কাজ নেওয়াটাই সব থেকে সহজ রাস্তা হয়ে ওঠে। আবার দক্ষতা থাকা নারীদের দেখা গিয়েছে, যেমন কেউ হয়তো সেলাই মেশিন চালাতে পারেন বা সেলাইয়ের কাজ জানেন, তাঁরাও অনেক সময় বাধ্য হচ্ছেন গৃহ-সহায়িকার কাজ নিতে। এই দক্ষতার কাজে সেরকম টাকা নেই, কিন্তু পরিশ্রম অনেক বেশি। নিজের সেলাই মেশিন বিক্রি করে দিয়ে গৃহ-সহায়িকার কাজ নেওয়া এক নারীর কাছে শুনেছিলাম, তিনি পনেরো বছর বয়েস থেকে সেলাই মেশিন চালাতে শিখেছিলেন। মেশিন সারাতেও পারেন।
বিষয়টি একটু তলিয়ে দেখলে জানা যাবে, কেন খুব অল্প বয়সী থেকে বেশি বয়সী নারীরা গৃহ-সহায়িকার কাজ খুঁজে নিচ্ছেন। এতে যে সব কারণগুলি উঠে আসছে তারমধ্য অন্যতম হল অবহেলা, বাড়িতে অসহনীয় অত্যাচার এবং দীর্ঘ দিন অনাহারে কাটানোর জন্য তাঁরা এই পেশাকে বেছে নিচ্ছেন। মেয়েদের খুব অল্প বয়েসে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর একাধিক সন্তানের জন্ম। তখন সেই সন্তানদের নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করা, নেশাগ্রস্থ স্বামীদের অত্যাচার তাঁদের প্রতিদিনের সঙ্গী হয়। দীর্ঘদিন এই ধরনের অত্যাচারে ফলে সন্তান এবং তাঁদের মায়েরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
ফলে স্বাভাবিক ভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। অক্ষরজ্ঞান না থাকাতে তাঁরা ভালো কোনও কাজের সুযোগ পান না। ফলে সেই সময় তাঁদের কাছে গৃহ-সহায়িকার কাজ নেওয়াটাই সব থেকে সহজ রাস্তা হয়ে ওঠে। আবার দক্ষতা থাকা নারীদের দেখা গিয়েছে, যেমন কেউ হয়তো সেলাই মেশিন চালাতে পারেন বা সেলাইয়ের কাজ জানেন, তাঁরাও অনেক সময় বাধ্য হচ্ছেন গৃহ-সহায়িকার কাজ নিতে। এই দক্ষতার কাজে সেরকম টাকা নেই, কিন্তু পরিশ্রম অনেক বেশি। নিজের সেলাই মেশিন বিক্রি করে দিয়ে গৃহ-সহায়িকার কাজ নেওয়া এক নারীর কাছে শুনেছিলাম, তিনি পনেরো বছর বয়েস থেকে সেলাই মেশিন চালাতে শিখেছিলেন। মেশিন সারাতেও পারেন।
আরও পড়ুন:
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫৩: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে সফলভাবে মাছচাষ করছে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ু
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৩: যার কাছে টাকা-পয়সা থাকে এ জগতে সেই হল পণ্ডিত
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯: কৌরবদের জন্ম এবং কুরুপাণ্ডবদের ছেলেবেলার শত্রুতা
কিন্তু সেলাইয়ের কাজ করে যে টাকা রোজগার করতেন তাতে সংসার চলত না। উপরন্তু মেশিনের সঙ্গে বাড়ির কাজ করতে করতে হাফিয়ে উঠতেন। সঙ্গে অনাহার আর দুশ্চিন্তা ছিল নিত্য সঙ্গী। বাড়িতে রোজ অশান্তি হতো, ছোট ছোট বাচ্চারা ভয় পেত। সেই সব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে দূরের অন্য জেলাতে গৃহ-সহায়িকার কাজ খুঁজে নিয়ে চলে যান।
আরও একজন গৃহ-সহায়িকার কথা শুনেছিলাম, তাঁর স্বামী নেশার বসে আত্মহত্যা করেছিলেন। ছোট দুটো বাচ্চা নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু কেউ বসিয়ে খাওয়াতে রাজি ছিল না। তিনিও বাচ্চাদের মায়ের কাছে রেখে শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে কিছুদিন পরেই নানা রকম প্রলোভন আস্তে থাকে। ভালোবাসার টোপ দিয়ে মিথ্যে বিয়ে করে সহবাস থেকে শুরু করে অসৎ কাজে জড়িয়ে ফেলা। অন্য দিকে নিজের বাড়িতে অভিভাবকের অভাবে সন্তানরাও অসৎ কাজে যুক্ত হতে শুরু করে দেয়। অর্থাৎ রাষ্ট্র কখনই এমন মেয়েদের দায়িত্ব নিতে পারেনি। আর পরিবারও এদের কাছে সুরক্ষিত নয়। বরং সব সমস্যার মূল বলে মনে করা হয়।
এবার যে প্রেক্ষাপটে আসতে চাইছি সেটা হল, *গৃহ-সহায়িকার কাজের জন্য নারীরা যখন অন্যের বাড়িতে যান যাকে তারা বাবুদের বাড়ি বলেন তখন তাঁদের শ্রমের বিনিময়ে কী কী কাজ করতে হয়? কারণ কাজ শেষ হয়েছে বিষয়টি বাবুর বাড়ির লোকেদের সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে। অগুনতি কাজ করে যেতে হয় তাদের।শ্রমের মর্যাদা কী তাঁরা পান? এক কথায় উত্তর দেওয়া মুশকিল। গৃহ-সহায়িকারা এখন অনেকটাই সচেতন হয়েছেন ঠেকে গিয়ে, নির্যাতিত হয়ে, অনেক সময় বাবুদের বাড়ির লোকজন তাদের সাহায্য করেছেন এই সচেতনতা আনতে। তাই কাজে ঢোকার আগেই জেনে নেন কী কী কাজ তাঁদের করতে হবে। এই সচেতনতার বিষয়টি উল্লেখ করা আছে একাধিক গবেষণামূলক লেখাগুলিতে। কিন্তু অনেক সময় এই সচেতনতা দ্বন্দ্ব মূলক পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়। সেই পরিস্থিতিতে গৃহ সহায়িকা রাই বাধ্য হয় পরাজয় মেনে নিতে।
আরও একজন গৃহ-সহায়িকার কথা শুনেছিলাম, তাঁর স্বামী নেশার বসে আত্মহত্যা করেছিলেন। ছোট দুটো বাচ্চা নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু কেউ বসিয়ে খাওয়াতে রাজি ছিল না। তিনিও বাচ্চাদের মায়ের কাছে রেখে শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে কিছুদিন পরেই নানা রকম প্রলোভন আস্তে থাকে। ভালোবাসার টোপ দিয়ে মিথ্যে বিয়ে করে সহবাস থেকে শুরু করে অসৎ কাজে জড়িয়ে ফেলা। অন্য দিকে নিজের বাড়িতে অভিভাবকের অভাবে সন্তানরাও অসৎ কাজে যুক্ত হতে শুরু করে দেয়। অর্থাৎ রাষ্ট্র কখনই এমন মেয়েদের দায়িত্ব নিতে পারেনি। আর পরিবারও এদের কাছে সুরক্ষিত নয়। বরং সব সমস্যার মূল বলে মনে করা হয়।
এবার যে প্রেক্ষাপটে আসতে চাইছি সেটা হল, *গৃহ-সহায়িকার কাজের জন্য নারীরা যখন অন্যের বাড়িতে যান যাকে তারা বাবুদের বাড়ি বলেন তখন তাঁদের শ্রমের বিনিময়ে কী কী কাজ করতে হয়? কারণ কাজ শেষ হয়েছে বিষয়টি বাবুর বাড়ির লোকেদের সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে। অগুনতি কাজ করে যেতে হয় তাদের।শ্রমের মর্যাদা কী তাঁরা পান? এক কথায় উত্তর দেওয়া মুশকিল। গৃহ-সহায়িকারা এখন অনেকটাই সচেতন হয়েছেন ঠেকে গিয়ে, নির্যাতিত হয়ে, অনেক সময় বাবুদের বাড়ির লোকজন তাদের সাহায্য করেছেন এই সচেতনতা আনতে। তাই কাজে ঢোকার আগেই জেনে নেন কী কী কাজ তাঁদের করতে হবে। এই সচেতনতার বিষয়টি উল্লেখ করা আছে একাধিক গবেষণামূলক লেখাগুলিতে। কিন্তু অনেক সময় এই সচেতনতা দ্বন্দ্ব মূলক পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়। সেই পরিস্থিতিতে গৃহ সহায়িকা রাই বাধ্য হয় পরাজয় মেনে নিতে।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক,
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৬: খলনায়ক থেকে নায়ক
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৯: ‘মেরা কুছ সামান…’ গানে সুর দেওয়ার প্রস্তাবে গুলজারকে পত্রপাঠ বিদায় জানান পঞ্চম
আমার এই সচেতনতার কথায় মনে হল, ঘরের মধ্যে ঘরের কাজে সাহায্যের জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে নারীদের। কিন্তু সেখানেও তাঁকে দিয়ে নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় ধরে কাজ করিয়ে নেওয়ার অর্থাৎ ঠকিয়ে নেওরার প্রবণতা অনেক। অনেকেই মে দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে নিজেদের মায়েদের বিশ্রাম না নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করার কথা বলছেন, সেই সঙ্গে তাঁদের স্যালুট জানাচ্ছেন। আবার সেই নিরলস পরিশ্রমটাই চাইছেন গৃহ-সহায়িকাদের কাছ থেকে। আমাদের গৃহ-সহায়িকাদের কাজকে আমরা ‘লেবার অফ লাভ’-এ পরিণত করতে চেয়েছি। শ্রমের মূল্য দেবো সামান্য, মাসে খুব বেশি হলে হাজার টাকা, আবার বলবো একটু হাত লাগিয়ে করে দাও বেশি সময় লাগবে না।
আবার যদি বেশি গাঁইগুঁই করে তাহলে বলা হবে, ওইটুকু কাজ করলে হাত খোসে যাবে না। কিন্তু বলব না যে, আজকে এই কাজটা না করে অন্য কাজটা করে দাও। কাজের চাপ বেশি পড়বে না। আমাদের মধ্যে কাজ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। যেন বাড়ির লোকের যেকোনও বায়না গৃহ-সহায়িকাদের করে দিতে হবে হাসি মুখে। বিনিময়ে হয়তো কোনও পুরনো শাড়ি কিংবা কম দামি ঝুট গয়না। যিনি নিজে এই কথা তাঁর গৃহ-সহায়িকাদের বলছেন, তিনি নিজে যখন তাঁর কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন, তখন কিন্তু তিনি অনায়াসেই বলে দিতে পারেন তার কাজ ঠিক কতটা। আবার আপতকালে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে দিলেও ছুটি নিয়ে গায়ের ব্যথা মারার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। কিন্তু গৃহ-সহায়িকাদের সে উপায় নেই। তাদের ছুটি নেওয়া নিয়ে সবসময় সব জায়গায় অশান্তি।
আবার যদি বেশি গাঁইগুঁই করে তাহলে বলা হবে, ওইটুকু কাজ করলে হাত খোসে যাবে না। কিন্তু বলব না যে, আজকে এই কাজটা না করে অন্য কাজটা করে দাও। কাজের চাপ বেশি পড়বে না। আমাদের মধ্যে কাজ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। যেন বাড়ির লোকের যেকোনও বায়না গৃহ-সহায়িকাদের করে দিতে হবে হাসি মুখে। বিনিময়ে হয়তো কোনও পুরনো শাড়ি কিংবা কম দামি ঝুট গয়না। যিনি নিজে এই কথা তাঁর গৃহ-সহায়িকাদের বলছেন, তিনি নিজে যখন তাঁর কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন, তখন কিন্তু তিনি অনায়াসেই বলে দিতে পারেন তার কাজ ঠিক কতটা। আবার আপতকালে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে দিলেও ছুটি নিয়ে গায়ের ব্যথা মারার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। কিন্তু গৃহ-সহায়িকাদের সে উপায় নেই। তাদের ছুটি নেওয়া নিয়ে সবসময় সব জায়গায় অশান্তি।
ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
বাড়ির গৃহ বধূদেরও আমরা ছুটি দিতে অপারগ। কোথাও যেতে চাইলে বলা হবে স্বামী রান্না করতে পারে না। ঘরের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ছুটি সে নিতে পারবে না। গৃহ-সহায়িকাদের শরীর খারাপ হলে, খুব কম কাজের বাড়ি থেকেই সাহায্য করা হয়। যেমন করে নিরুপমারা অসুখে হারিয়ে যায়, তেমনি গৃহ-সহায়িকাদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করানোর চেষ্টা প্রায় কেউ করে না। এঁরা নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার সংগ্রামে ভুলে যায় নিজেদের শারীরিক সমস্যাকে। ফলে খুব অল্প বয়েসেই খড়ি ওঠা ত্বকে রুক্ষ বাদামি চুলের হয়ে যেতে থাকে। এই রকম পরিস্থিতিতে অনেকেই বাধ্য হয় নিজেদের শরীরের ডিম্বাণু বিক্রি করে একসঙ্গে কিছু টাকা রোজগারের চেষ্টা করেন। আর তাঁদের ডিম্বাণু চলে যায় সন্তানহীন নারীদের জন্য।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে শোষণ করার প্রবণতা কি শুধুই পুঁজিবাদী সমাজের একচেটিয়া অধিকার। আমার তা মনে হয় না। শোষণ করার মধ্যে দিয়ে দমন করা বা দাবিয়ে রাখার প্রবণতা মানব সভ্যতার ইতিহাসে খুব প্রাচীন প্রক্রিয়া। মানুষ সময়ে সময়ে সেই প্রক্রিয়াকে নতুন রূপ দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে শুধু কতিপয় মানুষ বা বিশেষ কোনও ভাবাবেগ বা আদর্শকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ক্ষমতার শীর্ষে জিয়িয়ে রাখবে বলে। সেখানে নারীদের অবস্থান সবসময় সিঁড়ির নীচের ধাপে। তাঁকে গৃহ-সহায়িকা হিসেবে যে ভাবে দেখা হবে, সেই ভাবেই গৃহবধূকেও দেখা হবে পার্থক্য শুধু আইনি পরিচয়ের গণ্ডিতে। কারণ, একজন বিবাহিত স্ত্রী, আর অন্যজনের কুল, গোত্রের প্রয়োজন নেই। আছে দরকার, শুধু শরীরের।—চলবে
* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে শোষণ করার প্রবণতা কি শুধুই পুঁজিবাদী সমাজের একচেটিয়া অধিকার। আমার তা মনে হয় না। শোষণ করার মধ্যে দিয়ে দমন করা বা দাবিয়ে রাখার প্রবণতা মানব সভ্যতার ইতিহাসে খুব প্রাচীন প্রক্রিয়া। মানুষ সময়ে সময়ে সেই প্রক্রিয়াকে নতুন রূপ দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে শুধু কতিপয় মানুষ বা বিশেষ কোনও ভাবাবেগ বা আদর্শকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ক্ষমতার শীর্ষে জিয়িয়ে রাখবে বলে। সেখানে নারীদের অবস্থান সবসময় সিঁড়ির নীচের ধাপে। তাঁকে গৃহ-সহায়িকা হিসেবে যে ভাবে দেখা হবে, সেই ভাবেই গৃহবধূকেও দেখা হবে পার্থক্য শুধু আইনি পরিচয়ের গণ্ডিতে। কারণ, একজন বিবাহিত স্ত্রী, আর অন্যজনের কুল, গোত্রের প্রয়োজন নেই। আছে দরকার, শুধু শরীরের।—চলবে
* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।